আন্তর্জাতিক
সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল কমেছে এক তৃতীয়াংশ

লোহিত সাগরপথে জাহাজ চলাচল নিয়ে সমস্যা যেন কাটছেই না। উল্টো বড় বড় জাহাজ কোম্পানিগুলো এই পথে চলাচল স্থগিত করছে। মূলত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানোর কারণে নৌপথটিতে জাহাজ চলাচলে ধস নেমেছে। তাতে গত বছরের তুলনায় এ বছর সুয়েজ খালে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল কমেছে এক তৃতীয়াংশ।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা ব্যাপক ভীতি ছাড়িয়েছে। এর ফলে এ নৌপথ এড়িয়ে চলছে বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানি। এ নৌপথে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে যুক্ত করেছে সুয়েজ খাল। গত বছরের তুলনায় এ বছর সুয়েজ খালে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল এক তৃতীয়াংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানি হামলার ভয়ে তারা পথ পরিবর্তন করছে। এ জন্য তারা সুয়েজ খাল এড়িয়ে আফ্রিকারি কেপ অব গুড হোপ ঘুরে চলাচল করছে। ফলে তাদের সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে।
এদিকে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা রুখে দিতে একটি জোট গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জোটটি জানিয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্যের ১৫ শতাংশ ব্যস্ততম এ নৌপথের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ জন্য তারা অবিলম্বে জাহাজে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব শিপিং জানিয়েছে, কন্টেইনারবাহী জাহাজের ২০ শতাংশ লোহিত সাগর এড়িয়ে চলছে। এর বদলে তারা আফ্রিকার ঘুরে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
সৌদির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৬ জুন ঈদুল আজহা

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় আরবি মাসগুলো। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার আগে চাঁদ নিয়ে বিশ্বের সব মুসল্লির মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়। এ সময় সবাই নতুন চাঁদের অপেক্ষা করেন।
চাঁদ দেখে আরবি মাস নির্ধারণ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে ঈদ করো।” তিনি আরও বলেছেন, “তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিও না।”
তবে গত কয়েক বছর ধরে ইসলাম ধর্মের জন্মস্থান সৌদি আরবের সরকার তাদের জ্যোতির্বিদদের গণনার মাধ্যমে তৈরি করা ক্যালেন্ডার ‘উম আল কুরা’ দেখে রোজা ও ঈদের হিসাব আগে থেকেই ঘোষণা করে দিচ্ছে। যা গত ২৬ মার্চ পবিত্র রমজান মাস চলার সময় জানিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই। সংবাদমাধ্যমটি উল্লেখ করেছিল, এ বছর সৌদি আরবে ২৯তম দিনে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রায় সব জ্যোতির্বিদ। কিন্তু সৌদি চাঁদ না দেখেই ঈদের ঘোষণা দিতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছিল, সৌদি চাঁদ ওঠার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এমনকি দেশটির কোনো সাধারণ মানুষও চাঁদ দেখেননি। তা সত্ত্বেও সৌদির সরকার ২৯তম রোজায় ঈদের ঘোষণা দিয়েছিল। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
রোজা ও ঈদুল ফিতরের পর চলে এসেছে আরেক ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। সৌদির সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এবার সৌদিতে ঈদ হবে ৬ জুন। আর আরাফাতের দিন হবে ৫ জুন।
সৌদি আজ রোববার (২৫ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদের অনুসন্ধান করতে সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে ২৭ মে সন্ধ্যায় জিলকদ মাসের ২৯তম দিন পড়বে। এদিন যেন সবাই জিলহজ মাসের নতুন চাঁদের অনুসন্ধান করেন। তবে তাদের ‘উম আল কুরা’ ক্যালেন্ডারে আগে থেকেই দেওয়া আছে ২৮ মে হবে জিলহজ মাসের প্রথমদিন। আর ৬ জুন শুক্রবার হবে ঈদুল আজহা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের সঙ্গে জাহাজ নির্মাণ চুক্তি বাতিল করলো বাংলাদেশ

ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের একটি চুক্তি বাতিল করলো বাংলাদেশ। চুক্তিটি ছিল একটি উন্নত সামুদ্রিক টাগবোট নির্মাণের জন্য, যা গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আগে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
কলকাতা ভিত্তিক গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (জিআরএসই) ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সঙ্গে এই চুক্তি করে। তবে সম্প্রতি জিআরএসই ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার এই অর্ডার বাতিল করেছে।
এই চুক্তি ছিল ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণরেখার অধীনে প্রথম বড় প্রকল্প। ৮০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি সমুদ্রগামী টাগবোট নির্মাণের লক্ষ্যে এই চুক্তি হয়েছিল।
এই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো, যখন গত সপ্তাহে ভারত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে। এছাড়া, চলতি মে মাসেই ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ভোক্তা পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করে, যা প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে। বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থলবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে।
এর আগে এপ্রিল মাসে ভারত বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের জন্য ভারতীয় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে ট্রানশিপমেন্টের সুবিধাও বাতিল করে। পালটা পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ ১৩ এপ্রিল থেকে ভারতের সুতা রপ্তানি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ছিল ভারতের বৃহত্তম উপমহাদেশীয় বাণিজ্য অংশীদার। ভারতের রপ্তানি বাংলাদেশে ছিল ১ হাজার ১০৬ কোটি ডলার ও আমদানি ছিল ১৮০ কোটি ডলারের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারত এই পরাজয় কখনো ভুলবে না: পাক প্রধানমন্ত্রী

ভারত এই পরাজয় কখনো ভুলবে না বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে দেশটির রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা আজ সশস্ত্র বাহিনীর সেইসব বীরদের সম্মান জানানোর জন্য একত্রিত হয়েছেন, যারা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ড ও অখণ্ডতা রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে নিয়ে জাতি গর্ব করে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আমি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করছি ও সর্বোচ্চ সামরিক পদ হিসেবে তার হাতে ব্যাটন তুলে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই অনুষ্ঠানে বলেন, আজকের দিনটি জাতীয় গৌরব ও পাকিস্তানের ইতিহাসে এক স্মরণীয় মুহূর্ত। তিনি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, সিজেসসিসি জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দিকী এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নবীদ আশরাফের প্রশংসা করেন।
শাহবাজ বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত রক্ষা করেনি, তারা যুদ্ধকে শত্রুর ভূখণ্ডে পর্যন্ত নিয়ে গেছে এবং খুব অল্প সময়েই আগ্রাসী পক্ষকে মাটিতে নামিয়ে এনে শিক্ষা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ ভেবেছিল পাকিস্তান প্রচলিত যুদ্ধের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। কিন্তু এই যুদ্ধ সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। আমাদের ঐক্য, সাহস ও ঈমান আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবে। ভারত এই পরাজয় কখনো ভুলবে না। ইনশাআল্লাহ, একদিন কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পার্লামেন্টে জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় জানালেন এমপি

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য পার্লামেন্টে বিদায়ী ভাষণে ব্যতিক্রমী কাণ্ড ঘটালেন লেবার পার্টির এমপি কাইল ম্যাকগিন। এক পায়ে জুতা পরে বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। দীর্ঘ ৫৬ মিনিটের ভাষণ শেষে অপর পায়ের জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করেন।
পার্লামেন্টে বক্তৃতা শেষে ম্যাকগিন বলেন, আমি কীভাবে এ ভাষণ শেষ করব তা নিয়ে অনেক ভেবেছি। শেষে মনে হলো, ‘শ্যুয়ি’ দিয়েই শেষ করাটাই সবচেয়ে ভালো। আমার এলাকার মানুষ এটা উপভোগ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। দুই মেয়াদে চমৎকার সময় কেটেছে। সবাইকে ধন্যবাদ। চিয়ার্স! এরপর একটি ক্যান থেকে নিজের জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করেন তিনি।
এই দৃশ্যে পার্লামেন্টে হাস্যরসের পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকেই করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান, আবার কেউ কেউ এ ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। পরিষদের সভাপতি আলানা ক্লোহেসি সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে বলেন, সম্মানিত সদস্য, আপনি পরিষদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন। আমি ধরে নিচ্ছি আপনার বক্তব্য শেষ।
নিজের বিদায়ী বক্তৃতায় কাইল নিজেকে বলেন, অ্যাক্সিডেন্টাল পলিটিশিয়ান’-অর্থাৎ দুর্ঘটনাবশত রাজনীতিতে আসা একজন মানুষ। এ সময় তিনি সরকারের ওয়েস্টপোর্ট প্রকল্পের সমালোচনা করে বলেন, ‘বন্দরের স্বয়ংক্রিয়করণ একটি প্রহসন ও ঠাট্টা।
২০১৭ সালে ম্যাকগিন প্রথমবারের মতো রাজ্য সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিত হন। গত মেয়াদে তিনি ছিলেন সংসদীয় সচিব। বিদায় নেয়ার সপ্তাহেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি শেভরনের কর ও নিয়োগ নীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইন্দোনেশিয়ায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। এতে ১০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ৫২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৬৮ কিলোমিটার গভীরে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ এবং গভীরতা ৮৪ কিলোমিটার। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, এই ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা-এর মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানান, বেনগকুলু শহরে ভূমিকম্পে ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে এবং মেরামতযোগ্য নয়। এছাড়া অন্তত ৬টি সরকারি স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেন্ট্রাল বেনগকুলু জেলায় আরও দুটি বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা এরিক চাতুর নুগ্রোহো (৩৬) বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমার বাড়ির জানালা প্রবলভাবে কাঁপছিল, সেটাই আমাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বের হয়ে যাই। বাইরে এসে দেখি, আশপাশের প্রতিবেশীরাও সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।
ইন্দোনেশিয়া একটি বিশাল দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্র। যা প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার-এ অবস্থিত। এই অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুলাওয়েসিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ১০০ জনের বেশি নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।