অর্থনীতি
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে: বাণিজ্যসচিব
দেশে নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক আছে। তাই রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের রমজান ৯ মার্চ শুরু হতে পারে। যদিও এটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। সেই উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। আমদানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সবাই ছিলেন। আমাদের মূল উদ্দেশ্য, রমজানের সময় বাজারে তেল, চিনি, চাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজসহ যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকবে, সেগুলোর মজুতের পরিমাণ কী, এবং আগামী মাসে আরও কী পরিমাণ আসছে, আসার পরে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আছে কি না; সেটা দেখা। আবার আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা আছে কি না, বা বন্দরে মাল খালাসের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা আছে কি না, বৈঠকে সেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
সচিব বলেন, আমদানি মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। আমরা জানি যে, আগে থেকেই অর্থাৎ প্রায় সাত-আট মাস ধরেই চিনি আমদানি একটু কম ছিল, সেটার প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে চিনির আমদানি করা যাচ্ছিল না, যেমন ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, ব্রাজিল থেকে আনতেও কিছু বাধা ছিল। এখন নতুন করে আমরা জানি যে, জাহাজের ক্ষেত্রে লোহিত সাগরের চ্যানেলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে চলে যাবো। নতুন পেঁয়াজ আসবে। ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হচ্ছে। আগামী দু-মাসে আরও আমদানি হবে। আলোচনা করে দেখলাম, খেজুরের ক্ষেত্রেও একটা সমস্যা হচ্ছে। খেজুরের শুল্ক নিয়ে একটা দাবি আমদানিকারকদের আছে। তাদের অভিযোগ, এনবিআর থেকে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। সেটা কমানোর জন্য আমরা লিখেছিলাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, মাল অনেক ক্ষেত্রে বন্দরে এসে গেছে। খালাস হচ্ছে না। আগামীকাল চট্টগ্রাম বন্দরে আমরা খবর নেবো। যদি এ ধরনের বিষয় হয় যে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে, কিন্তু সেটির সেটেলড হয়েছে অনেক কম, এটা আলোচনা করে ফয়সালা করতে হবে। যাতে আগামী দুই মাসের মধ্যে খেজুর চলে আসে।
রমজান উপলক্ষে কতটা বাড়তি আমদানি করতে হবে? প্রশ্নে তিনি বলেন, সাধারণত বছরে বা মাসিক যে চাহিদা থাকে, রমজানে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যেমন মাসে হয়ত দেড় লাখ টন সয়াবিন তেল লাগে, রমজানে সেটা তিন লাখ টন লাগে। রমজানে চিনিও লাগে দেড় লাখ টনের মতো, যেটা স্বাভাবিক সময়ে ৭৫ হাজার টন। বেশির ভাগ পণ্যই দেড় থেকে দুই গুণ বেশি চাহিদা থাকে। আর সারা বছরে খেজুরের যে চাহিদা, সেটার অর্ধেকটাই রমজানে, ৫০ হাজার টন।
এ বর্ধিত চাহিদা মেটাতে বৈঠক করা হয়েছে। রমজান সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা একটু বেশিই আমদানি করেন, আমরা সেটাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য, বন্দর থেকে খালাস কিংবা এনবিআরের শুল্ক নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো। বাংলাদেশের ব্যাংকের বিষয়েও কথা হয়েছে। অনেক সময় শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা চাচ্ছন, এটা কমিয়ে দেওয়া বা শূন্য করা যায় কি না। এটা নিয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি লিখবো।
আমদানি সহজ করে দেওয়া, যাতে পণ্যগুলো বাজারে সহজলভ্য হয়। আমাদের মূল্য উদ্দেশ্য সেটা। কারণ দামের ক্ষেত্রেও সেটার প্রভাব পড়বে। আমরা যদি পণ্যের যথেষ্ট যোগান দিতে পারি, তাহলে ভোক্তারা দামের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। রমজানে খুব ভালোভাবেই এসব পণ্য সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা করছি।
রমজান সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য যাতে সহজে আমদানি করতে পারেন ব্যবসায়ীরা, এ জন্য ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে এলসি খুলতে পারেন, সে জন্য অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া অনেকক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন নেওয়া হচ্ছে। এটা আমদানিকারকরা অভিযোগ করেছেন। এসব পণ্যের আমদানিকারকদের দাবি হচ্ছে, তারা শূন্য মার্জিনে আমদানি করতে চান। এটা অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয় না, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই করতে পারে।
কারণ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আসবে, সেটার যদি মার্জিন কম রাখেন, তাহলে ভোক্তাদের লাভ হবে। তারা কম দামে পণ্যটি পেতে পারেন। আশা করি, বাণিজ্য ব্যাংকগুলো সেই ভূমিকা রাখবে। তাদেরও এ বিষয়ে লিখবো।
রমজানে প্রতিবছরেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাব নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমদানিমূল্যের ওপর নির্ভর করে পণ্যের দাম। জাহাজে আনতে কত খরচ হয়, বিমায় কত দিতে হয়! সবকিছু মিলিয়ে দাম নির্ধারিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি থাকলে এখানেও দাম বেশি হবে, কম হলে কম হবে। আজ পর্যালোচনা করে দেখেছি, তেল ও চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল আছে। খুব একটা বেশির দিকে না। এর মধ্যে ডাল, ছোলার দামও স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজের দামও কমে যাবে।
রমজানের প্রথম সাতদিন ভোক্তারা একটু বেশি কেনাকাটা করেন, এ কারণে তখন দাম একটু বেশি হয়ে যায়। আশা করি, ভোক্তারাও এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন। রোজার প্রথম কয়েকটা দিন যাওয়ার পর দাম কমে আসে, স্থিতিশীল হয়ে যায়। আগে কিনলে লাভবান হতে পারবেন না। রমজানে যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমদানি করতে যাতে ডলার থাকে, সেটা আমি বলেছি। এলসি খুলতে যাতে কোনোভাবে নিরুৎসাহিত করা না হয়। রমজানে যাতে পণ্যের ঘাটতি না হয়।
আমি চাইবো, গত বছর আমরা ৮টি পণ্যের জন্য বিশেষভাবে এলসি খোলার ব্যবস্থা করতে লিখেছিলাম। এ বছরে ৬টি পণ্যের জন্য লিখেছি। এগুলো নিয়েই মূলত আজ আলোচনা করেছি। কালকেই এ বিষয়ে চিঠি লিখবো।
সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম এখনো কমছে না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, কৃষিপণ্যের দাম কমে আসবে। সেটার দাম কমে এসেছে। আরও কমে যাবে। পেঁয়াজ ও আলুসহ যেসব পণ্য এসময়ে বাজারে উঠে, সেগুলোর দাম কমে এসেছে, আরও কমবে। পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। আলুর দাম আরও কমে যাবে।
তিনি বলেন, সমসময়ই নতুন আলুর দাম বেশি থাকে। আর পুরোনো আলু সব খাওয়া শেষ হয়ে গেছে। ডিমের দাম স্থিতিশীল। ডিমের দাম নিয়ে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। সারাবছর যে পণ্যের দাম একই রকম রাখা যাবে, সেটা না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ
একটি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ছুইছুই করছে। আজ শুক্রবার বিটকয়েনের দাম ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে ছাড়িয়েছে। এই দাম বিটকয়েনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোবান্ধব হবে। খবর রয়টার্সের
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম দিগুণের বেশি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বেড়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। আজ শুক্রবার একটি বিটকয়েন বিক্রি হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে বিটকয়েন পাল্লা দিচ্ছে ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন, ট্রাম্পের বন্ধুরা এবং যেসব বিষয়ে তার আগ্রহ আছে, সেসব বিষয় তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো করবে।
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘বিটকয়েনের দাম বাড়ছে ট্রাম্পের জন্যই। কারণ, তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো, ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়েইর চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।’
গত ১০ নভেম্বর আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৮০,০০০ ডলারে পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, বর্তমান বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকলে বিটকয়েনের দাম ৩ লাখ ডলারে পৌঁছানোও অবাক করার মতো কিছু হবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার মাধ্যমে এর দাম ওঠা-নামা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে বিটকয়েন কারেন্সি মার্কেটে প্রকাশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকে কলমানি সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো
ব্যাংক খাতে কলমানি সুদহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। সপ্তাহের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার কলমানি বাজারে এক দিনের জন্য ধার নেওয়া টাকার গড় সুদহার উঠেছে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশে। ১৩ নভেম্বর থেকে এই সুদহার ১০ শতাংশ বা তার ওপরে রয়েছে। কলমানি বাজারে সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে কলমানি বাজারে এক দিনের জন্য টাকা ধারের ক্ষেত্রে সুদহার ১০ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। আবার চার দিন ও সাত দিনের জন্য টাকা ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার আরও বেশি। গতকাল চার দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ছিল সোয়া ১২ শতাংশ। আর সাত দিনের ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে কলমানিতে বিভিন্ন মেয়াদে ধারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয় এক দিনের ধার হিসেবে।
কলমানি হচ্ছে সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া–নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় যেসব ব্যাংকের হাতে নগদ টাকার সংকট থাকে তারা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য বা অর্থ থাকে তাদের কাছ থেকে টাকা ধার করে। এ জন্য সুদ দিতে হয়। সুদহার নির্ধারিত হয় চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া–নেওয়া করলেও দিন শেষে লেনদেন ও সুদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কলমানি বাজারের প্রতিদিনের লেনদেন ও সুদের তথ্য প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২০১৬ সাল থেকে কলমানি বাজারের তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ সালের পর গতকালই প্রথম কলমানিতে এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ১০ দশমিক ০৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এদিন এক দিনের জন্য কলমানিতে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, যার সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১১ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে কলমানিতে গড় সুদহার প্রথম ১০ শতাংশে উন্নীত হয় ১৩ নভেম্বর। ওই দিন এই বাজারে এক দিনের জন্য ৩ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে কিছু ব্যাংক তীব্র তারল্যসংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের সংকট এতটাই প্রকট যে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। আবার সরকারি ট্রেজারি বিল–বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক বেশি লাভের আশায় কলমানির বদলে বিল–বন্ডে অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফলে কলমানিতে টাকা ধার দেওয়া বা এই বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ব্যাংকের সংখ্যা কমে গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যা নিরসনে বিআইএ’র সভা
দেশের নন-লাইফ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর সমস্যা নিরসনে করণীয় ঠিক করতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে অ্যাসোসিয়েশনের কনফারেস রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভিন্ন নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ৪২ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইএ’র নন-লাইফ টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা পি কে রায়।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) ও প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট হোসেন আখতার সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈদয় বদরুল আলম, সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, মো. ইমাম শাহীন।
সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করেন এবং এসব সমস্যা নিরসনের জন্য নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট, প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মুডিসের রেটিংয়ে সঠিক চিত্র উঠে আসেনি দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ঋণমান নির্ণয়কারী মার্কিন এজেন্সি মুডিস রেটিংয়ে বাংলাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থার সঠিক চিত্র উঠে আসেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমানোর মাত্র দুদিনের মাথায় ছটি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণমান কমানোর পর বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এমন দাবি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি একটি বড় রূপান্তরের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। এর ইতিবাচক ফল পেতে আরও সময় লাগবে। দেশি-বিদেশি অংশীদারদের সমর্থন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি বাড়াবে।
এর আগে, গত বুধবার (২১ নভেম্বর) ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে মুডিস।
একই সময়ে মুডিস ছটি ব্যাংকের এলটি ডিপোজিট বা দীর্ঘমেয়াদি আমানতের রেটিং পূর্বাভাস পরিবর্তন করে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক করেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সবজির দামে সুখবর নেই, স্থিতিশীল মাংস
প্রকৃতিতে ইতোমধ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে, আর মৌসুমের সবজিতেও ভরে উঠেছে বাজার। এর পরও গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাতেও সবজির দামে খুব একটা হেরফের ঘটেনি, আগের মতোই রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। মাংসের দামেও দর বৃদ্ধি-পতন দেখা যায়নি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সরেজমিনে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। পেঁয়াজ কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ফুলকপি ও পাতাকপি পিস ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১২০ টাকা, লাউ পিস ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে কেজি ৫০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা ও টমেটো ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর মধ্যে কিছু সবজির দাম বেড়েছে ও কমেছে। গত সপ্তাহে কুমড়ো বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি, যা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বেগুনের দাম ছিল ৭০ টাকা, যা এ সপ্তাহে ৬০ টাকা। আবার গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে বরবটির দাম। ৬০ টাকা কেজির বরবটি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। বেড়েছে শসার দামও। গতসপ্তাহে শসা ৬০ টাকা, এ সপ্তাহে যার দাম ১০০ টাকা।
আগ্রহ নিয়েই শীতের সবজি কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। বাজারে আসা ক্রেতা নাইমুর বলেন, আগে শীতের সবজি আরো কম দামে কিনেছি। আশা করছি শীত আসলে দাম আরেকটু কমে যাবে, তখন আমরা একটু স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারবো।
এদিকে বাজারে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালির কেজি ২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০, কক ৩০০ টাকা কেজি। পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বাজার ভেদে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।
তবে বাজারে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামেই আটকে আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, গলসা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমআই