করোনায় কম বয়সীদের স্ট্রোক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে

করোনায় কম বয়সীদের স্ট্রোক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
নতুন করোনাভাইরাসে বয়স্ক ও অসুস্থদের ঝুঁকির কথা এতদিন বলা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা আক্রান্ত কম বয়সীদের ক্ষেত্রে নতুন একটি প্রবণতা চিহ্নিত করেছেন।

তারা দেখেছেন, ৫০ বছরের কম এমন বেশ কয়েকজন রোগীর স্ট্রোক হয়েছে, যাদের অন্য কোনো রোগ তো ছিলই না, কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গও ছিল মৃদু।

চীন থেকে সংক্রমিত নতুন এই করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করলেও এর সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু বিজ্ঞানীদেরও অজানা।

বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে সংক্রমণ ঘটানোর ক্ষেত্রে ভাইরাসটি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে কি না, তা নিয়ে গবেষকদের কৌতূহল রয়েছে।

এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে নতুন একটি জটিলতা চিহ্নিত করলেন বলে বুধবার সিএনএন খবর দিয়েছে; যে দেশে ইতোমধ্যে ৪৪ হাজার মানুষ মারা গেছে করোনাভাইরাসে, আক্রান্ত হয়েছে ৮ লাখের বেশি মানুষ।

নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেমের নিউরোসার্জন ডা. টমাস অক্সলি ও তার সহকর্মীরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত বেশ কয়েকজন স্ট্রোকের রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।

তারা বলছেন, এই রোগীদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের নতুন করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এলেও উপসর্গ ছিল মৃদু, এজন্য তারা হাসপাতালেও যাননি। এর মধ্যেই তাদের স্ট্রোক হয়।

ডা. অক্সলি বলেন, “মনে হচ্ছে এই ভাইরাস মস্তিষ্কের বড় ধমনীগুলোতে রক্ত জমাট বাঁধিয়ে ফেলে, যার ফলে মারাত্মক স্ট্রোক হয়।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে কম বয়সীদের স্ট্রোকের প্রবণতা ৭ গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডা. অক্সলির ভাষ্যে, এই রোগীদের আগে কোনো অসুস্থতাও ছিল না, তাদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ কারও ক্ষেত্রে ছিল মৃদু, কারও ক্ষেত্রে ছিলই না।

তিনি তার চিকিৎসায় থাকা পাঁচজন রোগীর তথ্য তুলে ধরে বলেন, এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন, একজন রয়েছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে।

ডা. অক্সলি বলেন, সাধারণ সময়ে ৫০ বছরের কম বয়সীদের এই ধরনের স্ট্রোকের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে নগন্য। প্রতি দুই মাসে একজন রোগী পাওয়া যেত।

এখন পর্যন্ত জ্বর, শুকনো কাশি, গলা ব্যথাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক উপর্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এরপর হয় শ্বাসকষ্ট, যাতেই মৃত্যু ঘটে বেশিরভাগের।

ডা. অক্সলি বলেন, “এতদিন শ্বাসকষ্ট হলে কিংবা তীব্র জ্বর হলেই কেবল হাসপাতালে যেতে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এখন আমরা বলছি, আপনারা স্ট্রোকের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ৯১১ (হটলাইন) ফোন করুন।”

তিনি বলেন, ধমনীতে রক্ত বাঁধলে তা দ্রুত অপসারণ করতে হবে, ৬ ঘণ্টার মধ্যেই তা করতে হবে, কিছু ক্ষেত্রে হয়ত ২৪ ঘণ্টা দেরি হলেও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।

স্ট্রোকের লক্ষণ বোঝার জন্য একটি সূত্রও বাতলে দিয়েছেন এই চিকিৎসক; তিনি সবাইকে বলেছেন ‘FAST’ শব্দটি মনে রাখতে। এফ দিয়ে ‘ফেইস ড্রুপিং’ অর্থাৎ মুখমণ্ডল ঝুলে পড়া, এ দিয়ে ‘আর্ম উইকনেস’ অর্থাৎ বাহুতে শক্তি না পাওয়া, এস দিয়ে ‘স্পিচ ডিফিকাল্টি’ অর্থাৎ কথা বলায় জড়ত আসা।

ডা. অক্সলি বলেন, যখনই এমন দেখবেন তখনই বুঝবেন ‘টি’ এসে গেছে, অর্থাৎ টাইম টু কল ৯১১, এখনি ফোন করতে হবে হটলাইনে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া