প্রবাস
কুয়েতের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল সালেম
কুয়েতের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল-সালেম আল-সাবাহ। সম্প্রতি কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর মৃত্যুর পর নতুন আমির হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শেখ মেশাল আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
কুয়েত নিউজ এজেন্সি (কুনা) জানায়, বৃহস্পতিবার কুয়েতের আমির একটি আমিরি ডিক্রি জারি করে ডক্টর শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল-সালেম আল-সাবাহকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানান। এ ছাড়া ডিক্রিতে শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল সালেমকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
শেখ মোহাম্মদ সাবাহ আল সালেম ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুয়েতের ১২তম আমির শেখ সাবাহ আল সালেম আল সাবাহর চতুর্থ ছেলে। শেখ সাবাহ আল সালেম আল সাবাহ ১৯৬৫-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত কুয়েতের আমির ছিলেন।
নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লেরমন্ট কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। এর আগেও ২০২২ সালের ১৯ জুলাই তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত করা হয় এবং ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তিনি কুয়েতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
এরপর ২০০৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকেই তিনি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। কুয়েত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে এর প্রতিবাদে ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগের পর তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো হিসেবে কাজ শুরু করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
সৌদিতে পলাতক কর্মীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী যারা কফিল (স্পন্সর) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বা পলাতক কর্মীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। আর এ সুযোগ থাকছে ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মামুনুর রশিদ বলেন, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত যেসব প্রবাসী এই পরিস্থিতিতে রয়েছেন, তারা আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে বৈধ হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যাদের ইতোপূর্বে হুরুব দেওয়া হয়েছে, এই হুরুবপ্রাপ্ত কর্মীরা চাইলে এখন বৈধ হতে পারবেন। এর জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে ১ নভেম্বর থেকে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, হুরুব প্রাপ্তদের বৈধ হওয়ার এই প্রক্রিয়া কেবল সৌদি সরকারের অনুমোদন পাওয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। আর এর জন্য প্রবাসীদের নির্ধারিত কাগজপত্র ও প্রাসঙ্গিক তথ্য জমা দিতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন তথ্যসেবা চালু রাখা হয়েছে জানিয়ে দূতাবাস থেকে আরও বলা হয়, প্রবাসীরা চাইলে দূতাবাসে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা নিতে পারবেন। এ ছাড়া যারা এখনও বৈধ হওয়ার চেষ্টা করেননি, তারাও দ্রুত এই সুযোগ নিতে পারেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদি আরবে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী গ্রেপ্তার
সৌদি আরবের বিভিন্ন আইন ভঙ্গের অভিযোগে এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৬৯৬ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সৌদির আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জনকে আবাসন আইন ভঙ্গের অভিযোগে, ৫ হাজার ১৭৬ জনকে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে এবং ৩ হাজার ১৮৪ জনকে শ্রম-সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১ হাজার ৫৪৭ জনকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়া, ৩২ শতাংশ ইয়েমেন এবং বাকি ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। এ ছাড়া তাদের যানবাহন ও আশ্রয় দিয়ে সহায়তার অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পাঁচ দেশে যাওয়ার নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্কতা
বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দেশ পাঁচটি হলো থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।
সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।
এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।
ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বা পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কর্মী সংকটে অতিরিক্ত দুই লাখ ভিসা দেবে জার্মানি
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে কর্মী সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। দীর্ঘদিন ধরে চলমান জনবল সংকট কাটাতে এবার আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন। যার ফলে ইউরোপের দুয়ারে প্রবেশের সুযোগ পেতে পারেন লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশে কঠোর সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই এসব সুযোগ দিল জার্মানি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মী সংকট কাটাতে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই অতিরিক্ত ২ লাখ দক্ষ কর্মী ভিসা প্রদান করবে দেশটি। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার জানান, দক্ষ তরুণরা জার্মানিতে আরও সহজে তাদের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা শেষ করত পারবে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা খুব দ্রুত এবং সহজেই জার্মানিতে তাদের কাজ খুঁজে নিতে পারবে।
২০২৩ সালে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার পেশাদার ভিসা ইস্যু করেছিল জার্মানি, চলতি বছর এই ভিসার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ। দীর্ঘমেয়াদি সংকট সমাধানে ভিসাসংক্রান্ত নিয়মকানুন শিথিল করার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে জার্মানিতে বিভিন্ন চাকরিতে ১৩ লাখ ৪০ হাজার পদ খালি রয়েছে। এই কর্মী ঘাটতি না থাকলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর আরও বেশি হতে পারতো বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত পাঁচ বছরে জার্মানিতে ১৬ লাখ চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন বিদেশিরা।
ভাষার দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং কম বয়সের ভিত্তিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পয়েন্ট সিস্টেমে এক বছরের ভিসা দেবে জার্মানি। এজন্য ‘অপরচুনিটি কার্ড’ চালু করেছে দেশটি৷ এই কার্ডের কারণে পেশাজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়ালেখা ও চাকরি খোঁজার সুযোগ বেড়েছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের মানুষরাও সরাসরি জার্মানিতে যেতে পারবেন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারবেন।
দক্ষ কর্মী ভিসার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে জার্মান সরকার। আগামী ২০২৫ সালে ২০ শতাংশ বাড়ানো হবে শিক্ষার্থী ভিসার পরিমাণ। ভবিষ্যতে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
চীনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অংশগ্রহণে পানওয়াং উৎসব
চীনের ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পানওয়াং উৎসব দেশি-বিদেশি পর্যটকের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যসহ অনন্য লোকজ ক্রিয়াকলাপ, গান ও নৃত্যে পূর্ণ উৎসবটি হাজারো পর্যটককে আকৃষ্ট করে। উৎসবটি চীনে ১৭০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পালিত হচ্ছে।
উৎসব উৎযাপনে সার্বিকভাবে সহায়তা করে চিনশিও কাউন্টির স্থানীয় প্রশাসন। অনন্য ঐতিহ্যবাহী পানওয়াং উৎসবটি চাইনিজ লুনার ক্যালেন্ডারের দশ তম মাসের ১৬ তম দিন চীনের গুয়াংশি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত লাইবিন শহরের চিনশিও কাউন্টিতে অনুষ্ঠিত হয়।
চিনশিও কাউন্টি পার্টি কমিটির ডেপুটি সেক্রেটারি এবং মেয়র অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, এবং পানওয়াং উৎসব অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করেন।
পানওয়াং উৎসব একটি প্রাচীন উৎসব যেখানে ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষ পানওয়াং রাজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। উৎসবে, ইয়াও লোকেরা উৎসবের পোশাক পরে, ব্যানার ধারণ করে এবং অনুষ্ঠানের সঙ্গীতের সাথে একের পর এক অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে।
এই দিনে স্থানীয় জনগন ধর্মীয় ভক্তির চিহ্ন হিসাবে তাদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে শূকরের মাথা, আঠালো চালের কেক, মুরগি এবং চালের ওয়াইন বলিদান করে থাকে। তাছাড়া, উৎসবটি ঘিরে চলে লোকজ ক্রিয়াকলাপ, গান ও নৃত্যে, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ নানা কার্যক্রম।
উৎসবে দুই হাজারের বেশি চীনা ও বিদেশি পর্যটক ইয়াও জাতিগোষ্ঠীর প্রাচীন এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ লোক সংস্কৃতি উপভোগ, এবং ‘পানওয়াং উৎসব’ এর দুর্দান্ত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সমবেত হয়ছিল।
কাফি