জাতীয়
বিরোধী দল কারা, জানা যাবে শপথের পর: আইনমন্ত্রী

বিরোধী দল কারা হবে, শপথ নেওয়ার পর তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বিরোধী দল প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমার মনে হয় আপনাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়ার জন্য। বুধবার শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কী হবে, তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। তাদের অবস্থান ঘোষণা হওয়ার পরই বিরোধী দল কারা হবে, তা বুঝতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্যরা বুধবার শপথ নেবেন। আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা ও পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন। তারপর নতুন সরকার গঠন হয়ে যাবে। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত গঠিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে।
আনিসুল হক বলেন, সরকার গঠনের জন্য কোনো সময়সীমা নেই। কিন্তু রীতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে নতুন সরকার ঘোষিত হয় ও শপথ নেয়। আমার মনে হয় এবারো তাই হবে। এটি আমার ধারণা। তবে দিনক্ষণ আমি বলতে পারব না। প্রথমে নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শপথ নিতে হবে এমপিদের।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের একটি মোর্চা হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, কেন হতে পারবে না। স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন, তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজেরা একটা মোর্চা করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারবেন। তখন বিরোধী দল হিসেবে কাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তা জানা যাবে। কিন্তু, আমার মনে হয় বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন প্রয়োজন। স্বতন্ত্রদের যথেষ্ট আসন আছে। ৬২টি আসনে তারা জয়ী হয়েছেন।
স্বতন্ত্ররাও তো আওয়ামী লীগের, তাহলে বিরোধী দলও কি একই দলের হয়ে গেলো না, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, যারা স্বতন্ত্র নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগ হিসেবে নির্বাচিত হননি, তাদের প্রতীক ছিল ভিন্ন। নৌকা মার্কায় কেবল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। কাজেই স্বতন্ত্ররা আওয়ামী লীগার, এটি মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইনের কথা বা বাস্তবতার কথা তা নয়। তারা যদি মনে করেন একটি মোর্চা করেন, তখন বিরোধী দল কারা হবে, তখন নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিরোধী দল হতে হলে কতটি আসন পেতে হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি আসনসংখ্যা আছে। তবে তা এখন বলতে পারছি না।

জাতীয়
ভ্যাট বাড়ালে একসময় শুধু প্যাকেট থাকবে, বিস্কুট-রুটি নয়

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত বাজেটে বিস্কুট ও পাউরুটির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে বিস্কুট-পাউরুটির দাম বাড়ানোসহ প্যাকেট আরও ছোট করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিস্কুট-পাউরুটির কাঁচামাল গম, তেল ও চিনির দাম বাড়লেও আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি। কিন্তু সরকার ভ্যাট বাড়িয়ে আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত বিস্কুট-পাউরুটি দিয়ে নাশতা করে। এগুলোকে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে ভ্যাট শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে কোম্পানির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হোক, কিন্তু বিস্কুট-পাউরুটির ওপর নয়।
তিনি বলেন, আমাদের লজ্জা লাগে আরও কত প্যাকেট ছোট করবো। ভ্যাটের কারণে একদিন দেখা যাবে, শুধু প্যাকেট থাকবে কিন্তু বিস্কুট ও পাউরুটি থাকবে না।
শফিকুর রহমান বলেন, আগে যাকে আমরা ফ্যাসিস্ট বলতাম, তারাও পাউরুটি-বিস্কুটের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট রেখে গেছে। তাহলে এখন কেন ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট করা হলো? আমার প্রশ্ন তাহলে ফ্যাসিস্ট কারা? ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে দাম বাড়বে তখন আমাদের দায়ী করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবাদ-সমালোচনা উপেক্ষা করে শ্রমজীবী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবার রুটি-বিস্কুটে বাড়তি ভ্যাট চাপিয়ে সরকার প্রমাণ করছে, তারা পূর্ববর্তী সরকারের চেয়েও বৈষম্যমূলক ও পশ্চাৎপদ করনীতির দিকে যাচ্ছে, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার সরাসরি পরিপন্থি।
শফিকুর রহমান বলেন, সরকার সুপারশপগুলো থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে, অথচ গরিবের নিত্যখাদ্যে ভ্যাট বাড়িয়েছে। ধনীদের জন্য ছাড়, আর গরিবের খাবারে কর কেন? এটা কেবল বৈষম্যমূলক নয়, বরং অনৈতিক এবং জাতিকে অপমান করার শামিল।
অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, গবেষণা প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, শ্রমজীবী মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন রুটি ও বিস্কুট খেয়ে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করে। আবার বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, খাদ্যনিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ ‘রেড জোনে’। এ পরিস্থিতির মধ্যে গরিবকে শোষণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের অনৈতিক ও পশ্চাৎপদ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি, যদি রাজস্ব সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আমাদের শিল্পের চেয়ারম্যান ও ধনী ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করুন। কিন্তু ভ্যাট কেন? সরকার আসলে বিস্কুট-রুটি কোম্পানিকে ব্যবহার করছে গরিব শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। আমরা এই ভূমিকায় যেতে চাই না। এ ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা মনে করি চাল-ডালের মতোই বিস্কুট রুটি নিত্যপ্রয়োজনীয়। তাহলে রুটি বিস্কুটে ভ্যাট কেন থাকবে?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ সরকার, কিষওয়ান ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান প্রমুখ।
জাতীয়
ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৬ লাখ আনসার

নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সারাদেশের ভোটকেন্দ্রে সাড়ে ৬ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে। এর জন্য নতুন করে এক লাখ ৮০ হাজার আনসার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুরের আনসার একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনসার সদস্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকবে। নাশকতার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আনসার বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সব সদস্যের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণে যারা টিকে থাকবে তারাই আনসার বাহিনীতে সেবা দেওয়ার উপযোগী বলে বিবেচিত হবে।
এসময় আনসারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
নদী দূষণের সঙ্গে জড়িত কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা: রিজওয়ানা হাসান

নদী দূষণের সঙ্গে জড়িত শিল্প-কারখানার (ডায়িং ফ্যাক্টরি) বিরুদ্ধে শিগগির কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘রাজধানী ঢাকার টেকসই উন্নয়নে বিকেন্দ্রীকরণ ও পরিবেশ সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নদীগুলোকে শিল্প বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। ব্যবসায়িক লাভের জন্য বর্জ্য শোধন না করে সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। নদী সৃষ্টি করা সম্ভব নয়, তাই এর ধ্বংসও বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে সাভারে নেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল আসেনি। পরিবেশ রক্ষায় শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। নদী দূষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
নদী দূষণে জড়িত ডায়িং ও ট্যানারি শিল্পের বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীকে দূষণমুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর অংশ হিসেবেই এসব শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাথর ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের চলমান অভিযানে অনেকে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এখানে পাথর হলো খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আর বালুর বিষয়টা ভূমি মন্ত্রনালয়ের। অথচ পরিবেশ বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষও এর প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যে উন্নয়ন নদী, কৃষি এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, সেটি উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের নামে এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। পরিবেশ দূষণে শুধু সরকারের দায় নয়, শিল্প উদ্যোক্তাদেরও সমান দায়িত্ব রয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলামসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
জাতীয়
কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা কিংবা কোনো ষড়যন্ত্রই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিএডিসি হিমাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্বাচনের আগে সব অস্ত্রই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
সীমান্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বৃষ্টির কারণেই বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টি কমলে সবজির দামও কমে আসবে। তবে আলুর দাম বাজারে অতিরিক্ত কমে যাওয়ার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জাতীয়
ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার

তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১৩ বছর পর পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকায় সরকারি সফরে এলেন।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে গত দুই দশকের শীতল সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচ গত এপ্রিলেই ঢাকা সফর করেন। সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার ইসহাক দার এসেছেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সম্পর্ককে পুনরায় সক্রিয় করার পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক যোগাযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই সফর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ২৩-২৪ আগস্ট বাংলাদেশে একটি সরকারি সফর করবেন। ঢাকায় উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন।
এই বৈঠকগুলোতে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর এবং বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ঢাকা সফরকালে ইসহাক দার বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তারই অংশ হিসেবে দার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের বাসায় দেখা করতে যাবেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে দারের।