বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি সদর জোন ২০বীরের অধীনে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন ২০বীর অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম পিএসসি। ঘর থেকে বের না হতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ত্রাণ দিলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাঙামাটি সদর জোন ২০বীর সেনা সদস্যরা।
রাঙামাটি সদর জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম পিএসসি দুর্গম পাহাড়ি অ লে পায়ে হেটে গিয়ে উচু নিচু পাহাড় পেরিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে পাহাড়িদের হাতে হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। প্রথমে জোন অধিনায়ক বালুখালী ইউনিয়নের শীলছড়ি গ্রামে ২০ পরিবারকে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ দেন । পরে বরকল উপজেলার সুবলং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (মিতিংঙ্গাছড়ি) তে ৬০ পরিবার ও সুবলং বাজারে ২০ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করেন। সর্ব মোট ২০০ পরিবারের মধ্যে সেনা সদস্যদের রেশন হতে বাঁচিয়ে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
২০বীর অধিনায়ক বলেন, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে ও প্রচণ্ড আকারে দেখা দিয়েছে। তাই সরকার বলেছেন মানুষ ঘর থেকে বের হবেনা। মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা এবং জরুরী কাজ না থাকলে ঘরের বাহিরে যাবেনা। দুস্থ অসহায় কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজনের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে প্রতিনিয়ত কাজ করছে সেনাবাহিনী। সরকারের একটাই উদ্দেশ্য আপনারা ঘরে থাকবেন ঘরে থেকে বের হবেন না আর ত্রাণ পৌছিয়ে দেব আমরা।
তিনি আরো বলেন, দেশে করোনার প্রভাব দেখা দেওয়ার সাথে সাথে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন ও সদর জোন ২০বীর কর্তৃক করোনা প্রতিরোধ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, শিশুদের জন্য পুষ্টি সামগ্রী বিতরণ, জন সচেতনতায় মাক্স বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন বিতরণ, ব্লিচিং পাউডারের পানি মিশাইয়ে সেনা সদস্য দ্বারা গাড়ি দিয়ে ছিটানো, জনসচেতনতায় মাইকিং করাও গাড়ি দিয়ে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছিয়ে দেওয়া ইত্যাদি কাজ গুলো করে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ত্রাণের মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাউল, ২কেজি আলু, ২কেজি আটা, ১কেজি ডাল, ১কেজি পেয়াজ, ১লিটার সয়াবিন, ৫০০ গ্রাম লবণ ও ১টি করে হাত ধোয়ার সাবান।