কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের ট্রেড ফিন্যান্স সুবিধা ৪৫ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত

ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি) সিন্ডিকেট ব্যবস্থার অধীনে সিটি ব্যাংকের মুরাবাহা ট্রেড ফিন্যান্স সুবিধা বৃদ্ধি করে ৪৫ মিলিয়ন ডলার করেছে। এটি কোন বেসরকারি ব্যাংককে দেয়া আইটিএফসির এযাবতকালের সর্বোচ্চ ট্রেড ফিন্যান্স সুবিধা। সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সুবিধার ব্যাপারে উভয় প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন ও আইটিএফসি’র সিওও নাজিব নুরডালি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন বিভাগের প্রধান হাসান শরীফ আহমেদ এবং আইটিএফসি’র এশিয়া ও মিডিলইষ্টের ডিভিশন ম্যানেজার আব্দুল আলীম, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান মোহম্মদ ইফতেখার আলমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স কর্পোরেশন ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এই ট্রেড ফিন্যান্স সুবিধার মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আরো বেশী গ্রাহকসেবা দিতে পারবে এবং আরো সাশ্রয়ী উপায়ে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
মাসরুর আরেফিন বলেন, আইটিএফসি’র ট্রেড ফিন্যান্স সুবিধা ব্যাংকের বেসরকারি খাতের আমদানিকারকদের শিল্পের কাঁচামাল এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির অর্থায়নে সহায়তা করে আমদানিকারককে দীর্ঘমেয়াদে অর্থ পরিশোধের সুবিধা প্রদান করে, যা বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
নাজিব নুরডালি এসএমইর জন্য সুযোগ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদার রাখে এমন অর্থায়নের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আইটিএফসির ভূমিকার উপর গুরুত্ব প্রদান করেন।
২০১৯ সাল থেকে সিটি ব্যাংক আইটিএফসি’র ট্রেড ফিন্যান্স সুবিধা পেয়ে আসছে। ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে জেদ্দা-ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে
অর্থসংবাদ/এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ পেলো বিকাশ

বিগ ডেটা এবং রিয়েল-টাইম ডেটা-ড্রিভেন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকদের নিরাপদ ও উদ্ভাবনী সেবা দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক ‘ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বিকাশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিগ ডেটা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ক্লাউডেরা, ডেটা ব্যবস্থাপনা ও অ্যানালিটিক্সে উদ্ভাবনী প্রয়োগকে স্বীকৃতি দিতে ২০১৩ সাল থেকে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ বছর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ‘ডেটা ইন মোশন অ্যান্ড স্ট্রিমিং সাকসেস’ বিভাগের বিজনেস ইনোভেশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার জিতে নিয়েছে বিকাশ।
প্রথম বারের মতো কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ক্লাউডেরা ডেটা ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডস’ জিতেছে বিকাশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে-তে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিকাশের পক্ষ থেকে প্রোডাক্ট ও টেকনোলজি ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহিউদ্দিন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। বিকাশের পাশাপাশি ‘ডেটা ইন মোশন অ্যান্ড স্ট্রিমিং সাকসেস’ বিভাগের অন্য ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি গ্রুপ এবং ভারতের ভোডাফোন আইডিয়া পুরস্কার পায়। পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও ডেটা-অ্যানালিটিক্স নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে নানা সেশনও অনুষ্ঠিত হয়।
২০১১ সালে যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বিকাশ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সবার জন্য সহজ, নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিশ্চিত করেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতা এনে দিয়ে তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে বিকাশ। নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিকাশ হয়ে উঠেছে মানুষের স্বপ্নপূরণের সারথি, তাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। আর তাই, সাধারণের কাছে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ‘বিকাশ করা’।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ডে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ডে অংশগ্রহণ করেছে। যার মূল লক্ষ্য উদ্ভাবনী ও সম্প্রসারণযোগ্য স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করা। এতে করে উদ্যোক্তারা সহজ শর্তে ঋণ ও ইক্যুইটি বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
স্টার্টআপ ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড একটি পুনঃঅর্থায়নভিত্তিক রিভলভিং স্কিম। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের জন্য একটি শক্তিশালী ও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হবে, যা উদ্ভাবনী ব্যবসার বিকাশে ভূমিকা রাখবে এবং দেশের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ফান্ড প্রত্যাশী স্টার্টআপগুলোকে অবশ্যই বৈধ ট্রেড লাইসেন্স বা আরজেএসসি নিবন্ধিত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হতে হবে। পাশাপাশি তাদের পণ্য, সেবা, প্রক্রিয়া বা প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন থাকা আবশ্যক। যেসব পণ্য ও ব্যবসা দ্রুত সম্প্রসারণযোগ্য ও প্রচলিত বাজার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সক্ষম, তাদেরকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এই ফান্ড থেকে উদ্যোক্তারা মাত্র ৪ শতাংশ ইন্টারেস্ট হারে ২ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মানসুর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে স্টার্টআপগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই ফান্ড উদ্ভাবন, নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ এবং নতুন প্রজন্মের আইডিয়া বাস্তবায়নে সহায়ক হবে, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, এই রূপান্তরমূলক যাত্রার অংশ হতে আইপিডিসি গর্বিত। বাংলাদেশ ব্যাংককে সাথে নিয়ে আমরা উদ্যোক্তাদের শুধু মূলধনই নয়, পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও বিকাশেরও সুযোগ দিতে চাই। তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলোকে বাস্তব রূপ দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অবদান রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন্নাহার; এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হুসনে আরা শিখা; অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান; আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশিক হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির এই অংশীদারিত্ব দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পেয়ে উদ্ভাবন, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এই পদক্ষেপ দেশে উদ্যোক্তা-বান্ধব এক নতুন যুগের সূচনা করবে এবং উদ্ভাবনী আইডিয়া, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অন্তর্ভুক্তির শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে বলে সবার প্রত্যাশা।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও হলেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও হিসেবে তারেক রেফাত উল্লাহ খানকে নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে।
তারেক রেফাত উল্লাহ খান গত ২৭ মে ২০২৫ থেকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে, উদ্ভাবন, ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফর্মেশনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এপ্রিল ২০২৫-এ তাঁকে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব করপোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইওর দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও পজিশনের জন্য তারেক রেফাত উল্লাহ খানই আদর্শ লিডার, যিনি ব্যাংকটিকে আগামীর প্রবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর ভিশন, সততা ও নেতৃত্ব ব্যাংককে আরও বেশি আস্থার, উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান করে গড়ে তুলবে—যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের জীবনে, ব্যাংকিং খাতে, সমাজে ও দেশে।
ব্যাংকিং খাতের নির্ভরযোগ্য লিডার তারেক ২০১৭ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে হেড অব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট হিসেবে যোগ দেন। ব্র্যাক ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে ইস্টার্ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংকে কাজ করেন। তাঁর কর্মজীবনে করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং, ট্রানজেকশন ব্যাংকিং এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টে উদ্ভাবনের বিশেষ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তাঁর এই দীর্ঘ পথচলা উদ্ভাবন, শুদ্ধাচার এবং ইমপ্যাক্টের এক পরিপূর্ণ সমন্বয়।
আইএফআইসি ব্যাংকে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে এবি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ইস্টার্ন ব্যাংকে তিনি করপোরেট ব্যাংকিং ডিভিশনে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব রিলেশনশিপ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসাধারণ কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ সিইও ও চেয়ারম্যান’স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
গ্লোবাল আউটলুক ও একাডেমিক উৎকর্ষতা তারেক ভারত, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, জার্মানি ও ইতালিতে ক্রেডিট রিস্ক, লোন স্ট্রাকচারিং, করপোরেট গভর্নেন্স, লিডারশিপ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম (মার্কেটিং) এবং এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া, যুক্তরাজ্যের ওমেগা পারফরম্যান্স করপোরেশন থেকে ক্রেডিট রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট সার্টিফিকেশন অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ খ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে মর্যাদাপূর্ণ সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। ভবিষ্যৎ নির্মাণে অঙ্গীকার তারেক রেফাত উল্লাহ খানের নেতৃত্বে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন এক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের যুগে প্রবেশ করছে, যা ব্যাংকটিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে আস্থার ও অগ্রসরমান ব্যাংক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে।
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কর্মশালা

সাউথইস্ট ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ইন্টারনাল কন্ট্রোল ফর এন্টি-ফ্রড এন্ড রিলেটেড সিগনিফিকেন্ট কমপ্লায়েন্স ইস্যুজ অফ দি ব্যাংক শীর্ষক অর্ধ-দিবসব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
গত ৩০ আগস্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এম. মঈন আলম ফিরোজী। কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবিদুর রহমান চৌধুরী।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন। কর্মশালায় ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঢাকা অঞ্চলের ১৫টি এডি শাখার ম্যানেজার অপারেশনগণ অংশগ্রহণ করেন।
এ আয়োজনে কমপ্লায়েন্স, সুশাসন এবং প্রতারণা প্রতিরোধে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি এর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের এএমডি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম

ইসলাামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এএমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম। তিনি ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে ব্যাংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার, ক্যামেলকো, অপারেশন্স ও ডেভেলপমেন্ট উইং-এর প্রধান হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশনের প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও শাখাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ অবজারভার, দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএস থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ এবং ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্যসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনাই, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন।