আন্তর্জাতিক
কর্মী নেবে যুক্তরাজ্য, যেভাবে যাবেন

যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ। দেশটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী নেয় কৃষিখাতে মৌসুমী কর্মী হিসেবে। মৌসুমী কর্মী হিসাবে বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য ভিসা দেয়া হয়ে থাকে৷ কাজ শুরুর আগে আগে তাদের ইউরোপে প্রবেশ করতে দেয়া হয় এবং কাজের মাসগুলো শেষে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়৷
এই ভিসায় আসা লোকদের অন্য কোনো সেক্টরে কাজ করতে দেয়া হয় না, তবে ইউরোপের কিছু দেশ মৌসুমি ভিসায় আসা কর্মীদেরকে পড়াশোনার বা প্রশিক্ষণের জন্য আবেদনের সুযোগ দেয়৷
গ্রিসে মৌসুমী কর্মী হিসেবে আসতে চাইলে, যে বিষয়গুলো জানতে হবে-
> বিষয়টি ভিসা এবং চাকরিদাতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে একজন কর্মী এই ভিসায় এসে কতোদিন দেশটিতে থাকতে পারবেন৷ তবে ভিসার মেয়াদকাল পর্যন্ত কাজ করতে পারার নিশ্চয়তা রয়েছে৷ কিন্তু অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে হলে, বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷
> প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শর্তপূরণ করা না হলে, আপনি যে দেশে কাজ করছেন সেই দেশের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ তবে এটি বিপজ্জনকও হতে পারে৷ কারণ, আপনি ওই দেশে ততক্ষণ থাকতে পারবেন, যতক্ষণ আপনি আপনার নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করছেন।
>এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যে খাতে কাজ করছেন, সেই খাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কোনো প্রতিনিধি বা মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাহলে তারা আপনাকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারবেন৷
ব্রিটেনে মৌসুমী কাজ
> যুক্তরাজ্য সরকার অভিবাসী কর্মীদের জন্য ফল, শাকসবজি বা ফুল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছয় মাসের অনুমতি দিয়ে মৌসুমী কাজের ভিসা দেয়।
> বড়দিনের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে পোলট্রিখাতে কাজের জন্য ২ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি বিশেষ ভিসা দেয়া হয়৷
> প্রতি বছর ১৫ নভেম্বরের পোলট্রি ভিসার আবেদন জমা দিতে হয়৷
> আপনি যেকোনো সময় অন্য যেকোনো মৌসুমি কর্মী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
> ভিসা পেতে, আপনার একটি স্পনসরের (নিয়োগদাতা বা কর্মসংস্থান সংস্থা) প্রয়োজন হবে৷ যেখান থেকে আপনাকে আপনার ভিসা আবেদনে ব্যবহারের জন্য স্পনসরশিপ রেফারেন্স নম্বরের একটি চিঠি দেবেন৷
যেসব শর্ত মানতে হবে
> আপনার বয়স ১৮ এর বেশি হতে হবে।
> যুক্তরাজ্যে চলার জন্য আপনার অবশ্যই যথেষ্ট অর্থ থাকতে হবে। সাধারণত আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে এক হাজার ২৭০ পাউন্ড সঞ্চয় থাকতে হবে৷ এই অর্থ আপনার ব্যাংক হিসাবে অন্তত ২৮ দিন ধরে থাকতে হবে৷ ভিসা আবেদনের সময় ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিয়ে এর প্রমাণ দেখাতে হবে৷
> আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি থাকতে হবে, যা আপনার পরিচয় এবং জাতীয়তা নিশ্চিত করবে৷
>পাসপোর্ট ছাড়া আপনার অন্য কোনো নথি যদি ইংরেজি ভাষায় না থাকে তবে তা সত্যায়িত অনুবাদ করে জমা দিতে হবে৷
নিয়োগপ্রক্রিয়া
বড় বড় কৃষি ব্যবসায়ীরা সরাসরি বিজ্ঞাপন দেয়, অন্যরা এজেন্ট ব্যবহার করে যারা যুক্তরাজ্য এবং আবেদনকারীর দেশে কাজ করে৷ যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বেরি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান হলো হান্টার৷ বেরি তোলার ভালো সময় হলো জুন এবং জুলাই৷ কিন্তু প্রায়ই মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এবং কখনও কখনও বছরের শুরুতেও খামারের কাজ পাওয়া যায়।
আপনি যুক্তরাজ্যে যেদিন কাজ শুরু করবেন, তার তিন মাস আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন৷ অনলাইনে আবেদন করার পর, আপনি মোটামুটি তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত আশা করতে পারেন৷ ভিসা আবেদনে খরচ হয় ২৫৯ পাউন্ড৷ পরের বছর ফসল কাটার জন্য ভিসার সুবিধা থাকবে কিনা, তা ডিসেম্বরে ঘোষণা দেয়া হয়৷ অনেক খামার বছরের পর বছর ধরে একই কর্মীদের ওপর নির্ভর করে এবং প্রায়শই একই দেশ বা সংস্থা থেকে তাদের নিয়োগ করে৷
ভিসা দিয়ে আপনি যা করতে পারবেন এবং যা করতে পারবেন না
> একবার আপনার ভিসা হয়ে গেলে, আপনি শুধুমাত্র আপনার স্পনসরশিপের চিঠিতে উল্লেখিত চাকরিতে কাজ করতে পারবেন।
> পড়াশোনা করতে পারবেন৷
> কোনো স্থায়ী চাকরি বা এমন কোনো চাকরি নিতে পারবেন না, যা আপনার স্পনসরশিপের চিঠিতে উল্লেখ নেই।
> পাবলিক ফান্ডের জন্য যোগ্য হবেন না৷
> আপনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনতে পারবেন না।
শোষণ এবং আধুনিক দাসত্ব
> ফার্মিং কমিউনিটি নেটওয়ার্ক ফার্মওয়েল-এর ওয়েবসাইটে মৌসুমী শ্রমিক এবং আধুনিক দাসত্ব সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রয়েছে। তারা অনুমান করে যে প্রতি বছর ১০ হাজার থেকে ১৩ হাজার মানুষ খাদ্য ও কৃষি শিল্পে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকতে পারেন৷
> নির্যাতনের শিকার হলে পুলিশ, গ্যাংমাস্টারস অ্যান্ড লেবার অ্যাবিউজ অথরিটি (জিএলএএ) বা মডার্ন স্লেভারি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন৷ নম্বরটি হলো: ০৮০০০১২১৭০০৷
নিজের অধিকার সম্পর্কে জানুন
> ব্রিটেনের পাবলিক সার্ভিস ইউনিয়ন ইউনিসন-এর ওয়েবসাইটটি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী কর্মীদের অধিকার সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে। আপনি ইউনিসনকে সরাসরি ০৮০০০৮৫৭৮৫৭ নম্বরে কল করতে পারেন।যুক্তরাজ্যে বৈধভাবে কাজ করার জন্য, সব অভিবাসী কর্মীদের একটি জাতীয় বিমা নম্বরের জন্য নিবন্ধন করতে হবে।
> অন্য সব কর্মীদের মতো একই কর্মসংস্থান আইন দ্বারা সুরক্ষিত। একই কাজ করা ব্রিটিশ শ্রমিকদের সমান বেতন আপনার পাওয়া উচিত। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা আছে এবং সব নিয়োগকর্তাকে অবশ্যই তা দিতে হবে। প্রতি ঘন্টার পরিবর্তে, আপনি যদি কাজ শেষে অর্থ দেয়া হয়, তবে আপনার বেতন অবশ্যই কমপক্ষে জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সমতুল্য হতে হবে৷
> বেতন থেকে ট্যাক্স এবং জাতীয় বীমা কেটে নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে একটি পেস্লিপ দেয়া হবে৷
> মজুরি থেকে অন্য কোন কারণে অর্থ কাটার কথা নয়, যদি আপনার চুক্তিতে সে সম্পর্কিত কোনো কিছু লেখা না থাকে৷ যেকোনো চুক্তি লিখিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে৷
> আপনি যদি কিছুতে সম্মতও হন, তারপরেও একজন নিয়োগকর্তা আপনার অর্জিত অর্থ থেকে কোনো অর্থ কাটতে পারবেন না, যদি আপনি ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম উপার্জন করেন৷ তবে আবাসন সম্পর্কিত কিছু হলে কেটে নেয়ার অধিকার থাকবে নিয়োগকর্তার৷
> এমনকি বাসস্থানের জন্য একজন নিয়োগকর্তা কী পরিমাণ অর্থ কাটতে পারেন তার সীমা রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার নিয়োগকর্তা বাসস্থানের জন্য খুব বেশি টাকা কেটে নিচ্ছেন, তাহলে ইউনিসনের পে অ্যান্ড ওয়ার্ক রাইটস হেল্পলাইন ০৮০০৯১৭২৩৬৮ নম্বরে ফোন করতে পারেন৷
> ইউনিসন আপনাকে জেসিডাব্লিউই-এর সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিনা খরচে অভিবাসন পরামর্শ দিতে পারে। আপনি যদি একজন অভিবাসী কর্মী হন, তাহলে আপনাকে অসুস্থতার অর্থও দেওয়া উচিত।
> যদি সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করেন, আপনি প্রতি বছরে ২৮ দিন বেতনের বার্ষিক ছুটি পাওয়ার অধিকার রাখেন৷
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সম্পদ কমেছে মাস্কসহ ৫ ধনকুবেরের

গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জুকারবার্গের মতো বিলিয়নেয়ারদের সম্পত্তির পরিমাণ তখন ছিল সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সাত সপ্তাহ পরে ঘুরে গিয়েছে তাদের ভাগ্য।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বড় বিপর্যয় ডেকে এনেছে ধনকুবেরদের জন্য।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, এই মার্কিন বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে থাকা শীর্ষ পাঁচজনের মোট সম্পদের পরিমাণ কমেছে ২০৯ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ইলন মাস্কের কমেছে ১৪৮ বিলিয়ন, জেফ বেজোস ২৯ বিলিয়ন, সের্গেই ব্রিন ২২ বিলিয়ন, মার্ক জাকারবার্গ ৫ বিলিয়ন এবং বার্নার্ড আর্নল্টের ৫ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কায় আমেরিকা থেকে জাপান পর্যন্ত শেয়ারবাজারে দরপতন চলছে।
এর প্রভাব আজ ওয়াল স্ট্রিটেও দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল ওয়াল স্ট্রিটের সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা যায়।
এর জেরে জাপান, হংকংয়ের মতো এশিয়ান শেয়ারবাজারেও পতন দেখা যায়। জাপানের নিক্কেই ২২৫ পয়েন্ট বা ২.৭ শতাংশ কমেছে এবং টপিক্স সূচক কমেছে ২.৮ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি ২.১৯ শতাংশ এবং কোডেক ২.২২ শতাংশ কমেছে। হংকংয়ের হ্যাং সেং ইনডেক্স ফিউচারস দুর্বল সূচনার ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে আমেরিকায় ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ৮৯০.০১ পয়েন্ট বা ২.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪১,৯১১.৭১ পয়েন্টে, অন্যদিকে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ পড়েছে ১৫৫.৬৪ পয়েন্ট বা ২.৭০ শতাংশ। এই আবহে এসঅ্যান্ডপি দাঁড়িয়ে আছে ৫৬১৪.৫৬ পয়েন্টে।
নাসডাক কম্পোজিট ৭২৭.৯০ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭,৪৬৮.৩২ পয়েন্টে।
টেসলার শেয়ারের দাম কমেছে ১৫.৪ শতাংশ, এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম কমেছে ৫.০৭ শতাংশ, মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম কমেছে ৩.৩৪ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের স্টকের দাম ৫.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে নাসডাকের সবচেয়ে খারাপ দিন ছিল গতকাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত হয়েছেন মার্কি কার্নি। এর মাধ্যমে দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ট্রুডো তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। রোববার (৯ মার্চ) রাতে কানাডার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টি মার্ক কার্নিকে নতুন দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে। আর নিয়ম অনুযায়ী এখন তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীও হবেন। দলীয় প্রধান হতে মোট চারজন প্রার্থী লড়েছিলেন। সেখান থেকে মার্ক কার্নি নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি এমন সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত হওয়ার পরই কার্নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডিয়ান পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে ‘নিজেদের জীবনের সবচেয়ে বড় সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন কার্নি। তিনি বলেছেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সবসময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের, কোনো ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলার মতো বাণিজ্য লড়াইয়েও কানাডা জিতবে।”
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েই কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অভিহিত করে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ‘গভর্নর ট্রুডো’ হিসেবে ডেকেছেন তিনি। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জবাব কিছুটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী-নির্বাচিত মার্ক কুর্নি। তিনি বলেছেন, “আমেরিকা কানাডা নয়। এবং কানাডা কখনো, কোনোদিন কোনোভাবে আমেরিকার অংশ হবে না।”
সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, এ সপ্তাহের যে কোনো একদিন কানাডার গভর্নর জেনারেলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করবেন মার্ক কার্নি। কানাডার গভর্নর জেনারেল যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতিনিধি। নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি এপ্রিলের শেষ দিকে কানাডায় নতুন সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন।
গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রিত্ব ও দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। এমন সময়ই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ১০ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওডিশা থেকে বাংলাদেশি ১০ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) ওডিশা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্যরা ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করেছেন।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের সদস্যরা যে ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছেন- তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, তিনজন নারী এবং একজন শিশু। রোববার সকালের দিকে ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশ বলেছে, ওই বাংলাদেশিরা অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি। তারা গত কয়েক দিন ধরে ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন অবস্থান করছিলেন। এ সময় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করেছে এসটিএফ।
ওডিশা পুলিশের একাধিক সূত্র বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা আসামের ধুবরি জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে সেখান থেকে তারা ওডিশায় পৌঁছান। তাদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি।
ওই বাংলাদেশিরা কয়েক দিন ধরে ভুবনেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ওডিশা পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার হুমকির মুখে: জাতিসংঘ মহাসচিব

বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার ক্রমশ হুমকির মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে গুতেরেস বলেন, নারীদের প্রতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা বৈষম্য এখন নতুন নতুন হুমকির কারণে আরও প্রকট হচ্ছে। এই সংকট উত্তরণে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, যেহেতু অগ্রগতি বিপরীতমুখী তাই বিশ্ব এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তিনি বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা বৈষম্য নতুন হুমকির মাধ্যমে আরও প্রকট হচ্ছে। ডিজিটাল উপকরণগুলো একদিকে যেমন সম্ভাবনাময়, অন্যদিকে এগুলো নারীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্টতা আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং হয়রানিকে উসকে দিচ্ছে।
নারীদের শরীর এখন রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অনলাইনে সহিংসতা বাস্তব জীবনের সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। আমরা সমান অধিকারের ধারণাকে সাধারণীকরণের পরিবর্তে, পুরুষতন্ত্র ও নারী বিদ্বেষের প্রসার ঘটতে দেখছি। এসব চলতে থাকলে নারীরা আরও পশ্চাৎপদই হতে থাকবে। নারী অবস্থার পরিবর্তনে এগুলোই সবচেয়ে বড় বাধা বলে জানান জাতিসংঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। সমান অধিকারকে মূলধারায় আনার পরিবর্তে, আমরা উগ্রতা ও নারী বিদ্বেষকে মূলধারায় আনতে দেখছি বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস।
গুতেরেস বিশ্বকে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লিঙ্গ সমতা শুধু ন্যায্যতার বিষয় নয়, বরং এটি ক্ষমতার বিষয়। এটি নির্ধারণ করে কারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে বসবে, আর কারা বাইরে থাকবে। এটি সেই কাঠামোগুলো ভেঙে ফেলার ব্যাপার যা বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখে। এবং এটি একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার ব্যাপার, যা সবার জন্য কল্যাণকর হবে। গুতেরেসের বক্তব্য অনুসরণ করে জাতিসংঘে নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহোস বলেন, এই বছরের মতো লিঙ্গ সমতার আহ্বান আর কখনো এত জরুরি ছিল না। তাদের পথের বাধাও এত স্পষ্ট ছিল না। তবে, তাদের সংকল্প আগের চেয়ে আরও দৃঢ় ও অটল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইয়েমেনে নৌকা ডুবে ১৮০ জনের বেশি নিখোঁজ

জিবুতি ও ইয়েমেনের মধ্যে অভিবাসী বহনকারী চারটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে ১৮০ জনেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি নৌকাগুলোতে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি, তবে প্রায়ই ইথিওপীয়রা উপসাগরীয় দেশগুলোতে কাজ খুঁজে পেতে বা সংঘাত থেকে বাঁচতে এই পথটি ব্যবহার করে।
আইওএম জানিয়েছে, গত রাতে জিবুতি ও ইয়েমেন উপকূলে চারটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ১৮০ জনেরও বেশি অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছে।
আইওএম এর তথ্য অনুযায়ী, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর মধ্যে একটি। ২০২৪ সালে ইয়েমেনে ৬০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী আগমনের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
জানুয়ারীতে ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবে বিশ জন ইথিওপীয় নিহত হয়েছিল।
আইওএম জানিয়েছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই পথে ৫৫৮ জন মারা গেছেন।