রাজনীতি
বিদেশি শক্তির হুমকি-ধামকি পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যতই আটলান্টিকের ওপারে তাকিয়ে থাকুক শেখ হাসিনা ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা কোনো বিদেশি শক্তির হুমকি-ধামকি পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র স্রষ্টাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে।
কাদের বলেন, ভালো লোক নির্বাচিত হলে দেশ ভালো চলবে, নতুবা দুঃশাসন অনিবার্য।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। এই বিএনপিকে চিরতরে লালকার্ড দেখাতে হবে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিতে হবে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দুষ্ট সিন্ডিকেট পেঁয়াজ ৩০০ টাকা করেছিলো। এই দুষ্ট সিন্ডিকেট বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত চেলা-চামুন্ডারা ছিলো। আমাদের সন্তানরা বলছে ৫ আগস্ট আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এখনও সেই বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হয়নি। এখনও সেই সিন্ডিকেট জাতির ঘাড়ে বসে আছে। এই সিন্ডিকেট ভেঙে তছনছ করে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, এই সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের চিহ্নিত ধূসর তারা যেন কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে না থাকে। সরকারকে তারা ব্যর্থ করে দিবে। জনগণের স্বপ্নকে তারা নষ্ট করে দিবে।
গণঅভ্যুত্থাণে শহীদ প্রত্যেক পরিবারে একটি করে চাকরি দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আহতদেরকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ি চাকরি দিতে হবে। এটা রাষ্ট্রের পবিত্র কর্তব্য তাদেরকে সম্মান দেখানো। এরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। এরা দুর্নীতি করবে না, ঘুষ খাবে না। তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
জামায়াত আমীর আরও বলেন, কারো ক্ষমতা চিরদিনের জন্য স্থায়ী হয় না। এটা আওয়ামী লীগের পতনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে। আমাদেরকে যেন আর অত্যাচারির কোনো শাসন দেখতে না হয়। যারাই ক্ষমতা আসেন তাদের মাঝে ইনসাফ দেখতে চাই। আমাদের ওপর জাতি যদি তাদের আমানত রাখেন তাহলে নিজেদের ওয়াদা রক্ষাকারি হিসেবে প্রমাণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। এরপরও ভুল করলে জাতিকে বলবো আমাদের মেরুদণ্ড সোজা করে দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটা সমাজ গড়তে চাই যে সমাজের আদালত প্রাঙ্গনে একজন বিচার প্রার্থীকে বিভিন্ন ধরণের হয়রানির শিকার হতে হবে না। কোন বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া কোনো রাষ্ট্র শক্তিকে পরোয়া করবেন না। রাষ্ট্রের আইন ও বিবেক অনুযায়ি বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। আমরা শুনতে চাই না বিচারকরা আসনে বসে ঘুষ খায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি দেশ চাই যে দেশ অন্য কোনো দেশের অধীনতা মেনে নিবে না। পৃথিবীর অন্য ১০টা দেশ যেমন বিশ্বের বুকে মাতা উঁচু করে দাঁড়ায় বাংলাদেশও তার শির উচু করে দাঁড়াবে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভু আমরা মেনে নিবো না। কেউ প্রভুত্ব করতে এলে জাতি সঠিক জবাব দিবে।’
আশ্রয়ণ প্রকল্প বিষয়ে অভিযোগ করে শফিকুর রহমান বলেন, এ প্রকল্প ছিলো জনগণের চোখে ধুলা দেয়ার মতো। সস্তা জনপ্রিয়তার সামিল। যারা এটা করেছেন তারা বলতেন এসব কাজ দিয়ে কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করি। এ প্রকল্পে রডের বদলে বাঁশ ছিলো বাংলাদেশের আধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কার।
নিজ দলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় নির্যাতিত দলের নাম জামায়াতে ইসলামী। অবস্থার পরিবর্তনের পর সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছি। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশের বাংলাদেশের কোথাও কোনো অভিযোগ নেই। কারো কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করেনি, রাস্তা-ফুটপাত দখল করেনি। কেউ এটা বলতে পারবে না। এটাই দেশপ্রেমিকের লক্ষণ। প্রহসনের বিচার দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে খুন করা হয়েছে, ফাঁসির কাষ্টে ঝুলানো হয়েছে। জেলে রেখে ধুঁকে ধুঁকে মারা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আবিষ্কার আয়না ঘর। অনেকের খবর নেই। তার মানে তারা মারা গেছেন। তারা সমস্ত বাংলাদেশে আমাদের অফিস সিলগালা করে রাখে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছে। জনগণকে ধোঁকা দিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিশোধ জামায়াত নিবে না। তবে আমরা হত্যাকারিদের বিচার চাই। হত্যাকারিদের শাস্তি পেতেই হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সব আগের মতই আছে, শুধু হাসিনা নেই: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার পরিবর্তন হলেও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। সব আগের মতোই আছে, শুধু শেখ হাসিনা নেই।
তিনি বলেন, সরকার বদলে গেছে। তুমি-আমি আগে যেমন ছিলাম, তেমনই আছি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রচার দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন সব সময় রয়েছে। কারণ এ সরকার ব্যর্থ হলে ব্যর্থ হবে পুরো জাতি।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, শুধু ছাত্রদের এ আন্দোলনে আলাদা ক্রেডিট দেয়ার সুযোগ নেই।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর আবারো বৈষম্যের সৃষ্টি করলে এর মাশুল কতটা দিতে হবে এটা কেউ জানে না বলেও প্রশ্ন তুলেন গয়েশ্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলনের নির্দেশ
বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাইকোর্ট বিভাগ। গত ৮ অক্টোবর ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখা থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে সাভার মডেল থানাধীন জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূরকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের কথাও বলা হয়।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৭৮৭/২৪-এ হারিছ চৌধুরীর মৃতদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালত আদেশ প্রদান করেন। তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
এই মর্মে যে, তার পিতা হারিছ চৌধুরীকে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে মাহামুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়। হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফলাফল, মৃত্যু সনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার আবেদন করেন।
গত ৫ই সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরীর রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জামায়াত কর্মীরা চাঁদাবাজি-দখল করেনি: শফিকুর রহমান
বিপ্লবের পর জামায়াত কর্মীরা চাঁদাবাজি কিংবা দখল করেনি। বরং মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘ছাত্রলীগ নামে হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনী তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ। ওবায়দুল কাদেররা অহংকার ও অন্যায় নিয়ে গর্ব করতেন। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। আজ উনারা কোথায় গেলেন। প্রতিটি অপকর্মের ফল তাদের পেতে হবে।’
যত দ্রুত সম্ভব জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো গণহত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘শুধু সেই বিচার নয়, এ যাবতকালের সব হত্যার বিচার করতে হবে।’
জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেবে না, তবে জুলুমের শিকার প্রতিটি মানুষকে ন্যায়বিচার দেবে বলেও প্রতিজ্ঞা করেন দলটির আমির। তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের পর জামায়াত কর্মীরা চাঁদাবাজি কিংবা দখল করেনি। বরং মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়তে চান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
১৯ বছর পর প্রকাশ্যে জামায়াতের রুকন সম্মেলন
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরসহ দীর্ঘ ১৯ বছর প্রকাশ্যে সম্মেলন করতে পারেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে এবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পটপরিবর্তনের পর প্রকাশ্যে রুকন সম্মেলন করছে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ সম্মেলনেই নির্বাচন করা হবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির। মহানগর উত্তরের রুকনরা তাদের গোপন ভোটে মহানগর উত্তরের নতুন আমির নির্বাচন করবেন। তবে দলীয় নিয়ম অনুযায়ী, কেউ আমির পদে নিজে থেকে প্রার্থী হবেন না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রুকনরা পছন্দের নেতার নাম লিখে একটি নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলবেন। মহানগর উত্তরের আমির নির্বাচনে ১০ হাজারের বেশি রুকন এতে অংশ নেবেন। সর্বোচ্চ যিনি ভোট পাবেন, তিনি আমির হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে পল্টন ময়দানে বড় পরিসরে অভিন্ন ঢাকা মহানগরের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে প্রকাশ্যে বড় পরিসরে রুকন সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।
এমআই