শনিবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ধসে পড়া ভবনের ভেতর থেকে। আটকা পড়াদের মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ২৬ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহত অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ছয়শ জনের উদ্ধারকর্মী উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।
শিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, মানুষজন দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় ক্যান্টিনের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সরকারি একটি ক্যান্টিনে গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এতে পাশের ভবনটিও ধসে পড়ে। তবে কিভাবে বিস্ফোরণ হলো তা তদন্ত করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে যে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মেগাসিটির উলং জেলার একটি ভবন ধসে পড়ছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে চারপাশ।
চীনে গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ এবং বিস্ফোরণ একটি সাধারণ ঘটনা। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে প্রায়ই সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গতবছর জুনেও ২৫ জন মারা যান গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায়। পরে এ ঘটনায় গ্যাস পাইপ লাইনের সংযোগ দেওয়া কোম্পানির ম্যানেজারসহ আটজনকে আটক করা হয়। সরকারের তরফ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো ছিল না। একই মাসে একই ধরনের আরও একটি ঘটনায় মারা যান ১৮ জন। -আল-জাজিরা