জাতীয়
ভোটের আগের দিন ২ হাজার ৯৬৪ কেন্দ্রে যাবে ব্যালট পেপার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগের দিন দুই হাজার ৯৬৪ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া, ভোটের দিন সকালে ৩৯ হাজার ৬১ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে। এবার মোট কেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ২৫।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব সকল রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।
ইসি জানায়, আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের অধিকতর নিরাপত্তার জন্য ভোটগ্রহণের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার প্রেক্ষিতে পার্বত্য জেলা, উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ, চর অঞ্চল, নদী পরিবেষ্টিত দুর্গম এলাকা বিবেচনায় পরিশিষ্ট-ক তালিকায় বর্ণিত দুই হাজার ৯৬৪ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন নির্বাচনী মালামালসহ ব্যালট পেপার প্রেরণের বিষয়ে মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য যে-সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-
(ক) ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন প্রিজাইডিং অফিসার ব্যালট পেপার ব্যতীত নির্বাচনী মালামাল, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ভোটকেন্দ্রে যাবেন। তবে, প্রিজাইডিং অফিসারের অনুপস্থিতিতে যে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে নিয়োগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, সেই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন।
(খ) ভোটগ্রহণের দিন সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট থেকে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে সকাল ৬টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট হস্তান্তর করবেন।
(গ) ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার বিতরণের সময় যতদূর সম্ভব পর্যাপ্ত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের উপস্থিতিতে ব্যালট পেপার হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ঘ) ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পরিবহনের বিষয়ে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।
এ অবস্থায়, উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিডিআর হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শিগগির শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঠিকভাবে পূর্ণ তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয় নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা জানান।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার চাই। সঠিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত ও ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
এই ঘটনার চার বছর পর ২০১৩ সালের পাঁচই নভেম্বর বিচারিক আদালতে হত্যা মামলাটির রায় হয়। এখনো পর্যন্ত এ মামলাটিতেই বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক আসামি। ৮৫০ জন বিডিআর সদস্যের বিচার হয় এ মামলাটিতে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ
কোনো ব্যক্তির কাছে পুলিশের লুণ্ঠিত কোনো ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর, পিপিএম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা, ইউনিট, ডিউটিস্থল হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বংশাল থেকে হাজী সেলিম আটক
রাজধানীর বংশাল থেকে ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার পর রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। মধ্যরাতে তাকে বংশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হাজি সেলিমকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সেখানেই রাতে থাকবেন। সোমবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাজী সেলিমের প্রভাব কেবল বেড়েছেই। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানেরও মালিক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে বিদায়ও দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি। তবে আজ রাতের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। নীতিনির্ধারকদের তরফে এমন সবুজ সংকেত পেয়েই সচিবকে বিদায় দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের ২৬তম পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২২ সালের নভেম্বরে চুক্তিতে আরও দুই বছর তাকে একই পদে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাকে দুই বছরের জন্য জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
সব সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তবে কতদিনের মধ্যে কীভাবে হিসাব জমা দিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। কী পদ্ধতিতে কীভাবে জমা দেবে সে বিষয়ে আমরা ফরম্যাট রেডি করে দেব।
জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু হয় ১৯৭৯ সালে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। পাঁচ বছর পরপর এসব সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু চাকরির সেই আচরণবিধি তেমন কেউই মানছেন না। কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেখা যায় না।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হলো।