জাতীয়
দ্বাদশ সংসদে যাচ্ছেন শেখ হাসিনাসহ ১৯ নারী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ১৯ নারী।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। এর মধ্যে ২২৫টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিভিন্ন আসন থেকে আরও ১৮জন নারী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
শেখ হাসিনা ছাড়া বিজয়ী বাকি ১৮ নারী প্রার্থী হলেন- শেরপুর-২ থেকে মতিয়া চৌধুরী, রংপুর-৬ থেকে শিরীন শারমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-২ থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার, বগুড়া-১ থেকে শাহাদারা মান্নান, কক্সবাজার-৪ থেকে শাহীনা আক্তার চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ থেকে দীপু মনি, মাদারীপুর-৩ থেকে তাহমিনা বেগম, সিরাজগঞ্জ-২ থেকে জান্নাত আরা হেনরী, হবিগঞ্জ-১ থেকে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-১ থেকে সৈয়দা জাকিয়া নূর, গাইবান্ধা-৩ থেকে উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাজীপুর-৩ থেকে রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ থেকে সিমিন হোসেন রিমি, মুন্সীগঞ্জ-২ থেকে সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সুনামগঞ্জ-২ থেকে জয়া সেনগুপ্ত, গাইবান্ধা-১ থেকে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, বাগেরহাট-৩ থেকে হাবিবুন নাহার ও বরগুয়া-২ থেকে সুলতানা নাদিরা।
এর মধ্যে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, জয়া সেনগুপ্তা, তাহমিনা বেগম ও আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৫টি আসন পেলেও জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। আর ১টি আসন পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। তবে সবচেয়ে বেশি চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
নির্বাচনের সময়সীমা ৩০ জুন পেরোবে না: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন ৩০ জুনের ওই পাড়ে যাবে না। এতে বিভিন্ন দলের নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (২৫ মে) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রফেসর ইউনূসকে সমর্থন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, আমরা যে সংস্কার করছি, আমরা যে বিচার কাজ শুরু করেছি, নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করেছি, সেটাতে তারা সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।
সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, অনেকগুলো বিষয়ে কথা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, সংস্কারের বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করবেন। ৩০ জুনের ওই পাড়ে যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি

চার অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুতির বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর বিক্ষোভ করে আসছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যেই অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
অধ্যাদেশ বলা হয়েছে, সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যে কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যে কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন- তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া, দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি থেকে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত দণ্ড প্রদান করা যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সবাই একসঙ্গে বসায় মনে সাহস পেলাম: প্রধান উপদেষ্টা

সবাই একসঙ্গে বসায় মনে সাহস পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বরেন বরে উপদেষ্টার বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আমরা বড় যুদ্ধ অবস্থার ভেতরে আছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পরে দেশকে যত রকমভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, এটা থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। বিভাজন থেকে উদ্ধার পেতে হবে। ঐকমত্য থাকতে হবে। আত্মমর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে যতটুকু দাঁড়াতে পেরেছি, এটা যেন সামনের দিকে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না পারলে আমি অপরাধ অনুভব করবো। অভ্যুত্থানের কারণে মহা সুযোগ পেয়েছি। ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশকে টেনে আনা এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের ভেতরে এবং বাইরে, যেন আমরা এগোতে না পারি, যেন সবকিছু কলাপস হয়ে যায়, আবার যেন গোলামিতে ফিরে যাই।
তিনি বলেন, যারা এই কন্সপাইরেসি করছে, তাদের উদ্দেশ্য যেন গোলামিতে ফিরে যাই। আমি যতদিন আছি, দেশের অনিষ্ট হবে এমন কোনো কাজ আমাকে দিয়ে হবে না, নিশ্চিত থাকেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা থাকছে না

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিববন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বয়সসীমার জটিলতায় অনেক প্রার্থী নিয়োগবঞ্চিত হন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর কোনো বয়সসীমা না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (২৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ‘বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ সংশোধনে এ সভা ডাকা হয়েছিল।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-এখন থেকে শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে। গণবিজ্ঞপ্তির সময় কারও বয়সসীমা বিবেচনা করা হবে না। যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সনদ অর্জন করতে পারবেন, তারা সবাই গণবিজ্ঞপ্তিতেও আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভা শেষে একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন পরীক্ষা ও গণবিজ্ঞপ্তি-উভয় ক্ষেত্রে বয়সসীমা দেখা হয়। এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ নিবন্ধন সনদ অর্জনের সময় যার বয়স ছিল, তিনি কেন সনদ অর্জনের পর বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ায় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না? তাহলে তার সনদ অর্জনের প্রয়োজনটা কী?
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর দেখা যায়, দুই ক্ষেত্রে বয়সসীমা দেখা অযৌক্তিক। সেজন্য শুধুমাত্র নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় প্রার্থীর বয়স দেখা হবে। আর গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমার কোনো বাধা থাকবে না। যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তারা সবাই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, বিধিমালা সংশোধনের সুপারিশ করে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে। দুই মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় পাওয়ার পর বিধিমালাটি প্রকাশ করা হবে।
তবে তার আগেই যদি কোনো গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাহলে তা নতুন সংশোধিত বিধিমালার আওতায় পড়বে না বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এখনো পদ্মা সেতুর জন্য মোবাইল রিচার্জে কাটছে টাকা

দেশে বর্তমানে ১৯ কোটি গ্রাহক আছে চারটি মোবাইল অপারেটরের। ভয়েস কল, ইন্টারনেটসহ সব সেবা পেতে টাকা রিচার্জ করেন এসব গ্রাহক। তবে গ্রাহকের রিচার্জের একটি অংশ এখনো চলে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর জন্য। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে শুরু হয় পদ্মা সেতুর জন্য সারচার্জ।
সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। পদ্মা সেতু চালুর তিন বছর পার হলেও এখনো সারচার্জ দিচ্ছেন মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা। প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে নেওয়া হয় ১ টাকা। ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকার সারচার্জ বাবদ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
তবে এই সারচার্জ বন্ধ চান মোবাইল অপারেটররা। আগামী বাজেটে এটি তুলে নেওয়ার আহ্বান তাদের। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই খাতে কোনো প্রকার ভর্তুকি দিতে রাজি নয় সরকার। সারচার্জের যৌক্তিকতা নিয়েও ভাববে তারা।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ১ শতাংশ যে সারচার্জ পদ্মা সেতুর জন্য কালেক্ট করা শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চালু আছে।
সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে মোবাইল অপারেটরদের দেওয়া রাজস্বের পরিমাণ ২ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। যার এক শতাংশ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
এর আগে যমুনা সেতু নির্মাণ তহবিলের জন্য বাস, ট্রেন ও সিনেমার টিকিটে সারচার্জ আরোপ করা হয়েছিল। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে যা তুলে নেওয়া হয়।
চলমান সারচার্জ তুলে দেওয়া ও টেলিকম খাতের কর কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন মোবাইল অপারেটররা।