জাতীয়
নতুন ভোটারদের নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার
নতুন ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। তরুণ সমাজ ও তারুণ্যই হচ্ছে আমাদের অগ্রদূত। যারা প্রথম ভোটার হয়েছে, তাদেরকে আহ্বান করব… নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করে আপনাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়। আপনারা তার জবাব দেবেন। প্রত্যেক ভোটার সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আপনার ভোট আপনি দেবেন কেউ যেন ঠেকাতে না পারে। তাদের উপযুক্ত জবাব দেবেন। আপনারা অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব দেবেন।
ঢাকার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করে দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সামনে এই ১৫টি রত্ন তুলে দিলাম। এই ১৫টি রত্ন আপনাদের হাতে দিলাম, যারা আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করবে, আপনাদের সেবা করবে। এই নৌকা হচ্ছে নূহ নবীর নৌকা মহাপ্লাবনে মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় মানুষের উন্নতি হয়। এই নৌকা মানুষকে নিশ্চিত জীবন দেয়, শান্তি দেয় ও সমৃদ্ধি দেয়। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দেওয়ায় আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।
সরকারপ্রধান বলেন, আগামীতেও নৌকায় ভোট দেবেন। ৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আজকের এই নির্বাচন। এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন। শুধু ভোট দেবেন না, আপনার ভোট রক্ষাও করবেন। আর ওই অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী বিএনপিকে উপযুক্ত জবাব দেবেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০১ এর পর হানাদারদের মতো অত্যাচার করেছিল বিএনপি। তাদের দুঃশাসনেই দেশে ইমার্জেন্সি এসেছিল। তারা শুধু জানে মানুষের ওপর অত্যাচার করতে।
ভোট চুরি করতে পারবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন মানুষের অধিকার, এটা বন্ধ করার সাহস তাদের নেই। এদের বিষয়ে মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ওরা দেশটার সর্বনাশ করে দেবে। আমরাই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। জিয়াউর রহমান যখন ভোট চুরির জন্য হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন, আওয়ামী লীগ তখন জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে দিয়েছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই স্লোগানটিও আমাদের দেওয়া। আমরাই জনগণের হাতে ভোটাধিকার এনে দিয়েছি।
বিএনপিকে খুনি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিএনপির চুরি-দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে জনগণ তাদের ২০০৮ সালে প্রত্যাখ্যান করেছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা তারা শুধু এটাই জানে। এখন আবার নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, শুনেছি সে নাকি ক্যাসিনো থেকে টাকা ইনকাম করে। জুয়া খেলে টাকা ইনকাম করে সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।

জাতীয়
সাত জনের মরদেহ শনাক্তে লাগবে ডিএনএ টেস্ট

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এদের মধ্যে ৭ জন শিশুর লাশ শনাক্ত এখনও করা যায়নি। এসব লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান।।
তিনি বলেন, যে ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি, তারা সবাই শিশু। এর মধ্যে ৭ জনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ইনফেকশনের কারণে অনেকে মারা যেতে পারে। তাই হাসপাতালের ভেতরে সবাই প্রবেশ না করার অনুরোধ করছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে প্রাথমিক মূল্যায়নে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ সময় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আগামীকাল রক্তের প্রয়োজন হবে। তাই আজ আর কারও কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে না।
সায়েদুর রহমান ১৭ জন নিহতের কথা বললেও দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাইলটসহ ২০ জনের প্রাণহানি ও ১৭১ জন আহতের তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর)
বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের সংখ্যাও জানিয়েছে আইএসপিআর।
১. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: আহত ৮ জন, নিহত নেই
২. জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: আহত ৭০ জন, নিহত ২
৩. ঢাকা মেডিকেল: আহত: ৩, নিহত ১
৪. সিএমএইচ-ঢাকা: আহত ১৭, নিহত ১২
৫. কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল: আহত ১, নিহত ২
৬. লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার, উত্তরা: আহত:-১১ নিহত: ২
৭. উত্তরা আধুনিক হসপিটাল: আহত ৬০, নিহত ১
৮. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: আহত: ১, নিহত নেই।
এই ৮ হাসপাতালে মোট আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ১৭১ জন।
কাফি
জাতীয়
নিহতের মা-বাবাকে আমরা কী জবাব দেব: প্রধান উপদেষ্টা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিশুদের ওপর পড়ল। আগুনে পুড়ে মারা গেল, তাদের মা-বাবাদের আমরা কী জবাব দেব?’
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার এ ভিডিওবার্তাটি পোস্ট করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বলার কোনো ভাষা নেই। কীভাবে শুরু করব? সেটাও বুঝতে পারছি না। আমার মতো সারা দেশের লোক আজকে হতবাক। ’
‘এ রকম একটা কাণ্ড ঘটতে পারে। আমরা কেউ কল্পনা করিনি। কারোরই ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু এই অবিশ্বাস্য জিনিস আমাদের হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হয়েছে। ’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কচি শিশুদের ওপরে পড়ল। আগুনে পুড়ে মারা গেল, মা-বাবাদের আমরা কী জবাব দেব? কী বলব তাদের? আমরা নিজেদের তো জবাব দিতে পারছি না। অজানা শিশুদের মুখ সবার চোখে ভেসে উঠছে। ’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সারা জাতি হতভম্ব, শোকাহত। শোকাহত বললে খুব কম বলা হবে। এই দুর্ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি, এখনো লাশ আসছে হাসপাতালে, এখনো হাসপাতালে মারা যাচ্ছে, মা-বাবা এখনো খোঁজ নিচ্ছেন সন্তান কোথায়। ’
‘তাকে আর কোনো দিন চেনা যাবে কি না? যাদের লাশ দেখছি, তার মধ্যে আমার সন্তান আছে কি না। পৃথক করার তো কোনো উপায় নেই। এরা আমাদের সবারই সন্তান। হঠাৎ করে চিরদিনের জন্য চলে গেল। ’
নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। ’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা হাসপাতালে ভিড় করবেন না। যারা আহত তাদের জন্য এটা ভালো না। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের শক্তি নেই। আমরা ভিড় করলে তাদের মধ্যে কী রোগ ছড়িয়ে পড়বে, তা বলা মুশকিল। কাজেই দূরে থেকে দোয়া করুন সবাই। ’
আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭১ জন।
কাফি
জাতীয়
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২০, চিকিৎসাধীন ১৭১ জন

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭১ জন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আহত ও নিহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ঢাকার আটটি হাসপাতালে। হাসপাতালভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:
১. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল: আহত ৮ জন, নিহত নেই
২. জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট: আহত ৭০ জন, নিহত ২
৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: আহত ৩ জন, নিহত ১
৪. সিএমএইচ-ঢাকা: আহত ১৭ জন, নিহত ১২
৫. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল: আহত ১ জন, নিহত ২
৬. লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার (উত্তরা): আহত ১১ জন, নিহত ২
৭. উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল: আহত ৬০ জন, নিহত ১
৮. উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল: আহত ১ জন, নিহত নেই
সব মিলিয়ে ১৭১ জন আহত রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এবং দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়াতে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
কাফি
জাতীয়
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা করাবে সরকার

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত সকলের চিকিৎসা সরকারি খরচে নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সকল বেসরকারি হাসপাতালকে এই দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কোনো জটিলতা বা অপারগতা দেখা দিলে রোগীদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১ জন। সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির উপস্থিত ছিলেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে আজ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।
ড. ইউনূস বলেন, এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ প্রদান করছি।
তিনি আরও বলেন, সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।
কাফি
জাতীয়
রক্তদাতাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাতে বিমান বাহিনীর জরুরি সেল

রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার সুবিধার্থে রক্তদাতাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাতে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সমন্বয় সেল খোলা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২১ জুলাই) জানানো হয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে রক্তদাতাদের পাঠাতে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রেকর্ড অফিসে একটি সার্বক্ষণিক জরুরি সেল খোলা হয়েছে।
এই সেলের মোবাইল-০১৭৬৯৯৯৩৫৫৮ (হোয়াটসঅ্যাপ) নাম্বারে যোগাযোগের জন্য রক্তদাতাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
কাফি