জাতীয়
যেভাবে গঠন হবে নতুন মন্ত্রিসভা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হতে পারে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি দুটি আসনের ভোট স্থগিত রয়েছে।
ফলাফলে দেখা যায়, ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২২৫টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি এবং ৬১টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ ১৫১টি বা তার বেশি আসনে যে দল জয়ী হন তারাই সরকার গঠন করেন। যেহেতু আওয়ামী লীগ ১৫১টির বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে। ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
এর আগের চারবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিচ্ছেন— এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই আওয়ামী লীগে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টানা চতুর্থবার ও মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে।
যেভাবে গঠন হবে নতুন মন্ত্রিসভা
নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গেজেট জারির পর তাদের শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যরা বৈঠক করে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করবেন। রাষ্ট্রপতি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যদের ভেতর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর মধ্য দিয়েই নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হবে।
মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। যে সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন।

জাতীয়
মিশর থেকে তুলা আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব রাষ্ট্রদূতের

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমী। এসময় তিনি মিশর থেকে তুলা আমদানি আরও বাড়াতে প্রস্তাব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টাকে।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মিশর বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্র এবং দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও টেকসই করতে বাণিজ্য বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। এসময় তিনি বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মিশরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি, বিশেষত পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, ওষুধ ও সিরামিকসের মতো খাতগুলোতে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন উপদেষ্টা।
এ সময় মিশরের রাষ্ট্রদূত বলেন, মিশর আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতীম দেশ। মিশর ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। মিশর বাংলাদেশে পেট্রোকেমিক্যাল, সার ও উন্নতমানের কাঁচা তুলা রপ্তানি করে থাকে।
বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মিশরের উন্নতমানের তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানসম্মত তৈরি পোশাক রপ্তানির আরও বেশি সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
ডিএমপির সাত পুলিশ পরিদর্শককে বদলি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার সাতজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত পৃথক তিন আদেশে তাদের বদলি করা হয়।
আদেশগুলো অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও বলা হয়েছে।
জাতীয়
ইসির ৬ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

নির্বাচন কমিশনের ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এই ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে সংস্থাটি।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. রাকিবুল হায়াত সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারী আর্থিক বিধি বিধান লঙ্ঘনপূর্বক সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণপূর্বক টেন্ডার ব্যতিত বাজার মূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ নিম্নমানের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে।
এজন্য ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার এবং ওই সময়ের সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনকে বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন।
চিঠিতে ওই ছয় কর্মকর্তাকে আগামী বুধবার (২ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়। অর্ধেকের বেশি মেশিন নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি বাতিল করেছে ইসি।
জাতীয়
তেহরান থেকে প্রত্যাবাসিত ২৮ বাংলাদেশি এখন করাচিতে

তেহরান থেকে দেশে প্রত্যাবাসিত ২৮ সদস্যের বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রথম দলটি বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থান করছে। সোমবার (৩০ জুন) তারা করাচি থেকে বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরান থেকে প্রত্যাবাসিত ২৮ বাংলাদেশি রোববার (২৯ জুন) ভোরে পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে করাচি এসেছেন। তাদের আজ রাতে সেখানকার হোটেলে রাখা হবে। সোমবার তারা করাচি থেকে বিমানযোগে ঢাকার পথে রওনা হবেন।
ইরান থেকে দেশে ফিরতে আগ্রহী ২৫০ বাংলাদেশি তেহরান দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশিকে ধাপে ধাপে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
ইরানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি আছেন।
জাতীয়
সবার জন্য বাসযোগ্য ও বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে চাই: প্রধান উপদেষ্টা

থ্রি জিরোর লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। থ্রি জিরো হলো- শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এর মাধ্যমে আমরা সবার জন্য বাসযোগ্য ও বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ‘সোশ্যাল বিজনেস অ্যাকাডেমিয়া ডায়লগ’ ও ‘থ্রি জিরো ক্লাব কনভেনশন’ অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ইউনূস সেন্টার।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সোশ্যাল বিজনেস শুধু একটি ধারণা নয়, এটি এখন একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে সোশ্যাল বিজনেস চর্চার ক্ষেত্রে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি দীর্ঘদিন ধরে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। সোশ্যাল বিজনেস ফোরাম আয়োজন ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অন্যদের জন্য একটি শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, নিযামী গঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের কো-চেয়ার এবং বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইসমাইল সেরাগেলদিন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, নরওয়ের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ও ইউএন এনভায়রনমেন্টের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এরিক সোলহেইম এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।
অনুষ্ঠান শেষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে তিনটি সেন্টার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সেগুলো হলো- এনএসইউ সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার, এনএসইউ সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি সেন্টার এবং এনএসইউ ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্স সেন্টার।