জাতীয়
ডিসেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১২ মৃত্যু

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশে ৫১৭টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। আার এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫১২ জন। আহত হয়েছেন ৭৯৩ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৯ জন নারী ও শিশু ৬৪ জন। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছেন ১৬.৫১ জন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত মাসিক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত মাসিক দুর্ঘটনাসংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিহতের তালিকায় ৭১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। একই সময়ে ২১৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৩৯.২৫ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১.১৯ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ২২.২৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৬ জন, যা ১০.৯৩ শতাংশ।
এছাড়া ডিসেম্বরে ৯টি নৌ দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত ও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলার ডুবে ৩৩টি গরুর মৃত্যু ঘটেছে। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত হয়েছিল। গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছিল ১৫.৫৬ জন।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে গড়ে প্রতিদিন নিহত হয়েছে ১৬.৫১ জন। এ হিসেবে ডিসেম্বরে প্রাণহানি বেড়েছে ৬.১০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৪১৩ জন, অর্থাৎ ৮০.৬৬ শতাংশ।
ডিসেম্বরে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন ২০১ জন, বাসযাত্রী ৯ জন, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ডাম্প ট্রাক-রোলার মেশিন গাড়ি আরোহী ২৬ জন ও তিন চাকার গাড়ির যাত্রী ১০১ জন নিহত হয়েছেন।
যেসব সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এসব সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৩৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭টি গ্রামীণ সড়কে ও ৩৭টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১৬টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১১টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৪২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত দেওয়ার কারণে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৩টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে।
সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর জেলায়। তিনটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ২৭টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছে।

জাতীয়
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

বৈধ অস্থায়ী কাজের অনুমতিপত্র (পিএলকেএস) সম্পন্ন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং ব্যক্তিগত যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বস্তি দেবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য প্রকাশ করেছে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব (নীতি ও নিয়ন্ত্রণ) এই বিষয়ে একটি স্মারকপত্র জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের এই বছর সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা হয়েছে, তাদের নতুন করে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করার প্রয়োজন নেই। সবার সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসাগুলো এখন মাল্টিপল এন্ট্রিতে রূপান্তরিত হবে।
এর আগে, কর্মীদের সাধারণত সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে হতো, যা তাদের দেশের বাইরে যাওয়া এবং পুনরায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিত। কিন্তু মাল্টিপল ভিসা সুবিধা কর্মজীবনের পাশাপাশি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেবে, যা তাদের মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে।
মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন খাতে কর্মরত রয়েছেন। এই সুবিধা তাদের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং কর্মীদের কাজের পরিবেশে আরও স্থিতিশীলতা আনবে। এই পদক্ষেপ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয়
বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের কাছে উপহার হিসেবে আম পাঠানো হচ্ছে। ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপহারের আম পৌঁছানো সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।
যেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের কাছে উপহারের আম পাঠানো হচ্ছে তারা হলেন- ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী; ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; নেপালের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী; পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতের কয়েকটি প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বরাবর (যেমন পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা) আম পাঠানো হচ্ছে।
জাতীয়
অনুমোদন পেলেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আলমারিতে থাকা তিস্তার পরিকল্পনা বের করে সংশোধন করা হয়েছে। সেটি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। সেখান থেকে হয়তো এ সপ্তাহের মধ্যে অন্য দপ্তরে যাবে। এরপর অনুমোদন পেলেই মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রংপুর নগরীর কেল্লাবন্দ এলাকায় শ্যামাসুন্দরীর উৎসমুখ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ঝুলে থাকা একটা কাজ তিস্তা মহাপরিকল্পনা। আমরা এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ করছি। ভাটির দেশ হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।
আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ ৪৫টি পয়েন্টে ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যাতে করে অকাল বন্যা, নদীভাঙন ও ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয় তিস্তাপাড়ের মানুষ।’
শ্যামাসুন্দরী খাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রংপুরের ঐতিহ্যের এই খাল খনন করে এর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাতত ১০ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হবে। যেখানে বাধা আসবে সেই সমস্যা সমাধান করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। এটি বাস্তবায়ন হলে রংপুর নগীরর পরিবেশ রক্ষা হবে। সেইসঙ্গে ৩৫টি পয়েন্টে বাসাবাড়ি, কলকারখানার যে বর্জ্য পড়ে তা ঠেকাতে ডাম্পিং তৈরি করা হবে।’
এসময় রংপুর বিভাগীয়, জেলা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা জেলার কাউনিয়া রেলসেতু এলাকায় তিস্তা নদী পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। বিগত সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার নদীপাড়ের মানুষের মতামতে এবং চীনের সঙ্গে পরামর্শ করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন তিস্তাপাড়ের মানুষ আর ভাঙনের শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিস্তা পরিকল্পনার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার।
জাতীয়
১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শহীদদের মাগফেরাতের জন্য বুধবার সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এরই মধ্যে এ দিনটিকে সরকার ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘোষণা করেছে।
জাতীয়
ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বাতিলে লাগবে গণভোট: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান সংশোধনের মতো দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যদের ভোটে বাতিল করা সম্ভব হবে না। এর জন্য প্রয়োজন হবে গণভোট।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১৪তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে একটা জায়গায় আমরা একমত হয়েছি যে, যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় অথবা উচ্চকক্ষ গঠিত হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হবে। তবে সুনির্দিষ্ট কতগুলো অনুচ্ছেন যেমন প্রস্তাবনা অনুচ্ছেদ ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেটি ৫৮ (ক), ৫৮ (খ) এবং ৫৮ (ঙ) অনুচ্ছেদ দ্বারা সংবিধানে যুক্ত হবে সেগুলো সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে বাতিলের জন্য সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া এবং অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরবর্তী সময়ে যদি সংশোধনের প্রয়োজন হয় বা কোনো উদ্যোগ থাকে তার জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি এই বিবেচনা থেকে যে রাজনৈতিক দলদলগুলোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো রকম দ্বিমত নেই। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান কীভাবে নিয়োগ করা হবে সেটার নিষ্পত্তি করতে পারবো।