বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এক অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,‘এটি কোনও কাজে আসবে না। কারণ পাওয়ার অব অ্যাটোর্নি নিয়ে যথেষ্ট জালিয়াতি, প্রতারণা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ হয়। তবে বিদেশে বাসবাসকারী প্রবাসী নাগরিকরা দূতাবাসের মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটোর্নি দিলে সেটির কাজ করা হবে।’
ভূমিমন্ত্রী বলেন,জমির দাম যত বাড়ছে মানুষের লোভ তত বাড়ছে। এ কারণে ই-পাওয়ার অব অ্যাটোর্নি ঘিরে জালিয়াতি-প্রতারণার মতো ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, পটুয়াখালী ও বরগুনায় পাইলট ভিত্তিতে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে হচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় এর পরে আর কোনও সার্ভে হবে না। প্রয়োজনও হবে না। এ ক্ষেত্রে ডিসি সাহেবরা শুধু পটুয়াখালী, বরগুনা নয়; দেশের ৬৪ জেলায় একসঙ্গে এটা করা যায় কিনা জানতে চেয়েছেন। তখন এটা সম্ভব নয় বলে ডিসিদের জানানো হয়েছে। কারণ কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল হবে, তা আবার সংশোধন হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা আমরা এ বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করবো বলে আশা করছি। আগামী বছর দেশের সব নাগরিক নিজস্ব মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজ নিজ জমির ভূমি উন্নয়ন কর জমা দিতে পারবে।’ ভূমি ব্যবস্থাপনায় ই-নামজারি সিস্টেম ৯৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।