বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, টানা পাঁচদিনের ধর্মঘটে পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। সরকার স্বাভাবিক রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয়েছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফ বন্দরে প্রবেশ নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম চালু করে এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের বন্দরে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করলে ভারতের বনগাঁ গুড ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ পাঁচটি বাণিজ্যিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে সোমবার সকাল থেকে এ পথে বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, সভার সিদ্ধান্তে আগামী এক মাসের মধ্যে বনগাঁ গুড ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে বন্দরে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিএসএফ অকারণে হয়রানি করবে না বলে জানিয়েছে। এমন সমঝোতা সিদ্ধান্তে কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে আজ থেকে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, ভারত অংশে দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। আটকে পড়া পণ্য বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যাতে দ্রুত এসব পণ্য ব্যবসায়ীরা খালাস নিতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।