রাজনীতি
২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
আলোচনা জন্য বিএনপিকে আবারও আমন্ত্রণ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২ জুন দ্বিতীয় দফার এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন বলেন, সরকার একের পর এক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাতে বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন, কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়।
‘সংবিধান সংস্কার কমিশন যদি নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়, তবে সে বিষয়ে জাতিকে একমত হতে হবে’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, জোর করে চাপিয়ে দিলে সেটা গণতন্ত্র নয়, তা হবে আরেকটি বাকশাল।’
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করি, মতের ভিন্নতা থাকবেই। আর ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে একটি যুক্তিও নেই। দেশের মানুষ চায় অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

রাজনীতি
প্রশাসনে এখনো স্বৈরাচারের দোসর সক্রিয়: নাহিদ ইসলাম

প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২০ জুলাই) সকালে রাঙামাটি যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে স্টেশন রোড এলাকায় একটি মোটেলে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবারের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি—অভ্যুত্থানে আমরা ছিলাম, আপনাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে ছিল, সে জায়গা থেকে। দল-মতের ঊর্ধ্বে সবাইকে একটি পরিবার মনে করি। অবশ্যই শহীদ পরিবারদের–শহীদদের কোনো দল হয়নি, এটা আমরা মনে করি। তারা পুরো বাংলাদেশের, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা যখন সরকারে ছিলাম, তখন শহীদ পরিবারদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চাপ তৈরি করেছি। দেখা যাচ্ছে, উদ্যোগগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি করছে এবং সেখানে অনেক ধরনের ঝামেলা এখনও হয়।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে। সেখানে শহীদ পরিবাররা যে সম্মান পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন জায়গায় সে অভিযোগগুলো পাচ্ছি। তবে দলের পক্ষ থেকে শহীদ কল্যাণ-আহত সেল থেকে তাদের কল্যাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শহীদদের পরিবারের সঙ্গে নাহিদ ইসলামের কথা বলার সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা রাঙামাটির উদ্দেশে যাত্রা করেন।
কাফি
রাজনীতি
শেখ হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, তার ক্ষমা নেই: মির্জা ফখরুল

শেখ হাসিনাকে কোনদিন ক্ষমা করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, মায়েদের কলঙ্ক, তার ক্ষমা নেই। বিচার হবেই।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
শনিবারের (১৯ জুলাই) একটি অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে এক শহীদের মায়ের আহাজারির কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে ছেলেটাকে দেখে আমি স্বপ্ন দেখেছি- আমার পরিবার স্বপ্ন দেখেছে ভবিষ্যতের। সে ছেলেটাকে কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে খুবই মর্মান্তিক ও নিদারুণভাবে। তাকে গুলি করে মেরেছে, তারপর একটি ভ্যানের মধ্য উঠিয়েছে। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, সেটা না দেখে আরও কয়েকটি মরদেহ উঠিয়েছে, পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে’—চিন্তা করেন একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি, একটা স্বাধীন দেশের জন্য। সেই দেশের পুলিশ, প্রশাসন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে, যাদের বেতন আমার-আপনার ট্যাক্সের টাকায় হয়। তারা আজকে আমার ছেলেকে, আমার সন্তানকে পুড়িয়ে মারছে ও হত্যা করছে। কী নির্মম, কী পাশবিক।
এমন নিষ্ঠুর-অমানবিকতার জন্য শেখ হাসিনাকে কখনো ক্ষমা করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসিনাকে কোনদিন ক্ষমা করা যাবে না। হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক। হাসিনা মায়েদের কলঙ্ক। আমাদের প্রথম কাজ হবে এদের বিচার করা। দ্বিতীয় কাজ হবে শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করা। এটা না হলে ভবিষ্যত জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।
জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর জন্য বিএনপি ফান্ড তৈরি করবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকালও বলেছি, আজকেও বলেছি, নির্বাচন হবেই। নির্বাচনে কে দায়িত্ব পাবে বা না পাবে, সেটা পরের কথা। আজকেই আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলব, দলের পক্ষ থেকে একটা ফান্ড করব, যাতে আহত ও শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা যায়।
কাফি
রাজনীতি
গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি তারেক রহমানের শ্রদ্ধা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ যাতে পুনরায় ক্ষমতা লাভ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভায়’ তিনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জনগণের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের শহীদরাও একইভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও, ১৬ তারিখের পর তা কেবল কোটায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং সেই সময়েই দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল যে, মাফিয়া সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার। এই বিশ্বাস থেকেই সকল গণতান্ত্রিক দল একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল এবং এটি নিশ্চিত করা হয়েছিল যাতে আন্দোলন কোনো একক দলের পরিচয়ে পরিচিত না হয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকেই কোটা ব্যবস্থার সমালোচনা করে আসছেন। তার মতে, গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদরা জাতির গৌরব। তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতি যথার্থ সম্মান জানানো সম্ভব। আর এই কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রথম ও প্রধান শর্তই হলো ‘জনগণের সরকার’ প্রতিষ্ঠা। এর জন্য এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা জরুরি, যেখানে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে।
রাজনীতি
জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান-কে দেখতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালে যান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৫টার পর বক্তব্য শুরু করেন জামায়াত আমির। ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রথমবার অসুস্থ হয়ে তিনি নিচে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর মঞ্চের অন্য নেতাদের সহযোগিতায় তিনি উঠে দাঁড়ান। এ সময় নেতারা তাকে ধরে রাখেন এবং কেউ কেউ তার খোলা মাথায় বাতাস করেন। ৫টা ২৩ মিনিটে তিনি আবার বক্তব্য শুরু করেন। এক মিনিট বক্তব্য না দিতেই ফের অসুস্থ বোধ করলে ক্ষণিকের জন্য বক্তৃতা বন্ধ করেন। এরপর ডান হাত দিয়ে বুক চেপে ধরেন এবং তাকে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় অন্য নেতারা চারপাশ থেকে তাকে ধরে বসিয়ে দেন। বসা অবস্থাতেই তিনি বক্তৃতা চালিয়ে যান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন, তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না। সুতরাং এটা নিয়ে আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।”
তিনি আল্লাহ যাতে তাকে শহীদি মৃত্যু দেন, সেই কামনা করেন। এরপর ‘আল্লাহু আকবার, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে জামায়াত আমির তার বক্তৃতা শেষ করেন।
রাজনীতি
আগামীর বাংলাদেশে আরও একটি লড়াই হবে: ডা. শফিক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে আরও একটি লড়াই হবে। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? আমি বলব আরেকটা লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ। একটা লড়াই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে।”
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই দুর্নীতির মূল উৎপাটনের জন্য যা করা দরকার, আমরা তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে একত্র করে সেই লড়াইয়েও ইনশাআল্লাহ বিজয় লাভ করব।”
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে, তার প্রমাণ কী? সবাইকে নিয়েই তা গড়ে তুলব। আমরা কথা দিচ্ছি, মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় জামায়াতের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বসেই বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন এবং বলেন, “আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না আমি। সুতরাং এটা আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।”
শাসনক্ষমতায় গেলে কী করবেন, তা জানিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যদি আল্লাহর ইচ্ছায় দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়, তাহলে মালিক হবে না, সেবক হবে ইনশাআল্লাহ।”
ঘোষণা দিয়ে আমিরে জামায়াত বলেন, “আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি, লাখো জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে যারা আগামীতে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করবেন, কোনো এমপি, কোনো মন্ত্রী সরকার থেকে কোনো প্লট গ্রহণ করবে না, ট্যাক্সবিহীন গাড়িতে চড়বে না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবে না, নিজেদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য যে বরাদ্দ পাবেন, কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৮ কোটি মানুষের কাছে হিসাবের প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।”
এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, “চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেব না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না।”