রাজনীতি
এ নির্বাচন জনগণের বিজয় : ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘জনগণের বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলো বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভোট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের বর্জন করেছে। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হরতাল-অবরোধ দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় অতীতে হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, সহিংসতা করেছে। অপরাজনীতির কুচক্রে তারা আটকে গেছে। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক বন্ধুদের এবং বাংলাদেশের বন্ধুদের। বিদেশি সাংবাদিকরা ও আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রত্যক্ষ করেছেন এই নির্বাচন।
তিনি বলেন, আজকে বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা, একজনের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আমাদের পার্টির প্রধান শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, সরকার প্রধান হয়েও স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে। আজ সবাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা করা, ফ্যাসিলিটেড করা, কো অপারেশন দিয়ে শেখ হাসিনা যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানায় শেখ হাসিনার প্রতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনী আয়োজন ও পরিচালনায় নিয়োজিত সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। গণমাধ্যমে ৩৭ টি সহিংসতার খবর পেয়েছি। যা ৪২ হাজার কেন্দ্রের তুলনায় নগণ্য।
গুজব, গুঞ্জন অপ্রপচার-মিথ্যাচারে বিএনপি জামায়াতের কোনো জুড়ি নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা কথা কথায় বলে তাদের হাজার হাজার লোক জেলের মধ্যে আছে। আমার প্রশ্ন এরা কেন জেলে আছে? এটা ২৫ হাজার হবে না। আমি কথা বলেছি এ সংখ্যাটি তারা যা বলছে তার অর্ধেকেরও কম। কিন্তু কি কারণে তারা জেলে গেছে? কেউ অপরাধ করলে পার পেয়ে যাবে? ১৩, ১৪, ১৫ অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, পরে আত্মগোপন করেছিল বিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য, শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সে নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। তাদের পুরোনো অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। জেলে আছে। বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই ঢাকা সিটিতে এবং সারা বাংলাদেশে আমাদের নেত্রী সমাবেশে করেছে, ভার্চুয়ালি সমাবেশ করেছে। বিশাল বিশাল সমাবেশ করেছেন। সাইড বাই সাইড বিএনপির ও বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। একটা উদাহরণ কি আছে তাদের পদযাত্রায়, মানববন্ধনে হামলার চেষ্টা করেছি। তাহলে কেন তারা এই অভিযোগ করে আপনাদের চিন্তা করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

রাজনীতি
জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিলো বিএনপি

জুলাই সনদ নিয়ে দলীয় মতামত ঐক্যমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (২০ আগস্ট) কমিশনে তা জমা দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির জানান, জুলাই সনদের খসড়ায় মতামত বুধবার সন্ধ্যায় ঐক্যমত্য কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন সংলাপ বিষয়ে বিএনপির দলনেতা ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে জুলাই সনদের মতামত জামা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত মতামত জমা দেওয়া যাবে। বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫-এর চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোকে দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সে সময় ২০ আগস্টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে মতামত জমা দিতে বলা হয়েছিল।
রাজনীতি
ভোটের পরিবেশ এখনো সুষ্ঠু নয়: ড. হেলাল উদ্দিন

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত না করে জাতীয় নির্বাচনে গেলে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিনা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ঢাকা-৮ আসনের অর্থাৎ পল্টন মতিঝিল রমনা শাহবাগ শাজাহানপুর অঞ্চলের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। এই সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ব্যতীত প্রহসনের কোন নির্বাচন বিশ্ব সম্প্রদায়ও গ্রহণ করিবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার জন্য এবং দেশি-বিদেশি স্বীকৃতি ও সমর্থনের জন্য অবশ্যই নির্বাচনের আগেই সকল দলের ও সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, পি আর ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না করে জাতীয় নির্বাচন দিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভবনা নেই। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদেরও নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটতে পারে। এভাবে প্রহসনের নির্বাচন অতীতেও এদেশের জনগণ মেনে নেয়নি, আগামীতেও মেনে নিবে না।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার জাতিকে একটি বিশ্বাসযোগ্য অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে না পারলে, সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হবে। জনগণ তাদের সহজেই ছাড় দেবে বলে মনে হয় না।
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রসঙ্গে হেলাল উদ্দিন বলেন, দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইলেও অদৃশ্য কোন শক্তির কারণে কিংবা চাপে সরকার পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। অনতিবিলম্বে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ গড়তে অতীতের মত ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সভাপতি শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে পল্টন থানা আমিরের শাহিন সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মহানগর কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, শাহবাগ পূর্ব থানা আমির আহসান হাবিব, মতিঝিল পূর্ব থানা আমির মো. নুরুদ্দিন, শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমির সরোয়ার হোসেন সহ বিভিন্ন থানা সেক্রেটারি, নায়েবে আমির প্রমুখ।
কাফি
রাজনীতি
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংকল্পে এই কর্মসূচি সাজানো হয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান।
এ উপলক্ষে বিএনপি আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ৩১ আগস্ট দুপুর ২টায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে দলের জেষ্ঠ্য নেতারাসহ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ অংশগ্রহণ করবেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
ওইদিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। পোস্টার প্রকাশ করা হবে।
২ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও পৌরসভায় আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হবে।
৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকাসহ দেশব্যাপী- (ক) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (খ) বৃক্ষ রোপণ অভিযান (গ) মৎস্য অবমুক্তকরণ (ঘ) ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ঙ) ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ৫ সেপ্টেম্বর সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিএনপির উদ্যোগে গোলটেবিল বৈঠক।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা গ্রিনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজনীতি
গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি মির্জা ফখরুল

থাইল্যান্ডে সাত দিনের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আবারও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় এসে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের অফিসে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বাসায় ফেরার পর অস্বস্তিবোধ করছিলেন তিনি। বিষয়টি জানার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ওনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, রাত ১টায় অধ্যাপক ড. এন এ এম মোমেনুজ্জামানের অধীনে ওনাকে ভর্তি করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। রাত ২টা ২০ মিনিটে জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন এখন ভালো আছেন।
এর আগে, গত ১৩ আগস্ট চোখের চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসা শেষে ছয়দিন পর দেশে ফেরেন তারা।
রাজনীতি
প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: তারেক রহমান

একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, প্রত্যেক মা-বাবা তার সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চান। প্রত্যেক মা-বাবার চাওয়া-পাওয়া কিংবা প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি গ্রহণ করছে। কারণ বিএনপি মনে করে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই আমাদের প্রচলিত ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিরোধ, প্রতিহিংসা ও কথামালার রাজনীতির পরিবর্তে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনীতির ধারার গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করছে। এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিন্তু আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো রকম সুযোগ নেই। এই সময়ের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে বিএনপি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সেক্টরকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর অথবা কোনো কারণে ড্রপআউট (পড়াশোনা শেষ করতে না পারলে) হলে তাকে যাতে বেকার জীবন কাটাতে না হয় সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই শিক্ষা কারিকুলামে স্কুল পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত অন্তত একাডেমিক স্টাডির পাশাপাশি ব্যাবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ দেড় দশকের বেশি সময় পর নিজেদের এজেন্ডা-ম্যানিফেস্টো বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর কিছু সদস্যের বক্তব্যে গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে নানা প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।
দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, দূরত্ব তৈরি হলে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পতিত, পরাজিত ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে উঠবে, তাদের সুযোগ তৈরি হবে। তাই সতর্ক ও সজাগ থাকতে গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাই।
কাফি