আন্তর্জাতিক
চলন্ত গাড়িতে রিলস বানাতে গিয়ে প্রাণ গেল চারজনের

গাড়ি চালিয়ে চারজন যুবক বানাচ্ছিলেন ইনস্টাগ্রামের রিলস। ঠিক তখনই গাড়িটি প্রথমে ধাক্কা দেয় পথচারী এক নারী ও তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে।
এখানেই শেষ নয়। এরপর গাড়িটি ধাক্কা দেয় আরেকটি গাড়ি ও গরুকে। ঐ গাড়িতে থাকা দুইজন ও পথচারীসহ মোট চারজনই নিহত হয়। এমনকি ধাক্কা দেওয়া গরুটিও মারা যায়।
ভারতের দেবীকোট এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িটি জয়শলমীর থেকে বার্মারের দিকে যাচ্ছিল।
ঘটনাটি সম্পর্কে এসপি বিকাশ সঙ্গোয়ান জানান, গাড়ির চালক মনে হচ্ছে মদ্যপ ছিলেন। এছাড়াও গাড়িটি প্রথমে একটি ব্যারিকেডে থামতে চায়নি।
পুলিশ জানায়, গাড়ি চালক অন্য একজনকে সাথে নিয়ে অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস

সপ্তাহের শেষে বড় পতনের মুখে পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজার। গতকাল শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি ৫০—উভয় সূচকেরই বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে আছে আরেকটি সূচক, ব্যাংক নিফটি। গতকাল তিনটি সূচকেই প্রায় ১ শতাংশ পতন হয়েছে।
গতকাল দিন শেষে সেনসেক্স সূচকের মান দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৮৫৭ দশমিক ৭৯ (-৭৬৫.৪৭), নিফটি ৫০ সূচকের মান ২৪ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৩০ (-২৩২.৮৫) আর ব্যাংক নিফটির মান হয়েছে ৫৫ হাজার ০০৪ দশমিক ৯০ (-৫১৬.২৫)। খবর ইকোনমিক টাইমস
বিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট বাজারমূল্য ₹৪৪৫ লাখ কোটি রুপি থেকে কমে গতকাল ₹৪৪০ লাখ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। সব খাতে ব্যাপক শেয়ার বিক্রির কারণে মাত্র এক অধিবেশনে বাজার মূলধন প্রায় পাঁচ লাখ কোটি রুপি কমে গেছে। সাপ্তাহিক হিসাবে দেখা গেছে, টানা ছয় সপ্তাহ সূচকগুলোর পতন অব্যাহত আছে। ৮ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে সেনসেক্স ও নিফটি ৫০—উভয় সূচকই প্রায় ১ শতাংশ করে পয়েন্ট হারিয়েছে।
গতকাল বড় ধাক্কা খেয়েছে এইচডিএফসি ও ভারতীয় এয়ারটেলের স্টক। ফলে আরও পতন হয়েছে সূচকের। সব খাতের সূচকেরই পতন হয়েছে গতকাল।
নিফটির অধিকাংশ খাতেই গত সপ্তাহে বড় পতন হয়েছে। নিফটি স্মল ক্যাপ ও মিড ক্যাপ যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ শতাংশ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ পড়েছে। পুরো সপ্তাহের বিবেচনায় ব্যাংক খাত ভালো মুনাফার মুখ দেখেছে। এ ছাড়া ধাতুও কিছুটা লাভের মুখ দেখেছে। কিন্তু আইটি, ফাইন্যান্স, জ্বালানি, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, এফএমসিজি ও ওষুধ খাতের বড় পতন হয়েছে।
গত সপ্তাহে একাধিক বড় কোম্পানির স্টকের দরপতন হয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের মতো। বস্ত্র রপ্তানি কোম্পানি কেপিআর মিল, গোকলদাস এক্সপোর্ট, বর্ধমান টেক্সটাইল, ট্রিডেন্টের স্টকের দাম অনেকটাই কমেছে। উল্টো দিকে আশার ছবি দেখিয়েছে হিরো মোটোকর্প। গতকাল বেড়েছে এলআইসির দামও।
দ্য মিন্টের সংবাদে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে ভারতের দুর্বল বাজার আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছে। কোম্পানিগুলোর আয় কমে যাওয়া, অতিমূল্যায়ন ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাওয়া—এসব উদ্বেগ এখনো কাটেনি। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও আক্রমণাত্মক অবস্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে ভারতের জিডিপি ১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
জিওজিত ইনভেস্টমেন্টসের গবেষণা প্রধান বিনোদ নায়ার বলেন, মার্কিন শুল্ক ভারতের রপ্তানিতে কী প্রভাব ফেলবে—এ আশঙ্কায় ভারতীয় শেয়ারবাজার তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা টানা শেয়ার বিক্রি করায় দেশি সূচকের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
নায়ার আরও বলেন, শুল্কসংক্রান্ত চলমান উদ্বেগের প্রভাব বিবেচনায় বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিতে শুরু করেছে। ২০২৫ ও ২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমানো হয়েছে। ফলে ভারতের বাণিজ্য ও সামষ্টিক অর্থনীতি ঘিরে যে অনিশ্চয়তা, তা কেবল বাড়ছেই।
এদিকে ভারতের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগও ধাক্কা খেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতের বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ চলে গেছে। মার্চের পর থেকে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা ভালো হয়। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে ভারতের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। কিন্তু জুলাই থেকে আবার বিদেশি বিনিয়োগ বেরিয়ে যাওয়ার ছবি সামনে এসেছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জেরে আগস্ট মাসেও সে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
চীনে প্রবল বর্ষণ-বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১৭, নিখোঁজ ৩৩

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই প্রদেশ গানসু ও গুয়াংডংয়ে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট হড়পা বান ও ভূমিধসে ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন কমপক্ষে ৩৩ জন।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া।
চীনের আবহাওয়া আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গানসু এবং গুয়াংডংয়ে ১৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের জেরে গানসুর চার জেলা ইউঝৌং, লানঝৌ, লিনজিয়া এবং বাইয়িন-এ ইতোমধ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইউঝৌং-য়ের জিংলং পার্বত্য এলাকার বন্যা কবলিত ৪টি গ্রাম থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে।
বর্ষণ ও ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে গানসুর উত্তরপূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। পাশাপাশি ভূমিধস এবং বন্যার কারণে বন্ধ আছে বেশিরভাগ সড়ক।
এদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে চীনের আরেক প্রদেশ গুয়াংডংয়ের একটি গ্রামে বড় ভূমিধসের ঘটেছে। কাদা-মাটি-জঞ্জালের স্তূপ থেকে থেকে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে জীবিত এবং ১৪ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও অন্তত ৩৩ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। কয়েক ডজন বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে ভূমিধসে।
জুনের মাঝামাঝি থেকে বর্ষাজনিত বিভিন্ন দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে চীনে। গত সপ্তাহে রাজধানী বেইজিংয়ে প্রবল বর্ষণ ও তার জেরে সৃষ্ট হড়কা বানে অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
কাফি
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩২ জন গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে আয়ার হিতাম শহরে বাংলাদেশিসহ ৩২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৬ আগস্ট স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট বন্দর বারু আয়ার হিতামে অপস বেলাঞ্জা, অপস সেলেরা, অপস সাপু এবং অপস কুটিপ অভিযানের মাধ্যমে মোট ৩২ জন বিদেশীকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জোহর জেআইএমের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রোসদি মোহাম্মদ দারুস এক বিবৃতিতে বলেন, জেআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন অ্যাকশন ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্য এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট বা পাস ছাড়াই কাজ করছে এবং বসবাস করায়, এই বিদেশিদের আটক করা হয়।
বন্দর বারু আয়ের হিতামের ১৬টি স্থানে পরিচালিত অভিযানে মোট ৬২ জন বিদেশী এবং স্থানীয় নাগরিককে তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে মোট ২০ জন পাকিস্তানি পুরুষ, নয়জন বাংলাদেশি পুরুষ এবং একজন পুরুষ এবং দুইজন ইন্দোনেশিয়ান মহিলাকে আটক করা হয়।
মোহাম্মদ রোসদির মতে, আটককৃত অভিবাসীরা ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে একটি অপরাধ করেছেন বলে যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করা হচ্ছে, অর্থাৎ বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবেশ এবং অবস্থান করা।
আন্তর্জাতিক
গাজা দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক সরকারি বিবৃতিতে গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদন কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা দখলের যে পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, তা মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ‘হামাসকে পরাজিত করার রূপরেখা’কে অনুমোদন দিয়েছে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে অবস্থানরত বেসামরিক মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য যেসব শর্ত ইসরায়েল দেবে, তার মধ্যে পাঁচটি মূলনীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য।
এই পাঁচটি মূলনীতি হলো—হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ, জিম্মি অবস্থায় থাকা বাকি ৫০ জনকে মুক্ত করা (যাদের মধ্যে আনুমানিক ২০ জন জীবিত), গাজা উপত্যকার সামগ্রিক নিরস্ত্রীকরণ, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়—এমন একটি বিকল্প বেসামরিক সরকারের হাতে গাজার প্রশাসন তুলে দেওয়া।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, গাজা দীর্ঘমেয়াদে দখলে রাখার পরিকল্পনা নেই। বরং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ এমন একটি বেসামরিক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যারা ‘ইসরায়েল ধ্বংসে আগ্রহী নয়’। তবে কার হাতে শাসনভার দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমরা গাজা থেকে হামাসকে উৎখাত করতে চাই, কিন্তু অঞ্চলটি নিজের কাছে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনী চাই, শাসন নয়। আমরা এমন আরব নেতৃত্বের হাতে গাজা তুলে দিতে চাই, যারা অঞ্চলটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে এবং আমাদের জন্য হুমকি হবে না।’
তবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। তিনি মন্তব্য করেন, ‘এ ধরনের প্রস্তাব মানে আরও দীর্ঘ যুদ্ধ, আরও জিম্মির প্রাণহানি এবং বিপুল অর্থের অপচয়।’
আন্তর্জাতিক
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা নাকচ করলেন ট্রাম্প

ভারতের সঙ্গে চলমান শুল্ক বিতর্কের অবসান না হওয়া পর্যন্ত কোনো বাণিজ্য আলোচনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রশাসন সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ওভাল অফিসে এএনআই-এর এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, এটা (বাণিজ্য আলোচনা) হবে না যতক্ষণ না বিষয়টি মীমাংসিত হয়।
এর আগে হোয়াইট হাউজে এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। যার ফলে ভারতের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানিকে কেন্দ্র করে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির ঝুঁকি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানায়, রাশিয়া থেকে সরাসরি বা মধ্যস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে আমদানিকৃত জ্বালানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অস্বাভাবিক এবং চরম ঝুঁকি তৈরি করছে, যা জরুরি অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণকে ন্যায্যতা দেয়।
প্রথম ২৫ শতাংশ শুল্ক ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। বর্ধিত শুল্ক ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে, যদিও চলমান পরিবহন ও নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির পণ্য এর আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চাপের বিরুদ্ধে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারতের কৃষক, জেলে ও দুগ্ধখাতের স্বার্থে কোনো আপস হবে না।
মোদী বলেন, আমাদের কাছে কৃষকদের স্বার্থই আগে। ভারতের কৃষক, জেলে ও দুগ্ধ খাতের স্বার্থে আমরা কখনোই আপস করবো না। এর জন্য যদি মূল্য চুকাতেও হয়, আমরা প্রস্তুত। ভারত প্রস্তুত।