জাতীয়
মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে আটকেছে ৩৮ ফানুস

মেট্রোরেলের পাশে ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও অবাধ্য কিছু মানুষ ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে মেট্রোরেলের কাছাকাছি থেকে ফানুস ওড়ান। এতে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে এবার মোট ৩৮টি ফানুস আটকেছে। তবে পূর্ব পরিকল্পনা থাকায় ইংরেজি বছরের প্রথম দিন মেট্রোরেল চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স) নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের লোকজন রাত ৩টার পর থেকে পেট্রোলিং করেছে। পুরো পথকে ছয়টি সেকশনে ভাগ করে এই পেট্রোলিং করা হয়। এজন্য সকাল থেকে আমরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে যাত্রীসেবা দিতে পারছি।
তিনি বলেন, আমাদের এই প্ল্যানিংটা আগেই ছিল। রাত ৩টার দিকে কাজ শুরু করেছি এবং ভোর ৫টার দিকে শেষ করেছি। ৩৮টির মতো ফানুস তারে আটকে ছিল এবার।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভা কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর উভয় পাশে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের থার্টি ফাস্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ঘুড়ি, ফানুসসহ যেকোনো বিনোদন সামগ্রী ওড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে পুলিশ সহায়তা করবে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
গত বছর ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তার ২ দিন পরেই ছিল ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’। সে রাতে ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপন করে অনেকে। পরে তাদের উড়ানো ফানুসের মধ্যে ১৫টি ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক লাইনে আটকে যায়। তাতে সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেল চলাচল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘সিটিসি’ অনুদানের আবেদন গ্রহণ শুরু

ব্রিটিশ কাউন্সিলের শিল্পকলা-ভিত্তিক অনুদান ‘কানেকশনস থ্রু কালচার (সিটিসি)’ গ্রান্টসের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই অনুদানের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশসহ ১৯টি অংশীদার দেশের শিল্পী ও সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃজনশীল এবং সাংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে পারবেন। আগামী ২৩ জুন রাত আটটা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত এ অনুদানের জন্য আবেদন করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘কানেকশনস থ্রু কালচার’ প্রকল্পটির মাধ্যমে শিল্প ও সংস্কৃতিতে উদ্ভাবনী এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগের জন্য ১০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত অনুদান প্রদান করা হবে। এর মধ্যে রেসিডেন্সি, পারফরম্যান্স, পলিসি ল্যাব, প্রদর্শনী, গবেষণা ও উন্নয়নের পাশাপাশি আরও অনেক উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা অর্থবহ সংলাপ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করতে সহায়তা করবে।
এই অনুদান স্থাপত্য, নকশা, ফ্যাশন ও কারুশিল্প, থিয়েটার, নৃত্য ও সার্কাস, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও সৃজনশীল প্রযুক্তি, ভিজ্যুয়াল আর্টস, সঙ্গীত, অথবা মাল্টিডিসিপ্লিনারি উদ্যোগ সহ সকল শাখা হতে আবেদন গ্রহণের উপযুক্ত। প্রকল্পের মাধ্যম ডিজিটাল, স্বশরীরে অংশগ্রহণ, কিংবা হাইব্রিড হতে পারে। প্রকল্পের সময়কাল অক্টোবর ২০২৫ হতে ৩১ অক্টোবর ২০২৬ পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত তথ্য ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
গত বছর এই অনুদানের মাধ্যমে ৪টি বাংলাদেশী প্রকল্প সহ মোট ৮৪টি বৈশ্বিক প্রকল্প সহায়তা পেয়েছিল। বিগত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এই বছরও নতুন প্রকল্পের আহবান জানানো হচ্ছে। এবারের পর্বে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০টি যৌথ উদ্যোগকে অনুদান প্রদান করা হবে, যা যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশসহ ১৯টি অংশগ্রহণকারী দেশের যৌথ সৃজনশীল প্রকল্পকে অর্থায়ন করবে।
এই উদ্যোগ নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল সাউথ এশিয়ার রিজিয়নাল আর্টস ডিরেক্টর জিল রিচেনস বলেছেন, “কানেকশনস থ্রু কালচার শুধুমাত্র একটি গ্রান্ট প্রোগ্রামই নয়, এ উদ্যোগ সৃজনশীল অংশীদারিত্বে পরিবর্তন আনতে একটি প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। যেসব প্রকল্প শিল্পকলা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবে এবং সংস্কৃতি ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে, আমরা সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে পাশে থাকতে চাই।”
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত কানেকশনস থ্রু কালচার গ্রান্টের সাফল্যের ভিত্তিতে আমরা এবারের পর্বে শিল্পী ও শিল্পকলা নিয়ে যারা কাজ করছে, তাদের এই উদ্যোগে অংশ নিতে আহ্বান জানাই; আমরা আশা করি তারা নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে এ বছরের উদ্যোগের সাথে যুক্ত হবেন।
এ আয়োজনের মাধ্যমে শিল্পী ও শিল্পকলা নিয়ে কাজ করে যে সংগঠনগুলো তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করতে চাই, যেন একসাথে আমরা নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে পারি। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সৃজনশীল কাজ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে ভৌগোলিক সীমারেখা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে অর্থবহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রাখছে। সিটিসি গ্রান্টস প্রোগামও একই লক্ষ্যে কাজ করবে।”
যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ সহ আরও যেসকল দেশ এই উদ্যোগে অংশ নিচ্ছেঃ অস্ট্রেলিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীনের মূল ভূখণ্ড, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের চাকরি ছাড়লেন পাঁচ এএসপি

চাকরি ছেড়েছেন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৪১তম ব্যাচের পাঁচজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)।
মঙ্গলবার (২০ মে) প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এতে পাঁচ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ার কোনো কারণ জানানো হয়নি।
সূত্র বলছে, পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মকর্তা পুলিশে চাকরি করতে চান না। তারা সরকারের অন্য একাধিক বিভাগে চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। এ কারণে তারা পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪১তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
চাকরি ছাড়লেন যারা—
৪১তম বিসিএসের রবিউল রায়হান, মো. সুজনুর ইসলাম সুজন, শানিরুল ইসলাম শাওন, মো. মাসুদ রানা ও কৌশিক ভদ্র। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন তারা।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আমাদের পাওনা পরিশোধ না হলে যমুনা ছাড়বো না

বেতন ও বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। সেখানেই তাঁরা অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে থেকে শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে মিছিল নিয়ে যান। তাঁরা বেতনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
এসময় এক পোশাকশ্রমিকরা বলেন, আমাদের পাওনা পরিশোধ না হলে যমুনা ছাড়বো না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে বরদাশত করা হবে না

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সংবাদ আসে যে, ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে কতিপয় ব্যক্তি গেট ভেঙে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করছে। এরপর ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ১৫ থেকে ২০ জন লোক অবস্থান করছিল এবং তারা বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে, আর তারা উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করে। তারা মো. গোলাম মোস্তফা নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাদেরকে বিকেল সাড়ে ৩টায় মুচলেকা গ্রহণপূর্বক ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৃষ্টিতে ভিজে আন্তঃক্যাডারদের মানববন্ধন

প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, ডিএস পুলের কোটা বাতিল ও সকল ক্যাডারের সমতা বিধানের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২০ মে) আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে ঢাকায় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫ ক্যাডারের সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ২৫ ক্যাডারের ১২জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন, সরকারি বিধি-বিধান ভঙ্গ করে মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি করেছেন, মিছিল করেছেন। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
কয়েকদিন আগে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে। ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেন, একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের গোষ্ঠী-স্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সময় আরও বলা হয়, পক্ষপাত দুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়া একটি ক্যাডারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা জানিয়েছিলেন যে, “এটাই চূড়ান্ত নয়, ঐকমত্য কমিশনে দাবি জানাবেন।”
অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশন নিজেরা কিছু না করে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছেন। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল সার্ভিসের দাবিকে অগ্রাহ্য করে, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে ৫৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তার দাবিকে উপেক্ষা করা হলে, তা প্রত্যাখ্যান করবে পরিষদ। এসময় পরিষদের পক্ষ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার) বাস্তবায়ন, উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ , সকল ক্যাডারের সমতা বিধান ও বিভিন্ন ক্যাডারে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানানো হয়।
তারা বলেন, ডিএস পুলের কোটাকে কোনভাবেই মেনে নেবে না পরিষদ। এটা জুলাই বিপ্লবের সাথে সাংঘর্ষিক। কোটা বজায় রাখার জন্য এদেশের এত ছাত্র-জনতা জীবন দেন নাই। জুলাই পরবর্তী সকল কোটার অবসান হয়েছে, ডিএস পুলের কোটাও বাতিল করতে হবে। জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবিতে পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে কর্মকর্তারা দৃঢ়তা প্রকাশ করেন। আগামী ২৬ মে তারিখের মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২৭ ও ২৮ মে তারিখে অর্ধদিবস (সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত) কলমবিরতি কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পরিষদের পক্ষ থেকে একই দাবিতে গত ২ মার্চ তারিখে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এছাড়াও, গতবছর ২৪ ডিসেম্বর তারিখে সারাদেশে ১ ঘন্টার কলম বিরতি কর্মসূচি ও ২৬ ডিসেম্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
কাফি