শিল্প-বাণিজ্য
পোশাক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ২০২৩-২৪ এর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের (২০২২-২৩) তুলনায় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। এখন তা হয়েছে ২৩ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
সদ্যবিদায়ী ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩০৮ দশমিক ০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৫ হাজার ৩৬৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগের দুই মাস তথা গত অক্টোবরে ও নভেম্বরে রপ্তানি আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। দেশ থেকে এ সময় রপ্তানি হয়েছে ২৭ হাজার ৫৪০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি আয় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৩৯১ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।
তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ের মধ্যে নিটওয়্যার থেকে ১৩ হাজার ৪৮০ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার আসে। যা বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে ৯ হাজার ৯১১ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার এসেছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস না করলে তিনগুণ জরিমানা

সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই তবে কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট থাকলেও শাক-সবজির দাম বাড়েনি বলে এসময় জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকট রয়েছে। তবে শাক-সবজির দাম বাড়েনি। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিত্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে।
সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযান দুর্ঘটনায় নিহত ৬ শ্রমিকের পরিবারকে সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুই লাখ ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার টন ইলিশ নিতে আগ্রহী চীন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশ থেকে এক হাজার মেট্রিকটন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চীনে। ইলিশ মাছ রপ্তানির মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। এসময় তিনি প্রাথমিকভাবে এক হাজার মেট্রিকটন ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়া এ দেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানি এবং বাংলাদেশে এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চাই। পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। চট্টগ্রামের ইকোনমিক জোনে ৩০ টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধু রাষ্ট্র। বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে কৃষি, ট্রান্সপোর্টেশন, অ্যাগ্রো-মেশিনারিজ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক। বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি বাড়াতে এবং আমদানি পণ্যের সব ধরনের ট্যারিফ কমানোর আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে ট্রাক তৈরির কারখানা স্থাপন ও কৃষির আধুনিকীকরণে বিনিয়োগ দুদেশের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বেনাপোল সীমান্তে বসছে না দুই বাংলার মিলনমেলা

এবার বসছে না দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষের মিলনমেলা। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রতিবছর যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে বসতো দুই বাংলার ভাষাপ্রেমি মানুষের মিলন মেলা। কিন্তু এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই দৃশ্য আর দেখা যাবে না। এতোদিন দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা প্রতিবেশী দেশে গিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিতেন, কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার যৌথভাবে একুশের কোনো অনুষ্ঠান নো-ম্যান্সল্যান্ডে হবে না।
জানা গেছে, ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল মাত্র ভাষার টানে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে দলে দলে যোগ দেন একুশের মিলন মেলায়।
ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজার হাজার মানুষের। ক্ষণিকের জন্য হলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখায় ছেদ পড়ে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে বেনাপোল নো-মান্সল্যান্ড এলাকা সাজে নানা রঙের বর্ণিল সাজে।
নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। সকাল থেকে দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ বেদীতে। আবেগ আর ভালোবাসায় ভাষা প্রেমিরা ভুলে যায় তাদের সীমান্ত রেখা।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে এবার বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে একুশের মিলন মেলা হচ্ছে না। তবে পেট্রাপোলে ছোট একটি অনুষ্ঠান হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতি হলে আগামী বছর থেকে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
ছোলা-খেজুরসহ ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে

পবিত্র রমজান ও ঈদে চাহিদা বেশি থাকে এমন ৯টি ভোগ্যপণ্যের আমদানি ব্যাপক হারে বেড়েছে। পণ্যগুলো হলো- চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, খেজুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের আমদানিতে গড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের সর্বোচ্চ আমদানি হয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণ ও বিলম্বে আমদানি বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ায় রোজার আগে এসব পণ্যের আমদানিতে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর এই ৯টিসহ ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের অনুমতি দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। এর আগে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের এলসি করা যাবে। এসব পদক্ষেপে সংশ্লিস্ট পণ্যগুলোর আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিকটন। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এসময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিকটন। ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিকটন। ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিকটন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিকটন।
আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের। এসময়ে পণ্যটির আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিকটন। দেশে পর্যাপ্ত পেয়াজ উৎপাদন হওয়ার পরও এই চার মাসে পণ্যটির আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিকটন। এসময়ে রসুনের আমদানি ২০ শতাংশ বেড়েছে। পণ্যটির আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিকটন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিকটন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছয় মাসে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত

এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আবারও সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ উন্মুক্ত করলো সরকার। সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণে গঠিত ১১ সদস্যের নতুন কমিটি বছরে সর্বমোট ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।
এ বিষয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে বাংলাদেশ চাল রপ্তানিকারক সমিতি ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চালের রপ্তানি কার্যক্রম ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করে কমিটি। তবে বাপা ১ বছর সময় নিয়ে ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানির দাবি করেছিল।
বাপা প্রতি কেজি চালের জন্য ১ দশমিক ৩০ মার্কিন ডলার দাম নির্ধারণের দাবি করলেও দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১ দশমিক ৬০ ডলার।
সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুুমতি দেওয়ার সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চাল রপ্তানিকারকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগে আবেদন করে কোম্পানি অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার এবং অনুমোদনের সঙ্গ উল্লিখিত শর্তাবলি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য ও রপ্তানির পরিমাণ নির্ধারণে ১১ সদস্যের একটি নতুন কমিটি করা হয়।
দেশ থেকে প্রথম বছর ৬৬৩ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়। পরের বছরগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে উন্নীত হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছিল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে গড়ে সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয় ১৮-২০ লাখ টন। প্রতি বছর গড়ে রপ্তানি হয় ১০ হাজার টন। অর্থাৎ উৎপাদনের তুলনায় চালের রপ্তানির হিস্যা অনেক কম। যে কারণে চাল রপ্তানিতে খাদ্যনিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই বলে বারবার দাবি করছেন রপ্তানিকারকরা।