জাতীয়
এক নজরে গত ১১টি সংসদ নির্বাচন

আজ ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নওগাঁ-২ ও গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। এতে দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশ নিচ্ছে। নির্বাচন বর্জন করছে বিএনপিসহ ১৬টি নিবন্ধিত দল।
দেশে এর আগে ১১টি সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ পাঁচ বার, বিএনপি চার বার ও জাতীয় পার্টি দুই বার জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ প্রথম, সপ্তম, নবম, দশম ও চলতি একাদশ সংসদ নির্বাচনে; বিএনপি দ্বিতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে। জাতীয় পার্টি তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়।
সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। অপরদিকে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম ও চলতি একাদশ সংসদ তার মেয়াদকাল পূরণ করে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর মধ্যে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে। সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ ভোট পড়ে এ নির্বাচনে। অন্যদিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়ে। এ নির্বাচনে ২৬.৫ শতাংশ ভোট পড়ে।
প্রথম সংসদ নির্বাচন
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন পেয়ে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। ১৪টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়। বিরোধীদের মধ্যে জাতীয় লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একজন করে এবং স্বতন্ত্র পাঁচ জন প্রার্থী বিজয়ী হন। এ নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৬১ শতাংশ। এ সংসদের মেয়াদ ছিল দুই বছর ছয় মাস।
দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫১.২৯ শতাংশ। এতে বিএনপি ২০৭টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। অন্য দলগুলো পায় ৭৭টি আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯টি, জাতীয় লীগ দুটি, আওয়ামী লীগ (মিজান) দুটি, জাসদ আটটি, মুসলিম ও ডেমোক্রেটিক লীগ ২০টি, ন্যাপ একটি, বাংলাদেশ গণফ্রন্ট দুটি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল একটি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল একটি ও জাতীয় একতা পার্টি একটি আসন হয়। নির্বাচিত বাকি ১৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ সংসদের মেয়াদ ছিল তিন বছর।
তৃতীয় সংসদ নির্বাচন
১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। ভোটের হার ছিল ৬৬.৩১ শতাংশ। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করে। অংশ নেয় মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল। জাতীয় পার্টি বাদে অন্য দলগুলো পায় ১১৫ আসন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭৬টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পাঁচটি, ন্যাপ (মোজাফফর) দুটি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি পাঁচটি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) তিনটি, জাসদ (রব) চারটি, জাসদ (সিরাজ) তিনটি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ১০টি, মুসলিম লীগ চারটি ও ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন পায়। বাকি ৩২ আসনে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ সংসদের মেয়াদ ছিল ১৭ মাস।
চতুর্থ সংসদ নির্বাচন
১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫১.৮১ শতাংশ। জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। নির্বাচনে আটটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ১৯টি আসন পেয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেন সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ)। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৫টি, জাসদ (সিরাজ) তিনটি ও ফ্রিডম পার্টি দুটি আসন লাভ করে। এ সংসদের মেয়াদ ছিল দুই বছর সাত মাস।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। এই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৪৫ শতাংশ। এ নির্বাচনে বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ৮৮টি, জাতীয় পার্টি ৩৫টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) পাঁচটি, জাসদ (সিরাজ) একটি, ইসলামী ঐক্যজোট একটি, জামায়াতে ইসলামী ১৮টি, সিপিবি পাঁচটি, ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) একটি, গণতন্ত্রী পার্টি একটি ও ন্যাপ (মোজাফফর) একটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনটি আসনে জয়লাভ করেন। সংসদের মেয়াদ ছিল চার বছর আট মাস।
ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সরকারের অধীনে হওয়া এ নির্বাচন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ অনেকগুলো দল বর্জন করে। ৪১টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপি ২৭৮টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। এর মধ্যে ৪৯টি আসনে বিএনপি প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টি একটি আসন পায়। বাকি ১০ আসনে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এছাড়া ১০টি আসনে ফলাফল অসমাপ্ত ছিল এবং একটি আসনের নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ২৬.৫৪ শতাংশ। এ সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন।
সপ্তম সংসদ নির্বাচন
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৪.৯৬ শতাংশ। এটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ৮১ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অন্য দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াতে ইসলামী তিনটি, ইসলামী ঐক্যজোট একটি ও জাসদ একটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন একটি আসনে। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
অষ্টম সংসদ নির্বাচন
২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি ১৯৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। ৫৪টি রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেয়। বিএনপি বাদে অন্য দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৬২টি, জামায়াতে ইসলামী ১৭টি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১৪টি, জাতীয় পার্টি (না-ফি) চারটি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) একটি, ইসলামিক ঐক্যজোট দুটি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ একটি আসন পায়। বাকি ছয় আসনে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৫.৫৯ শতাংশ।
নবম সংসদ নির্বাচন
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এটি সর্বশেষ ভোট। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এটি প্রথম ভোট। এতে ৩৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর মধ্যে বিএনপি ৩০টি, জাতীয় পার্টি ২৭টি, জাসদ তিনটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) একটি, জামায়াতে ইসলামী দুটি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) একটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয় চার আসনে। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭.১৩ শতাংশ।
দশম সংসদ নির্বাচন
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলো। ফলে ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। এ নির্বাচনে মোট ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। আওয়ামী লীগ একাই ২৩৪টি আসন পায়। জাতীয় পার্টি ৩৪টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬টি, জাসদ (ইনু) ৫টি, তরীকত ফেডারেশন ২টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২টি, বিএনএফ ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসনে জয়লাভ করে। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০.০৪ শতাংশ।
একাদশ সংসদ নির্বাচন
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৯টি নিবন্ধিত দলের সবাই অংশ নেয়। মোট প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৬৫ জন। এ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০.২০ শতাংশ। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৮টি আসন পায়। জাতীয় পার্টি ২২টি এবং মহাজোটভুক্ত অন্য দলগুলো ৮টি আসনে জয়ী হয়। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টভুক্ত বিএনপি ৬টি, গণফোরাম ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসনে জয়ী হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাতে জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে জাপান যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে তিনি জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
জাপানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন,আজ রাত ২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর।
প্রেস সচিব জানান, সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সে দেশের ব্যবসায়ী ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কৃষি, অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রেস সচিব আরও জানান, দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সাতটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়া শহরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তার সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় ৩ ঘণ্টার এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, আজ ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নব্বইয়ের দশকে ঢাকার অপরাধজগতের আলোচিত নাম ছিল সুব্রত বাইন। আধিপত্য বিস্তার করে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিতে তার নাম আসা ছিল তখনকার নিয়মিত ঘটনা। এসব কাজ করতে গিয়ে অসংখ্য খুন-জখমের ঘটনাও ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, মূলত নব্বইয়ের দশকে মগবাজারের বিশাল সেন্টার ঘিরেই উত্থান হয় সুব্রত বাইনের। তিনি এই বিপণিবিতানের কাছে চাংপাই নামে একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িয়ে যান। পরে বিশাল সেন্টারই হয়ে ওঠে তার কর্মকাণ্ড পরিচালনার কেন্দ্র। এ জন্য অনেকে তাকে ‘বিশালের সুব্রত’ নামেও চেনেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সীমান্তে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমাদের সীমান্তে নিরাপত্তার কোনো অভাব নেই। জনগণ সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। সীমান্ত সম্পন্ন নিরাপদ। আমার বাহিনী সবসময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে। কোনো রকমের অশান্তি বর্ডারে হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার সকালে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটা জানিয়েছেন তিনি। কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, ভাষণ, নবীন ডেপুটি জেলারদের র্যাংক ব্যাচ প্রদান এবং জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে পুশ ইনের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য আমরা প্রতিবাদও করেছি। তারা বাংলাদেশি, তারা আমাদের ভাই। তাদের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বলছি- তোমরা প্রপার চ্যানেলে পাঠাও। আমাদের দেশে যারা অবৈধভাবে থাকে, তাদের কিন্তু আমার প্রপার চ্যানেলে পাঠাই। কিন্তু উনারা (ভারত) এটা করছে না। আমরা তাদের বলছি, তোমরা প্রপারভাবে পাঠাও। যদি আমার দেশের নাগরিক হয় তাহলে অবশ্যই তাকে আমরা এক্সেপ্ট করব।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গত ঈদ কিন্তু মাশাল্লাহ অনেক ভালোভাবে হয়েছে। আপনারা কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এবারের ঈদ যেন সুন্দর হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেভাবে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। এবার ঈদের সময় অন্যান্য সময়ের থেকে পরিবেশ ভালো থাকবে। আমরা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসছি। এবার ধানের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। প্রায় ১৫ লাখ টন ধানের উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর আমাদের আমদানি করতে হয়েছিল, এবার আমদানির প্রয়োজন নাও হতে পারে।
এর আগে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অভিবাদন গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। ১৮ জন নবীন ডেপুটি জেলার তিন মাস ও ৫০৮ জন কারারক্ষী ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নেন।
পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ডেপুটি জেলার ও নবীন কারারক্ষীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, রাজশাহী বিভাগের উপমহাপরিদর্শক ও কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট কামাল হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবালয়ে চতুর্থ দিনের মতো কর্মচারীদের বিক্ষোভ

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘অবৈধ কালো আইন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘কর্মচারী মানে না, অবৈধ কালে আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কাল আইন’, ‘এক হও লড়াই কর, ১৮ লাখ কর্মচারী’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও এক হও’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’- এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বিক্ষোভে অংশ না নেওয়া অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে অনেকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। অবৈধ কালো আইন মানা হবে না বলে স্লোগান দিচ্ছেন কর্মচারীরা।
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সচিবালয়ের গেটগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সচিবালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অধ্যাদেশটি জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর শনিবার থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। এরপর রবি (২৫ মে) ও সোমবার (২৬ মে) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জামায়াত নেতা এটিএম আজহার খালাস, যা বললেন আসিফ নজরুল

নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২৭ মে) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার (এটিএম আজহারুল ইসলাম) করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আজকের (মঙ্গলবার) রায়ে।
পোস্টের শেষে আইন উপদেষ্টা লেখেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গণআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।
কাফি