ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৭টি পদে সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শূন্য পদে ৩৭ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১০ জানুয়ারি থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
পদসংখ্যা: ০৭টি
লোকবল নিয়োগ: ৩৭ জন
পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০২টি
বেতন: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি
পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০৩টি
বেতন: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০১টি
বেতন: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (আর্থিক ব্যবস্থাপনা অডিট ইউনিট)
পদসংখ্যা: ০১টি
বেতন: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ২৪টি
বেতন: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
পদের নাম: অফিস সহায়ক (আর্থিক ব্যবস্থাপনা অডিট ইউনিট)
পদসংখ্যা: ০২টি
বেতন: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
চাকরির ধরন: সরকারি
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
আবেদন ফি: ১ নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ৩৩৫ টাকা, ২ থেকে ৫ নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা এবং ৬ ও ৭ নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাড়ে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় পাচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ

দেশজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি)’ শীর্ষক (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রায় ১৮ হাজার বিদ্যালয়ে এই সংযোগ স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতেও দ্রুত সংযোগ কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চলছে।
জানা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে সব বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে ঈদুল আজহাসহ অন্যান্য সরকারি ছুটিতেও আইএসপি (ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী) প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপজেলাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অন্তত তিন দিন আগে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, অবশিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে এবং তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে। সংযোগ প্রদান ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহজে অনলাইন শিক্ষাসামগ্রী ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা থাকছে না

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিববন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বয়সসীমার জটিলতায় অনেক প্রার্থী নিয়োগবঞ্চিত হন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর কোনো বয়সসীমা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (২৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ‘বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ সংশোধনে এ সভা ডাকা হয়েছিল।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-এখন থেকে শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। গণবিজ্ঞপ্তির সময় কারও বয়সসীমা বিবেচনা করা হবে না। যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সনদ অর্জন করতে পারবেন, তারা সবাই গণবিজ্ঞপ্তিতেও আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভা শেষে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন পরীক্ষা ও গণবিজ্ঞপ্তি-উভয় ক্ষেত্রে বয়সসীমা দেখা হয়। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ নিবন্ধন সনদ অর্জনের সময় যার বয়স ছিল, তিনি কেন সনদ অর্জনের পর বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ায় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না? তাহলে তার সনদ অর্জনের প্রয়োজনটা কী?
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর দেখা যায়, দুই ক্ষেত্রে বয়সসীমা দেখা অযৌক্তিক। সেজন্য শুধুমাত্র নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় প্রার্থীর বয়স দেখা হবে। আর গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমার কোনো বাধা থাকবে না। যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তারা সবাই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, বিধিমালা সংশোধনের সুপারিশ করে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে। দুই মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় পাওয়ার পর বিধিমালাটি প্রকাশ করা হবে।
তবে তার আগেই যদি কোনো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাহলে তা নতুন সংশোধিত বিধিমালার আওতায় পড়বে না বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বিজ্ঞান উৎসবের ঝলক, চার ক্যাটাগরিতে লাখ টাকার পুরস্কার বিতরণ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ইসমাইল আল জাযারি’ বিজ্ঞান উৎসব-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে। বিজয়ীদের মাঝে চার ক্যাটাগরিতে লাখ টাকার পুরস্কার বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় সিএসই বিভাগের মো. নাসিম আলী, মো. ইয়াসির আরাফাত, নাফিজ ইমতিয়াজের গ্রুপ প্রথম স্থান পেয়েছে। একই বিভাগের মাহারুব হোসেন উৎশো, আসাদুল্লাহ মো. মামুন আলীর গ্রুপ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এবং আইইউ বিট ব্যাঙ্গারস গ্রুপ মো. সুমন মিয়া, মো. নাজমুল হোসেন, সুজন রায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে আল-কাসাভ ইনোভেশন (সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাংনী, মেহেরপুর), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা সায়েন্স অ্যান্ড রোবোটিক্স ক্লাব (দর্শনা সরকারি কলেজ), তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে দ্য কোয়ান্টাম মাইন্ডস (হাসিব ড্রিম স্কুল অ্যান্ড কলেজ), রুবিক’স কিউব প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে মুনেম আল রিয়াদ (কুষ্টিয়া জিলা স্কুল), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মো. সাকিব আল মবিন (কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া), তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে জুবাইর আহমেদ (হার্ভার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঝিনাইদহ), সায়েন্স অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরি প্রথম স্থান অধিকার করেছে মো. রাশিদুল হক ফার্মেসি (ইবি), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে আকাশ রহমান ফার্মেসি (ইবি), তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মো. মতিউর রহমান ফার্মেসি (ইবি)।
স্কুল ক্যাটাগরি প্রথম স্থান অধিকার করেছে আব্দুল্লাহ (দশম শ্রেণি, কুয়াতুল ইসলাম কামিল মাদরাসা), দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নাবিল সাদিক (দশম শ্রেণি, ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মাহিন আব্দুল্লাহ (নবম শ্রেণি, পাবনা জিলা স্কুল)।
বুধবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিজ্ঞান উৎসবের সমাপ্তি হয়।
ইবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক এবং ইবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু মুসা এবং কেন্দ্রীয় কলেজ ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এই বিজ্ঞান উৎসবের বেশ কয়েকটি স্টলে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রদের যে উদ্ভাবন সেগুলো দেখে আমি অভিভূত। তাদেরকে সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে পারলে আগামী দিনে বাংলাদেশ চেঞ্জ হবে এবং অনেকদূর এগিয়ে যাবে। আমরাও চেষ্টা করবো বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার। আমাদের আগামী যে বরাদ্দ আসবে আমরা চেষ্টা করবো সেখান থেকে এই ফেস্টের জন্য যেন আমরা কিছু অবদান রাখতে পারি। চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর যে নতুন প্রজন্ম এসেছে তাদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, আমাদের দেশে মেধার মূল্যায়ন হচ্ছিল না। আমরা চাই ক্রিয়েটিভদের সুযোগ দেয়া হোক, মেধার ভিত্তিতে আমাদের সমাজ গড়ে উঠুক। বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক দিক থেকে পিছিয়ে। আমরা দেখছি তরুনদের অনেকে নেশায় আসক্ত। আবার মাঝে মাঝে অনেক ক্রিয়েটিভ তরুনদের দেখি, যারা এই সমাজকে পরিবর্তন করতে চায়। মুসলমানদের হাত ধরে অনেক ইনভেনশন হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীতে অস্থিরতার অন্যতম কারন বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে আলাদা করে ফেলা। মুসলমানদের হাতে যখন পৃথিবীর নেতৃত্ব ছিল তারা ক্রিয়েটিভ জিনিস আবিষ্কারের পিছনে ছিল। তারা কিন্তু পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেন নি। তবে মনে রাখতে হবে, মেধাবীরা অনেক সময় দেশ বিক্রিতে এগিয়ে থাকে। সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করা হয় কিন্তু দেশের দায়িত্বশীলরা কিছুই বলে না। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো হবে, কিন্তু আমাদের উপর দাদাগিরি করতে আসবেন না। মেধাবীরা সঠিক মূল্যায়ন পেলে এই দেশ অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, প্রজেক্ট প্রদর্শনী, রুবিক্স কিউব প্রতিযোগিতা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-সহ চারটি ক্যাটাগরিতে এ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইরানের আল-মোস্তফা আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন ইবি উপাচার্যের

ইরানের প্রখ্যাত আল-মুস্তফা আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটি’র ঢাকাস্থ বাংলাদেশ অফিস পরিদর্শন করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের প্রতিনিধি পরিচালক শাহাবুদ্দিন মাশায়েখী রা’দের আমন্ত্রণে ইবি উপাচার্য পরিদর্শনে যান। এসময় শাহাবুদ্দিন মাশায়েখী রা’দের সাথে বৈঠক করেন তিনি।
এই বৈঠকে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে উচ্চতর শিক্ষা, গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতা, ছাত্র-শিক্ষক বিনিময়, উচ্চতর শিক্ষা এমফিল ও পিএইচডি গবেষণার জন্য স্কলারশিপ, বিজ্ঞান শিক্ষা, পার্সি ভাষা কোর্স চালুসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে একটি এমওইউ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ মনে করেন, উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে কাজ করতে পারলে শিক্ষা-সংস্কৃতি গবেষণা উন্নয়নে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাইলফলক স্থাপিত হবে।
উল্লেখ্য, আল-মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (এমআইউ) একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ইসলামি এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক শাখা এবং অনুমোদিত স্কুল রয়েছে যা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে খুবই কাছাকাছি পর্যায়ের মিল রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টি স্নাতক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের (মহিলা পণ্ডিত সহ) ইসলামি শিক্ষা প্রদান করেছে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে হচ্ছে ‘বিশেষজ্ঞ পুল’

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘জেলা বিশেষজ্ঞ পুল’ গঠন করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মূলত, শিক্ষা কর্মকর্তা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিতের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি জেলার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে, যারা শিক্ষক প্রশিক্ষণে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন।
বুধবার (২১ মে) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও সমন্বয় অনুবিভাগের সহকারী সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিশেষজ্ঞ পুলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে। এই পুলের সদস্যরা ৩ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ পুলে অন্তর্ভুক্তির জন্য শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, ‘জেলা বিশেষজ্ঞ পুল’-এ অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে প্রার্থীদের অবশ্যই যেকোনো বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা, সরকারি চাকরি সংক্রান্ত কার্যক্রম, বাজেট ব্যবস্থাপনা বা সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার যেকোনো একটি ক্ষেত্রে তাদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। অবশ্য, সরকারি ও বেসরকারি—উভয় ক্ষেত্রের আগ্রহী ব্যক্তিরা এই পুলে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পুলে অন্তর্ভুক্ত হলে সরকারি বিশেষজ্ঞরা সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সম্মানী পাবেন। আর বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের প্রতিটি সেশনের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হবে। তবে বেসরকারি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশনা, গবেষণাপত্র কিংবা জাতীয় দৈনিক বা স্বীকৃত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ বা নিবন্ধ থাকা বাধ্যতামূলক বলেও জানানো হয়েছে।