২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে। নির্মাণ ও শিল্পোৎপাদন খাত এ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করেছে। খবর রয়টার্স।
চতুর্থ প্রান্তিকের এ প্রবৃদ্ধি তৃতীয় প্রান্তিকের ১ শতাংশ সম্প্রসারণের চেয়ে বেশি ছিল। ২০২৩ সালের পুরো বছরে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখেছে, যা ২০২২ সালের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থেকে কম।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওসিবিসির অর্থনীতিবিদ সেলেনা লিং ও মেব্যাংকের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন জানান, ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেলেনা লিং ১ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির আশা করেছিলেন। অন্যদিকে চুয়া হাক বিন ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করেছিলেন।
রফতানি ও শিল্পোৎপাদন খাত ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে। মেব্যাংকের অর্থনীতিবিদ চুয়া হাক বিন পূর্বাভাস দিয়েছেন যে ২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ২ শতাংশ হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ২০২৪ সালের জন্য সেলেনা লিং ১-৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছেন। তবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানো ও ভূরাজনৈতিক কারণে প্রবৃদ্ধি কতটা বাড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
মানিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর (এমএএস) গতকাল জানিয়েছে, ২৯ জানুয়ারির পর মুদ্রানীতি পর্যালোচনা করা হবে। এখন বছরে দুবারের বদলে চারবার এ নীতি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অক্টোবরে এমএএস সিঙ্গাপুরে মূল্যস্ফীতি কমানোর কারণে নীতি অপরিবর্তিত রেখেছিল।
সিঙ্গাপুরের মূল্যস্ফীতি গত বছরের নভেম্বরে ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল।