অর্থনীতি
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে: বাণিজ্যসচিব
![রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে: বাণিজ্যসচিব ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/01/11-19.jpg)
দেশে নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক আছে। তাই রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের রমজান ৯ মার্চ শুরু হতে পারে। যদিও এটা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। সেই উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুতিমূলক সভা করেছি। আমদানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সবাই ছিলেন। আমাদের মূল উদ্দেশ্য, রমজানের সময় বাজারে তেল, চিনি, চাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজসহ যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকবে, সেগুলোর মজুতের পরিমাণ কী, এবং আগামী মাসে আরও কী পরিমাণ আসছে, আসার পরে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আছে কি না; সেটা দেখা। আবার আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা আছে কি না, বা বন্দরে মাল খালাসের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা আছে কি না, বৈঠকে সেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
সচিব বলেন, আমদানি মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। আমরা জানি যে, আগে থেকেই অর্থাৎ প্রায় সাত-আট মাস ধরেই চিনি আমদানি একটু কম ছিল, সেটার প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে চিনির আমদানি করা যাচ্ছিল না, যেমন ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, ব্রাজিল থেকে আনতেও কিছু বাধা ছিল। এখন নতুন করে আমরা জানি যে, জাহাজের ক্ষেত্রে লোহিত সাগরের চ্যানেলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে চলে যাবো। নতুন পেঁয়াজ আসবে। ভোজ্য তেলের মধ্যে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হচ্ছে। আগামী দু-মাসে আরও আমদানি হবে। আলোচনা করে দেখলাম, খেজুরের ক্ষেত্রেও একটা সমস্যা হচ্ছে। খেজুরের শুল্ক নিয়ে একটা দাবি আমদানিকারকদের আছে। তাদের অভিযোগ, এনবিআর থেকে অ্যাসেসম্যান্ট ভ্যালু অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। সেটা কমানোর জন্য আমরা লিখেছিলাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, মাল অনেক ক্ষেত্রে বন্দরে এসে গেছে। খালাস হচ্ছে না। আগামীকাল চট্টগ্রাম বন্দরে আমরা খবর নেবো। যদি এ ধরনের বিষয় হয় যে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে, কিন্তু সেটির সেটেলড হয়েছে অনেক কম, এটা আলোচনা করে ফয়সালা করতে হবে। যাতে আগামী দুই মাসের মধ্যে খেজুর চলে আসে।
রমজান উপলক্ষে কতটা বাড়তি আমদানি করতে হবে? প্রশ্নে তিনি বলেন, সাধারণত বছরে বা মাসিক যে চাহিদা থাকে, রমজানে সেটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যেমন মাসে হয়ত দেড় লাখ টন সয়াবিন তেল লাগে, রমজানে সেটা তিন লাখ টন লাগে। রমজানে চিনিও লাগে দেড় লাখ টনের মতো, যেটা স্বাভাবিক সময়ে ৭৫ হাজার টন। বেশির ভাগ পণ্যই দেড় থেকে দুই গুণ বেশি চাহিদা থাকে। আর সারা বছরে খেজুরের যে চাহিদা, সেটার অর্ধেকটাই রমজানে, ৫০ হাজার টন।
এ বর্ধিত চাহিদা মেটাতে বৈঠক করা হয়েছে। রমজান সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা একটু বেশিই আমদানি করেন, আমরা সেটাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য, বন্দর থেকে খালাস কিংবা এনবিআরের শুল্ক নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করবো। বাংলাদেশের ব্যাংকের বিষয়েও কথা হয়েছে। অনেক সময় শতভাগ মার্জিন দিয়ে এলসি খুলতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা চাচ্ছন, এটা কমিয়ে দেওয়া বা শূন্য করা যায় কি না। এটা নিয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি লিখবো।
আমদানি সহজ করে দেওয়া, যাতে পণ্যগুলো বাজারে সহজলভ্য হয়। আমাদের মূল্য উদ্দেশ্য সেটা। কারণ দামের ক্ষেত্রেও সেটার প্রভাব পড়বে। আমরা যদি পণ্যের যথেষ্ট যোগান দিতে পারি, তাহলে ভোক্তারা দামের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। রমজানে খুব ভালোভাবেই এসব পণ্য সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা করছি।
রমজান সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য যাতে সহজে আমদানি করতে পারেন ব্যবসায়ীরা, এ জন্য ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে এলসি খুলতে পারেন, সে জন্য অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া অনেকক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন নেওয়া হচ্ছে। এটা আমদানিকারকরা অভিযোগ করেছেন। এসব পণ্যের আমদানিকারকদের দাবি হচ্ছে, তারা শূন্য মার্জিনে আমদানি করতে চান। এটা অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয় না, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই করতে পারে।
কারণ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আসবে, সেটার যদি মার্জিন কম রাখেন, তাহলে ভোক্তাদের লাভ হবে। তারা কম দামে পণ্যটি পেতে পারেন। আশা করি, বাণিজ্য ব্যাংকগুলো সেই ভূমিকা রাখবে। তাদেরও এ বিষয়ে লিখবো।
রমজানে প্রতিবছরেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাব নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমদানিমূল্যের ওপর নির্ভর করে পণ্যের দাম। জাহাজে আনতে কত খরচ হয়, বিমায় কত দিতে হয়! সবকিছু মিলিয়ে দাম নির্ধারিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি থাকলে এখানেও দাম বেশি হবে, কম হলে কম হবে। আজ পর্যালোচনা করে দেখেছি, তেল ও চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল আছে। খুব একটা বেশির দিকে না। এর মধ্যে ডাল, ছোলার দামও স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজের দামও কমে যাবে।
রমজানের প্রথম সাতদিন ভোক্তারা একটু বেশি কেনাকাটা করেন, এ কারণে তখন দাম একটু বেশি হয়ে যায়। আশা করি, ভোক্তারাও এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন। রোজার প্রথম কয়েকটা দিন যাওয়ার পর দাম কমে আসে, স্থিতিশীল হয়ে যায়। আগে কিনলে লাভবান হতে পারবেন না। রমজানে যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমদানি করতে যাতে ডলার থাকে, সেটা আমি বলেছি। এলসি খুলতে যাতে কোনোভাবে নিরুৎসাহিত করা না হয়। রমজানে যাতে পণ্যের ঘাটতি না হয়।
আমি চাইবো, গত বছর আমরা ৮টি পণ্যের জন্য বিশেষভাবে এলসি খোলার ব্যবস্থা করতে লিখেছিলাম। এ বছরে ৬টি পণ্যের জন্য লিখেছি। এগুলো নিয়েই মূলত আজ আলোচনা করেছি। কালকেই এ বিষয়ে চিঠি লিখবো।
সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম এখনো কমছে না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম, কৃষিপণ্যের দাম কমে আসবে। সেটার দাম কমে এসেছে। আরও কমে যাবে। পেঁয়াজ ও আলুসহ যেসব পণ্য এসময়ে বাজারে উঠে, সেগুলোর দাম কমে এসেছে, আরও কমবে। পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। আলুর দাম আরও কমে যাবে।
তিনি বলেন, সমসময়ই নতুন আলুর দাম বেশি থাকে। আর পুরোনো আলু সব খাওয়া শেষ হয়ে গেছে। ডিমের দাম স্থিতিশীল। ডিমের দাম নিয়ে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। সারাবছর যে পণ্যের দাম একই রকম রাখা যাবে, সেটা না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর
![আরব আমিরাতে রিহ্যাবের আবাসন মেলা, শুরু ৬ সেপ্টেম্বর ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/rehab1.jpg)
প্রবাসে উপার্জন স্বদেশে আবাসন- স্লোগানকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা শহরে আবাসন মেলা করতে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। আগামী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর শারজা এক্সপো সেন্টারে রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার-২০২৪ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর মেলার উদ্বোধন করবেন। রিহ্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রিহ্যাব জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রিহ্যাবের আবাসন মেলা নিয়ে ইতিমধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে। মেলায় প্রবাসীদের গৃহঋণ নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। এর জন্য এবারের মেলায় আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
রিহ্যাব ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলিম উল্ল্যাহ এবং কো–চেয়ারম্যান মো. ইমদাদুল হক সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিট্যান্স ফেয়ার সফলভাবে আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম
![সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Vegetable-market-1.jpg)
কারফিউ শিথিল হওয়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে অস্থির বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বলে জানায় ভোক্তারা। তবে এখনো দু-তিন সপ্তাহ আগের অবস্থায় ফিরে আসেনি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও বাড্ডাসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে বেগুন, টমেটো ও করলা ছাড়া এখন বেশির ভাগ সবজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছে ভোক্তারা। যদিও কিছুদিন আগে ৭০ টাকার নিচে কম সবজিই পাওয়া যেত।
বাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অনেক বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়, দাম কমে এখন ২৪০ টাকায় নেমেছে। প্রতি কেজি করলা ১৫০ টাকায় ওঠে, গতকাল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।
দাম কমে প্রতি কেজি পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে কেজি ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, শসা কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুমুখি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ বাড়ায় রাজধানীর পাইকারি কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কেজিতে ৫টাকা পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় এবং প্রতি কেজি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের এক পাইকারি আলু বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় এখন পাইকারিতে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, আলুর দাম কেজিতে তিন-চার টাকার মতো কমেছে।
বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি রসুন কেজি ২২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন কেজি ২০০ টাকায়, ছোট দানার মসুর ডাল কেজি ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুই মাছ ২৬০ ও দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই ৪০০ টাকা। গ্রাসকার্প ২৫০ টাকা কেজি, মাঝারি মানের কই ১৮০ টাকা ও এক কেজি ওজনের মৃগেল ২৫০ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে তেলাপিয়ার। গত সোমবার যে মাছ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য ঘাটতি ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
![বাণিজ্য ঘাটতি ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/roptani-1.jpg)
ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে বিভিন্ন শর্ত দেওয়া আছে। এর প্রভাবে আমদানি কমেছে। তবে একই সময় রপ্তানি আয়ও কমে গেছে। আশানুরূপ হারে বাড়েনি রেমিট্যান্স। যার কারণে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হচ্ছে। বাণিজ্য ঘাটতির সঙ্গে চলতি হিসাবের ঘাটতি বাড়ছে। সঙ্গে সামগ্রিক বৈদেশিক লেনদেনেরও বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে রপ্তানি আয় সমন্বয় হওয়ায় আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত সময়ের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট) পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত সময়ে তিন হাজার ৭৩৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ সময় আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলারের পণ্য। এতে অর্থবছরের ১১ মাসে ২ হাজার ২২ কোটি ( ২০.২২ বিলিয়ন) ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১১৮ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। যদিও তার আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
ডলার সংকট কাটাতে নানা উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। একই সঙ্গে তুলনামূলক কম প্রয়োজন বা বিলাসী পণ্যের এলসি খোলার সময় শতভাগ পর্যন্ত নগদ মার্জিনের শর্ত দেওয়া আছে। এসব কারণে আমদানি কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানানো হয়, আগে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের মধ্যে বড় ধরনের ফারাক ছিল, যা এখন সমন্বয় করা হয়েছে। এতে করে আর্থিক হিসাবে এই উদ্বৃত্ত তৈরি হয়েছে। গত অর্থবছরের ১১ মাসে বৈদেশিক বাণিজ্যের আর্থিক হিসাবে ২০৮ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত আছে, যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ের এ উদ্বৃত্ত ছিল ৫৫১ কোটি ডলার। তবে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
চলতি হিসাবের ভারসাম্য (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স)
কোনো দেশের চলতি হিসাব মূলত বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্য এবং মানুষের আয় কেন্দ্রিক আয়-ব্যয়ের হিসাব। চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো।
সবশেষ তথ্য বলছে, গত অর্থ বছরের ১১ মাসে চলতি হিসাবে ঘাটতি ৫৯৮ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ১ হাজার ২০২ কোটি ডলার।
ওভার অল ব্যাল্যান্স
সামগ্রিক লেনদেনে (ওভারঅল ব্যাল্যান্স) বড় ঘাটতিতে আছে বাংলাদেশ। জুলাই-মে মাসে সামগ্রিক লেনদেনের (ঋণাত্মক) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮৮ কোটি ডলার। এই সূচকটি আগের বছর একই সময় ঘাটতি ছিল ৮৮০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি বেড়ে যাওয়া মানে বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসছে, তার চেয়ে বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিশোধ ঝুঁকি এড়াতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণ ডলার বিক্রি করছে।
রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি
গত অর্থবছর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ১ হাজার ২৬৯ কোটি ডলার বা ১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার (১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন) বিক্রি করা হয়েছিল। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে তিন অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৩৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দুই হাজার ১৩৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা। আগের বছর একই সময় পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৯৪১ কোটি ডলার।
বিদেশি বিনিয়োগ
দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে বাংলাদেশ যেখানে ৪০৭ কোটি ডলারের এফডিআই পেয়েছিল। গেল অর্থবছরের একই সময় সেখানে এসেছে ৩৮১ কোটি ডলার। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সরাসরি মোট যে বিদেশি বিনিয়োগ আসে তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকে নেট এফডিআই বলা হয়।
আলোচ্য অর্থবছরে নেট বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। এই সূচকটি আগের বছরের চেয়ে দশমিক ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১৫৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার হয়েছে। আগের অর্থবছরে নেট বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৫০ কোটি ২০ লাখ ডলার।
একই সঙ্গে আলোচিত সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট) নেতিবাচক অবস্থা অব্যাহত আছে। গত অর্থবছরের ১১ মাসে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ (নেট) যা এসেছিল তার চেয়ে ১১ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে গেছে। তার আগের অর্থবছরের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ঋণাত্মক ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একদিনে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
![একদিনে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank1.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে ব্যাংকে লেনদেন হয়নি। এটিএম বুথেও ছিল টাকার স্বল্পতা। কয়েকটি ব্যাংকের সার্ভারও ডাউন ছিল। লেনদেন সমস্যা তৈরি হয় মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি এমএফএস সেবার ক্ষেত্রেও। এসব কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। গতকাল বুধবার সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলার নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে প্রথম দিনেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো ধার নিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা নিয়েছে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) এবং শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ৭ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৪ ব্যাংক ও দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। ১৪ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। ২৮ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ধার দেওয়া হয় ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা।
এছাড়া ১৮০ দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড রেপো আওতায় তিন ব্যাংকে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং এক দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট আওতায় ১১টি প্রাইমারি ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। আর ১৪ দিন মেয়াদি ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় একটি ব্যাংকে দেওয়া হয় ৪৯৭ কোটি টাকা এবং ২৮ দিন মেয়াদে ৫ ইসলামি ধারার ব্যাংকে দেওয়া হয় ৯৮৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে একদিনেই ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধার দেওয়া হয় ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সাত দিন মেয়াদে টাকা ধারের সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, ১৪ দিন মেয়াদে সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ২৮ দিন মেয়াদি টাকা ধারের সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া অ্যাসিউরড রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটির সুদহার ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ। ইসলামি ধারার ব্যাংকের জন্য মুনাফার হার নির্ধারণ ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। আর ইসলামি ধারার ব্যাংকের জন্য ২৮ দিন মেয়াদির মুনাফার হার ছিল ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে নগদ টাকার চাহিদা বেড়েছে। এটিএমগুলোতেও নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে গেছে। এসব কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দিনে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। এ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা হিসাবে ঘাটতি ও নগদ জমায় (সিআরআর) ঘাটতি হিসেবে ব্যবহার করে অনেক ব্যাংক। অনেক ব্যাংক আবার নগদ টাকা নিয়ে গ্রাহকের চাহিদাও মিটিয়ে থাকে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবারের ব্যাংকিং কার্যক্রমের পর পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গতকাল বুধবার ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলেছে। এর মধ্যে শুক্র-শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এরপর গত রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিন কার্যদিবস সাধারণ ছুটি ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা-বিক্ষোভের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৩৮ হাজার কোটি টাকা
![এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৩৮ হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/nbr-2.jpg)
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বড় ধরনের ঘাটতি নিয়ে রাজস্ব আদায় শেষ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিষ্ঠানটি ১২.১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও লক্ষ্য পূরণ হয়নি, বরং ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
যদিও বিদায়ী অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছে এনবিআর। ওই অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে যেখানে এনবিআরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গত অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ছিল। সে কারণে বড় একটা নেতিবাচক প্রভাব ছিল পুরো বছর জুড়ে। তারপরও সামগ্রিক রাজস্ব সংগ্রহের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চলতি অর্থবছরে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সেটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত অর্থবছরে সব মিলিয়ে তিন লাখ ৭১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়। এর মধ্যে এনবিআর আমদানি পর্যায় থেকে এক লাখ ৩৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা, ভ্যাটে এক লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ কোটি ৪ লাখ টাকা এবং আয়কর থেকে এক লাখ ৩১ হাজার ২৫ কোটি ২ লাখ টাকা আদায় হয়েছো। লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আয়কর আদায়ে সর্বোচ্চ ১৫.৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, ভ্যাটে ১১.৯৭ শতাংশ এবং আমদানি পর্যায়ে ৮.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য উৎস হতে ৬১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আয়কর, মুনাফা ও মূলধনের ওপর কর থেকে আসবে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি, সম্পূরক শুল্ক ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি, রপ্তানি শুল্ক ৭০ কোটি, ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা ও অন্যান্য কর থেকে আসবে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।
কাফি