পুঁজিবাজার
বছরের প্রথম সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে শেয়ারবাজারে
বছরের প্রথম সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে (১ জানুয়ারি-৪ জানুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমান কমেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনা সূত্রে, সপ্তাহের শুরুতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ছিলো ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ৬৭৩ টাকায়। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ ৭২ হাজার ৮০৯ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২৩০ কোটি ০৩ লাখ ৬২ হাজার ১৩৬ টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসই এস’ বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে। তবে বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ ০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়েছে।
প্রধান সূচকের পতনের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে টাকার অংকে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গেল সপ্তাহের চার কার্যদিবসে এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজারে ৪০৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ২০১টির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৯৯টির, বিপরীতে ৭২ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়াও ৩৪ কোম্পানি গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়নি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া, দুই ঘণ্টায় লেনদেন ১১৮ কোটি টাকা

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার (২৫ মে) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা ৪ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৩ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১০৩৭ ও ১৭৫২ পয়েন্টে অবস্থান করেছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১১৮ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৮ কোম্পানির শেয়ারদর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৯ টাকা ০১ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২১২ টাকা ৩২ পয়সায়।
লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হবে। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ জুন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের লোকসান বেড়েছে ৫০ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারী,২৫-মার্চ,২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারী,২৫-মার্চ,২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা।
৩১ মার্চ, ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে মাইনাস ২১৫ টাকা ১১ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নিয়ন্ত্রণসহ পুঁজিবাজারের ব্যর্থতায় তিন কারণ: মাসরুর রিয়াজ

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ বলেছেন, নিয়ন্ত্রণসহ পুঁজিবাজারের ব্যর্থতায় তিন কারণ রয়েছে। এগুলো হলো- রাজনৈতিক অর্থনীতি, নীতি ও নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তার বক্তাব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের জন্য পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই: আমির খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে হলে বিনিয়োগের বাইরে কোনো কিছু নেই। ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের জন্য ক্যাপিটাল মার্কেটের বিকল্প নেই। এটাকে পলিসিতে আনতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ইনভেস্টমেন্টের দিকে ফোকাস করতে হবে। এজন্য পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস করতে হবে। পুঁজিবাজারে যত রিফর্ম (সংস্কার) হয়েছে বিএনপির আমলে হয়েছে। বিএনপির সময় পুঁজিবাজারে কখনো অস্বস্তি আসেনি। ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর ধসে পড়েনি।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে ক্যাপিটাল মার্কেটের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখতে হবে। তাই ক্যাপিটাল মার্কেটকে ধারন করতে হবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আগামীতে যদি নির্বাচিত সরকার আসে আর আমরা (বিএনপি) সেই সুযোগ পাই, তাহলে পুঁজিবাজারকে ধারন করব। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে পুঁজিবাজার অনেকটা ডিসকানেক্ট। ক্যাপিটাল মার্কেটে ওনারশিপ এখন নেই, এটাকে আনতে গেলে পলিটিক্যাল ওনারশিপ দরকার।
তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। পুঁজিবাজার যদি স্বচ্ছভাবে চলে তাহলে সাধারণ মানুষও মনে করবে এখানে বিনিয়োগ করা যায়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক ড. তাজনুভা জাবিন, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।