বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি ঠেকাতে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া, রেস্তোরাঁসহ অতিথি আপ্যায়নের বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখা। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে।
অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর গত মাসে আয়ারল্যান্ডে সংক্রমণ বেড়ে যায়। এ কারণে বড়দিনের ছুটির সময়ও নাইটক্লাবগুলো বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সংক্রমণ কমে আসায় আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে।
এ নিয়ে গতকাল টেলিভিশনে এক ভাষণ দেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অন্ধকার সময়ে ছিলাম। কিন্তু আজ সুদিন।’ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক যেসব বিধিনিষেধ এত দিন ছিল, তার আর প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে ‘মহামারি এখনো শেষ হয়নি’ বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মার্টিন।
প্রায় দেড় বছর লকডাউনে থাকার পর গত বছরের অক্টোবরে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অমিক্রন শনাক্তের পর গত ডিসেম্বরে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এসব বিধিনিষেধ আবারও উঠে যাচ্ছে। এর ফলে রেস্তোরাঁ, পানশালা স্বাভাবিক নিয়মে চালু রাখা যাবে। এসব চালু রাখতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা কোভিড-১৯ পাসও সঙ্গে রাখার প্রয়োজন নেই। আগামী সপ্তাহ থেকে কর্মীরা পুরোদমে অফিসে যেতে পারবেন।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে নিজ উদ্যোগে আইসোলেশনে থাকার বিধিও বহাল থাকছে।