রাজধানী
বর্ষবরণের রাতে শব্দদূষণে শতাধিক পাখির মৃত্যু

বর্ষবরণের রাতে আতশবাজি ও পটকা ফাটানোর আনন্দ অনেকের জন্য বিপদ ডেকে এনেছিল। এতে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ বড় শহরের বায়ু ও শব্দদূষণ তীব্র হয়ে ওঠে। শিশু ও প্রবীণ মানুষেরা অনেকেই অসুস্থ বোধ করেন। তবে গত বছরের তুলনায় পটকা, আতশবাজি পোড়ানো কমেছে।
সবচেয়ে বেশি কমেছে ফানুস ওড়ানো। এতে সামগ্রিকভাবে গত বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ দূষণ কম হয়েছে। তবে তা-ও ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্রের (ক্যাপস) আলাদা পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে যে পরিমাণে শব্দ ও বায়ুদূষণ হয়েছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে শহরের পাখিগুলো। গতকাল সোমবার বর্ষবরণের রাতে শুধু ঢাকা শহরে চার প্রজাতির শতাধিক পাখি মারা গেছে। আর কমপক্ষে চার প্রজাতির পাখি ভয় ও আতঙ্কে বাসা থেকে উড়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকায় পাখিরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পর্যবেক্ষণে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুস সালামের নেতৃত্বে ঢাকার ৪৮টি স্থানের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে বর্ষবরণের রাতের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার ফানুস ওড়ানো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। অর্ধেকে নেমেছে আতশবাজি ও পটকা ফাটানো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দোলাইরপাড়, আনন্দবাজার, নীলক্ষেত ও নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়েকটি এলাকায় বায়ুদূষণ ছিল গত বছরের মতো বেশি। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে ফার্মগেট, তেজগাঁও ও মহাখালী এলাকায় বেশি বায়ুদূষণ ছিল। উত্তরা, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ প্রধান আবাসিক এলাকাগুলোয় বায়ুর মান খুব বেশি খারাপ হয়নি। তবে শব্দের মানও স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি ছিল।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, বর্ষবরণের রাত মানেই আতশবাজি আর পটকা ফাটানো নয়। এতে কিছু মানুষের আনন্দ হয়, কিন্তু শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের জন্য গুরুতর ক্ষতি ডেকে আনে। এটা অনেকে বুঝতে পেরেছেন। তাই এবার সচেতনতা বাড়ায় শব্দ ও বায়ুদূষণ কমেছে। তবে আগামী বছরগুলোয় এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে আরও সোচ্চার হতে হবে। নাগরিকদের হতে হবে আরও দায়িত্বশীল।
অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলীয় অধ্যয়নকেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্ষবরণের রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানো এবং পটকা ফাটানোর শব্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শব্দ হয় সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী, রাতের বেলা রাজধানীতে শব্দের মানমাত্রা ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু রাতের ৯০ শতাংশ সময় ওই মাত্রা ৭০ ডেসিবেলের ওপরে ছিল। যা প্রতিদিনের গড় মাত্রার চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে বায়ুর মান ৩৫ শতাংশ অবনতি হয়। রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বায়ুতে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা ৯১ মাইক্রোগ্রাম বেড়ে যায়। যা ওই সময়ের স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১ মাইক্রোগ্রাম কম।
এ ব্যাপারে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বায়ু ও শব্দের মানের উন্নতি হওয়া অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এখনো তা মানমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। যা মানুষ ও প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়ে রয়েছে। তবে হঠাৎ করে তা বন্ধ করা যাবে না। ধারাবাহিক পরিকল্পনার মাধ্যমে তা কমাতে হবে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্ষবরণের রাতে বিকট শব্দে ও বায়ুদূষণের কারণে আটটি জায়গায় শতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে। পাখিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল চড়ুই। এর পর কাক, বাতাসী ও ঘরবাতাসী পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে মিরপুর–১৪ নম্বর এলাকা, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও জাতীয় চিড়িয়াখানা, তেজগাঁও সাতরাস্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, ওয়ারী ও সদরঘাট এলাকায়। আর বিকট শব্দে বাসা থেকে বেশি পালিয়েছে টিয়া, লক্ষ্মীপ্যাঁচা, খঞ্জন ও শালিক পাখি।
এমআই

রাজধানী
ঢাকাস্থ নলছিটি উপজেলা সমিতির সভাপতি হাজী মহসীন, সম্পাদক দেলোয়ার

ঢাকাস্থ নলছিটি উপজেলা কল্যাণ সমিতির ২০২৫-২০২৮ মেয়াদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে হাজী মো. মহসীন আলী খান সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ফেরদাউস সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেলোয়ার হোসেন, মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ও মনিরুজ্জামান খোকন তালুকদারের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করে এই কমিটির ঘোষণা করা হয়।
২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নাসির উদ্দিন মজিবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন খান। সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন রিপন এবং অর্থ সম্পাদক সোহেল রানা (বাবু)। কমিটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমিতি নলছিটি উপজেলার ঢাকাস্থ বাসিন্দাদের ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়াও শিক্ষা, মানবিক উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ভুমিকা রাখবে। বিশেষ করে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো এবং এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে।
কাফি
রাজধানী
টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় স্থবির রাজধানী, চরম দুর্ভোগে মানুষ

রাজধানীতে টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা, যানজট ও রাস্তায় জানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জনদুর্ভোগ। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে থেমে থেমে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো ভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকার বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। অনেকেই সকালবেলা কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি, কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাসায়ই থেকে গেছেন। দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য দিনটি হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মালিবাগসহ অনেক এলাকায় রাস্তায় হাঁটু পানি জমে চলাচল হয়ে পড়েছে কঠিন। এসব এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। মালিবাগ এলাকায় দোকানের ছাউনির নিচে রিকশা ফেলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকজন। তাদের একজন বলেন, “লোকজন বের হয় না, তাই ভাড়া পাই না। রিকশার চাকা না ঘুরলে খাওয়া জোটে না। কয়েকদিন ধরে যা বৃষ্টি হচ্ছে, মনে হয় না খেয়ে থাকতে হবে।”
মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রতিবারই বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এবারও একই অবস্থা। একদিনের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। বাসা থেকে বের হতে পারি না। সিটি করপোরেশন শুধু আশ্বাস দেয়, কাজ করে না।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, “সকাল থেকে যানবাহন পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। রাস্তায় যানজট, ক্লাসে সময়মতো পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”
বৃষ্টির ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকদেরও। এক যাত্রী জানান, মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাইড বুক করলেও যানজটে আটকে শাহবাগেই নামতে হয়েছে। চালক বলেন, “গতকাল থেকে ভিজে ভিজে কাজ করছি। আজ সকাল থেকেও কোনো ভাড়া পাইনি, এখন শরীর খারাপ লাগছে।”
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু এবং লঘুচাপের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কাফি
রাজধানী
জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ পদযাত্রা আগামীকাল

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে জুলাই মাস। এ জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা গণ-অভ্যুত্থানের স্প্রিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য। ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে পহেলা জুলাই ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ (প্রেসক্লাব থেকে শাহবাগে পদযাত্রা) কর্মসূচি পালন করবে তারা।
সোমবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত লড়াই, সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী ও আপামর ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে চব্বিশের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্ন বুকে নিয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল আবু সাঈদ, মুগ্ধ ওয়াসিমরা।
‘গত ১১ মাসে সে বাংলাদেশ তৈরি হয়নি। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কিছু কিছু জায়গায় এখনও রয়েছে বৈষম্য। লক্ষণীয় সংস্কার হয়নি সচিবালয়ে। গণমাধ্যম এখনও ফ্যাসিবাদের দখলে। কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এখনো গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘শহীদ পরিবারগুলো এখনো বিচারের অপেক্ষায়। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে এখনো বিভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করছে দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতারা।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১১ মাসেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি। যার কারণে এখনো জুলাই সনদের নেই কোনো অগ্রগতি। দুই দফা সময় নির্ধারণ করেও ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি শেষে ৩৬ জুলাইয়ের পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি ঘোষণা করবে গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম জুলাই ঐক্য।
এ ছাড়াও ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জুলাই ঐক্য।
রাজধানী
‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের সাথে অনেক অন্যায় করছেন’

রাজধানী
রামপুরা সাব স্টেশনে ত্রুটি, ঢাকার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন

রামপুরায় অবস্থিত পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিসিবি) একটি সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগের ফলে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে রাজধানীর একাংশ। রাত ১০টার দিকে এ গোলযোগের ঘটনা ঘটে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করতে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মুখপাত্র শামীম হাসান।
তিনি বলেন, রামপুরায় অবস্থিত পিজিসিবির একটি সাবস্টেশনে বৈদ্যুতিক গোলযোগ হয়েছে। এর ফলে মূলত ডিপিডিসির আওতাধীন যেসব এলাকা রয়েছে, সেসব এফেক্টেড হয়েছে। ডেসকো খুব একটা এফেক্টেড হয়নি। মূলত রামপুরা, হাতিরঝিল, ফার্মগেট, বনানী, গুলশান, মগবাজার এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। পিজিসিবির কর্মীরা সর্বোচ্চভাবে কাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা লাগতে পারে। প্রয়োজনে বাইপাস করে হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।
সরেজমিনে রাজধানীর গুলশান-১ ও ২, মহানগর প্রজেক্ট, মধুবাগ, মগবাজার, বাংলামোটর, কারওয়ান, হাতিরপুল এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন দেখা গেছে। এর বাইরে আরও কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই।
এদিকে, গ্রিডে ত্রুটির বিষয়ে এক বার্তায় পিজিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আকষ্মিক কারিগরি ত্রুটির কারণে ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্যুতি হয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের প্রকৌশলীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাফি