রাজনীতি
বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত: সালমান এফ রহমান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ঢাকা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কলাকোপা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণী সভার উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি কথা বলেছেন, তিনি যখন কোনো কাজের ফাইলে সই করেন, তখন তিনি দেখেন এটা জনগণের কোনো উপকারে আসবে কি-না। যদি জনগণের কাজে আসে তাহলে তিনি সই করেন। আর যদি জনগণের কাজে না আসে সেখানে তিনি সই করেন না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন শুধু আওয়ামী লীগের জন্য করেন নি। বিএনপির লোকজনের জন্যও করেছেন। এই দেশের সব জনগণের জন্য তিনি করেছেন। যেমন, যাদের ভূমি বাসস্থান ছিল না তাদের আড়াই শতাংশ জমি ও ঘর তুলে দিয়েছেন। সেখানে কি বলা হয়েছে, যারা আওয়ামী লীগ তাদের দেখে দেখে দেবেন। না তা বলা হয়নি। পদ্মা সেতু করেছেন সেই সেতু আওয়ামী লীগের জন্য করেছেন? দেশের সব জনগণের উন্নয়ন। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। প্রধানমন্ত্রী এ দেশের কথা ভাবেন, জনগণের কথা ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে ১২/১৩ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকত না। আজ ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। যদি ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকে আমরা ধৈর্যহারা হয়ে যাই। এটা স্বাভাবিক যে, এখন আমরা আগের মত বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে পারিনা। সেই আগের দিনগুলো ভুলে গেছি। রাস্তাঘাটের কি অবস্থা ছিল? যে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া কঠিন ছিল। সে রাস্তা দিয়ে আমরা গাড়ি নিয়ে যেতে পারি।
দোহার নবাবগঞ্জবাসীদের উদ্দেশ্যে এফ রহমান বলেন, দোহার নবাবগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং অনেকগুলো কাজ চলমান। গত পাঁচ বছর আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আরও পাঁচটি বছর আপনাদের সেবা করতে চাই। চলমান কাজগুলোসহ আরও উন্নয়ন করতে চাই। আপনারা আমাকে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দেন। বিদেশিদের চাওয়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেটি প্রধানমন্ত্রীরও চাওয়া। আমরা যেন নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে পারি। আপনাদের কাছে সেই প্রত্যাশা রাখি।
উপজেলা সদর কলাকোপা ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল সালাম মৃধার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম খলীল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক সায়ান এফ রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শিকদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী রমজান প্রমুখ।

রাজনীতি
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি : চরমোনাই পীর

ইসলামপন্থিদের ঐক্যের ব্যাপারে গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর পাশাপাশি দেশপ্রেমিক বিভিন্ন দল নিয়ে ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, এই ঐক্য গড়তে পারলে আগামী দিনে আমাদের হাতেই আসবে রাষ্ট্রক্ষমতা।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা বারবার রক্ত দিয়েছি, কিন্তু সফলতা পাই নাই।
কারণ, আমরা প্রতিবারই নেতা ও নীতি বাছাই করতে ভুল করেছি। আমরা ৫৪ বছরে অনেক দলকে দেশ শাসন করতে দেখেছি। কিন্তু ইসলামি দলকে এখনো ক্ষমতায় নিতে পারি নাই। এবার ইসলামপন্থীদের ঐক্যের ব্যাপারে গণপ্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই ইসলামপন্থী সব ভোট একবাক্সে আনার কথা বলে আসছি। আগামী নির্বাচনে শুধু ইসলামি দলই নয়, বরং দেশপ্রেমিক আরো অনেক রাজনৈতিক দলও একবাক্স নীতিতে আসতে পারে, ইনশাআল্লাহ। যদি আমরা একত্রে নির্বাচন করতে পারি, যদি কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরাই হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের হাতেই আসবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। যে যত শতাংশ ভোট পাবে তাদের তত শতাংশ প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এটা এখন জনগণের দাবি, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবি।’
এ সময় তিনি বিএনপিকেও পিআর সিস্টেমে নির্বাচনে আসা উচিত বলে মত দেন।
সংস্কারের প্রশ্নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অটল ও অবিচল জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কারে কালক্ষেপণ ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানির শামিল।
এ সময় ৭২-এর সংবিধান জন-আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে বধির ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনীতি
পিআর সিস্টেম ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না : পরওয়ার

পিআর (প্রোপরশোনাল রিপ্রেজেন্টেশন) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব সিস্টেম ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
এ সময় তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কিছু ভূমিকায় জনগণের মধ্যে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তিনি নির্বাচনের আগে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ইসলামী দলগুলোর ঐক্য প্রচেষ্টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এর আগে দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল মহাসমাবেশে যোগ দেয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মহাসমাবেশে যোগ দেয়।
রাজনীতি
সংস্কার কমিশন দু’একটা দলের জন্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে: নুর

আনুপাতিক হারে (পিআর) নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সংস্কার কমিশনকে বলতে চাই দু-একটি দলকে ভিত্তি করে সংস্কারের নকশা পরিবর্তন করা যাবে না। দু-একটি দলকে প্রাধান্য দিয়ে বেশিরভাগ জনগণের আকাঙ্খার বিপরীতে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন না। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা নেই।
আজ শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের ডাকা মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছরের বেশি না হলে সমস্যা কি। আমরা এ কথাগুলো দফায় দফায় বারবার বলেছি। সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশন কেন জানি দু’একটা দলের জন্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, যেমনিভাবে জাতীয় নির্বাচন হবে, একইভাবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।
রাজনীতি
জুলাই স্পিরিট যতদিন থাকবে, কোনো ষড়যন্ত্র দেশকে পিছিয়ে দিতে পারবে না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তিকে সামনে রেখে কিছু হবে না। তিনি বলেছেন, “কারও অপপ্রচার বা প্রপাগাণ্ডায় কিছু যায়-আসে না। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ।”
শনিবার (২৮ জুন) বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের’ দাবিতে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, বিগত দিনে পাঞ্জাবি-টুপি পরিহিতদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আগামীতে দেশ, জনগণ ও খুনিদের বিচার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমরা এক থাকলে হাসিনার মতো কেউ আর আসতে পারবে না। যত বড় খুনিই হোক তাদের প্রতিহত করা হবে।”
তিনি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন।
মহাসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
রাজনীতি
জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং ৫ আগস্ট দেশজুড়ে গণমিছিল করা হবে।
এছাড়াও, পয়লা জুলাই থেকে ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পর্যন্ত নানা কর্মসূচি থাকছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে রংপুরে দোয়া ও আলোচনা সভা
- ৬ থেকে ৮ আগস্ট সাংবাদিক ও সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনা
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জুলাই সনদ ঘোষণায় জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।” তিনি আরও বলেন, “শহীদ আবু সাঈদ, যার দুঃসাহসে, অকুতোভয় চেতনা সারা দুনিয়াকে নাড়া দিয়েছিল। বাংলাদেশের সব মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিল, তার সাহসিকতার স্মরণে আমরা রংপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। ১৯ জুলাই জামায়াত ঘোষিত যে ৭ দফা, সেটা বাস্তবায়নের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছি।”