কর্পোরেট সংবাদ
ইসাব’র নতুন পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ

ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসাবের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন জাকির উদ্দিন আহমেদ।
ইসাবের নতুন সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি সংগঠনটির বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন। বর্তমানে তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ইসাবের বিদায়ী সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ও মহাসচিব এম মাহমুদুর রশিদ নতুন পরিচালনা পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদে জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েছেন এসএম শাহজাহান সাজু। ইসাবের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন যথাক্রমে মতিন খান, মোহাম্মদ ফয়সাল মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. মঞ্জুর আলম, এবং এম মাহমুদুর রশিদ। এছাড়া ইসাবের যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মোঃ মাহমুদ-ই-খোদা, সহকারী মহাসচিব হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহাবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মোঃ নূর-নবী, প্রচার সম্পাদক হিসেবে মো. নজরুল ইসলাম, পরিচালক হিসেবে মো. ওয়াহিদ উদ্দিন, ইঞ্জিঃ মোঃ আল-এমরান হোসেন, মেজর মোহাম্মদ আশেক কামাল (অবসরপ্রাপ্ত), এবং মো. রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
ইসাবের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে অর্থনৈতিক কার্যক্রমও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের এখন নিরাপদ, পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই শিল্পায়নের দিকে অগ্রসর হতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাসা-বাড়িতেও বৈদ্যুতিক এবং অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সম্পদ ও জানমালের সুরক্ষা দিতে হবে। শুধু রপ্তানি খাত নয়, অভ্যন্তরীন বাজারের জন্যও আমাদের কমপ্লায়েন্স হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে ইসাবের ব্যাপকভাকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
আমিন হেলালী জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, নগরায়ন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারের নানা প্রণোদনার কারনে গত এক দশকে দেশে ইলেকট্রনিকস সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ। সেই সাথে শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং গৃহস্থালি ও আবাসন খাতেও ‘সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ বিষয়টির গুরুত্ব বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে, আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে দেশেই ইলেকট্রনিকস সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি পণ্য বা যন্তাংশ উৎপাদন শুরু করতে ইসাবের সদস্যদের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ইসাবের নতুন সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, শিল্পের বিকাশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্নিনিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কোন বিকপ্ল নেই, যা কোন ভাবেই ইসাব সদস্যদের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ বিনিয়োগের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিনিয়ত ইসাব সদস্যরা ভূমিকা রেখে চলেছে। আমদানি নির্ভর এই সেক্টর দেশীয় উৎপাদনে রূপান্তরিত হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি আকর্ষণীয় খাত হতে পারে। দেশে কীভাবে অগ্নিনিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করা যায় তা নিয়ে আমাদের ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় আগামী দু’বছরের জন্য (২০২৩-২-২৫ মেয়াদ) ইসাবের দায়িত্ব নেয়া নতুন পরিচালনা পর্ষদের ওপর আস্থা রাখতে এবং সহযোগিতা করতে সকল সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠনটির সভাপতি মোঃ নিয়াজ আলী চিশতি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেঃ কর্ণেল মোঃ রেজাউল করিম, পিএসসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ হাতেম, এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

কর্পোরেট সংবাদ
সাস্টেইনেবিলিটি রেটিংয়ে আইপিডিসির শীর্ষস্থান অর্জন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবিলিটি রেটিং ২০২৪-এ সেরা সাস্টেইনেবল আর্থিক কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এর মাধ্যমে, দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান সুদৃঢ় করলো প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল্যায়ন করে, যার মধ্যে রয়েছে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন, গ্রিন রিফাইন্যান্স উদ্যোগ, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি, সিএসআর কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি। এসব সূচকে আইপিডিসির অসাধারণ পারফরম্যান্সই তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
এই অর্জন প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। আর্থিক খাতে টেকসই সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য তাদের দিকনির্দেশনা, নেতৃত্ব এবং অটুট প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, আমাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র জাতীয় ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাবও সৃষ্টি করছে। আইপিডিসির জন্য টেকসইতা কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের ব্যবসার মূলভিত্তির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত, যা আমাদের চিন্তাভাবনা, কার্যক্রম ও অংশীজনদের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব ফেলছে। আমরা পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ও টেকসই মূল্য সৃষ্টির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট রেখে সামনে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।
এই স্বীকৃতি আইপিডিসির সুদূরদর্শী ও সুপরিকল্পিত কৌশলের উজ্জ্বল প্রতিফলন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সবুজ পুনঃঅর্থায়ন ও টেকসই অর্থায়নের বিস্তৃত কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে আরও সবুজ, স্থিতিশীল ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলার শক্ত ভিত নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই নীতিমালাকে ব্যবসার প্রতিটি স্তরে অন্তর্ভুক্ত করে আইপিডিসি এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি আইপিডিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিএমএসএমই খাতের বিকাশ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ, নারী উদ্যোক্তা ও নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ের ক্ষমতায়ন, মূলধনের সুসংহত কাঠামো নিশ্চিতকরণ এবং দায়িত্বশীল ও টেকসই ঋণ প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে, যেন দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারায় নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
চলতি বছরের সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে ১০টি ব্যাংক এবং ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে আইপিডিসি তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে।
এই অর্জন বাংলাদেশের আর্থিক খাতের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অবিচল প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করে
কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকার নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে চালু হলো ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ ব্রাঞ্চ

নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন একটি শাখা উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় এর ব্যাংকিং কার্যক্রমের পরিধি ও বিস্তৃতি আরও বাড়িয়েছে। এটি ব্যাংকের প্রথম ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ শাখা, যেখানে গ্রাহকরা প্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন।
ব্যাংকিং সার্ভিসকে দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে শাখাটিকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এই সার্ভিসের মধ্যে আছে চেক ও কার্ডের নিরাপদ সংগ্রহের জন্য একটি ২৪/৭ ডিজিটাল ডেলিভারি সিস্টেম ডিজি বক্স, নির্বিঘ্নে স্থানান্তরের জন্য একটি সহজ ডিজিটাল ফাইল-শেয়ারিং সেবা।
গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে শাখাটি কিউআর কোডের একটি ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে, যা গ্রাহকদের অভিযোগ করার ও পরামর্শ দেওয়ার সুবিধা দেয়। গ্রাহকদের জন্য আছে কিউ ম্যানেজমেন্ট সলিউশন। ডিজিটাল অ্যাম্বাসেডরের তত্ত্বাবধানে একটি ডিজিটাল কর্নার, যা গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের ডিজিটাল সার্ভিস সম্পর্কে জানতে ও হাতেনাতে ব্যবহার করতে সহায়তা করে। এর ফলে গ্রাহকরা সহজে আস্থা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
এই বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নতুন শাখাটি উদ্বোধন ব্র্যাক ব্যাংকের অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা বৈচিত্র্যময় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। শাখাটিতে এক্সক্লুসিভ প্রিমিয়াম লাউঞ্জ এবং লকার সুবিধাও আছে, যা ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে শাখাটি উদ্বোধন করেন। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ; ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক ও ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “দেশের প্রতিটি এলাকার গ্রাহকের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা সারাদেশে আমাদের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছি। বড় পরিসর এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং-সক্ষম ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২৮৫টি শাখা ও উপ-শাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক-সমৃদ্ধ ব্যাংক।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে রেমিট্যান্স সেবা চুক্তি

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড ও বিকাশের মধ্যে রেমিট্যান্স সেবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
অন্যান্য পরিচালকগনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদ নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়া। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত অতিথিগণ গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন ও সর্বোপরি গ্রাহকের সন্তুষ্টির ব্যাপারে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পক্ষে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বিকাশের পক্ষে আলি আহাম্মেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান এবং বিকাশের রেমিট্যান্স ও ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ জাহিদুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংক সরাসরি নিজ ব্যাংকের গ্রাহক, বিকাশের গ্রাহক ও অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের রেমিটেন্স সেবা প্রদান করতে পারবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক সিলেট জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সিলেট জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের সিলেট জোনাল অফিসের কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জোনপ্রধান মো. রেজাউল ইসলাম।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
পদত্যাগ করলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সুপারিশে তাকে এ পদে বসানো হয়।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠান। ওই সময় তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে চেয়ারম্যান করা হবে এমন আলোচনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ না করে পদে থাকতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে লবিং করতে শুরু করেন। এর মধ্যে গত ১৫ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। গত ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ অভিযানে যায় সংস্থাটি। বিএফআইইউর বিশেষ অভিযানে গত আগস্টের পর ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইসলামী ব্যাংক থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক মাসের জন্য তার যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যাংক থেকে কোনো খরচ নিয়েছেন কিনা, নিলে কোন খাতের নামে নিয়েছেন সে সম্পর্কিত তথ্যও নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পরিচালনা পর্ষদ বা বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত না করেই এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ বিষয়ে বোর্ডে কোনো মেমো উত্থাপন করেননি তিনি। কেবল মৌখিকভাবে অবহিত করে যান যে, ক্রেডিট লাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক একটি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদিও বিশেষ আমন্ত্রণ ছাড়া কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যানের এ ধরনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকের সুযোগ নেই। ব্যাংকের পরিচালনাগত বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৈঠক করবে। পর্ষদ কেবল নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে।
কাফি