এলোমেলো নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ

এলোমেলো নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ
চতুর্থ দিন শেষ। আগের তিন দিনের মতো এই দিনটিতেও লেখা থাকল বাংলাদেশের নাম। পেসারদের তোপে এলোমেলো নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ১৩০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউ জিল্যান্ডের লিড ১৭ রানের। ম্যাচের অবস্থা বলছে, স্বাগতিকদের কোণঠাসা করে রেখেছে বাংলাদেশ। কারণ নিউ জিল্যান্ডের হাতে রয়েছে আর ৫ উইকেট।

লাঞ্চ পরবর্তী সেশনে তাদের দুটি উইকেট নিয়ে যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছিল বাংলাদেশ, তা কাজে লাগিয়ে শেষ সেশনে আরো তিন উইকেট তুলে নেয় তারা। শেষ বিকেলে তো দলীয় স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা না হতেই তিন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে। এমন দাপুটে দিনের নায়ক ইবাদত হোসেন। ১৭ ওভারে ৪ মেডেনসহ ৩৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি।

শেষ বিকালে দুই ওভার মিলিয়ে ৭ বলের ব্যবধানে ইনিংস সেরা উইল ইয়াং, হেনরি নিকলস ও টম ব্লান্ডেলকে ফেরান ইবাদত। ইয়াংকে ৬৯ রানে ফিরিয়ে তার সঙ্গে রস টেলরের ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। তারপরই বিপর্যয়। ৩৭ রানে অপরাজিত টেলরের সঙ্গে অন্য প্রান্তে দিন শেষ করা রাচিন রবীন্দ্র ৬ রানে টিকে আছেন।

৬ উইকেটে ৪০১ রানে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ১৭৬.২ ওভারে তারা অলআউট হয় ৪৫৮ রানে, যা তাদের দ্বিতীয় লম্বা টেস্ট ইনিংস। আর ঘরের মাঠে ১২ বছর পর নিউ জিল্যান্ড কোনো ইনিংসে এতগুলো ওভার করল। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের হাতে ছিল লাগাম।

মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইয়াসির আলী রাব্বি সপ্তম উইকেটে ৭৫ রান যোগ করেন। লোয়ার অর্ডারে ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন মিরাজ, তার ৪৭ রান এসেছে ৮টি বাউন্ডারিতে। চতুর্থ দিন সকালে দুইবার এলবিডব্লিউ আপিলে বেঁচে যান তিনি, রাচিন ও নিল ওয়াগনারের ইনসাইড এজ দুই অনফিল্ড আম্পায়ার সাড়া দেননি।

টিম সাউদি দিনের ৩৬তম ওভারে মিরাজকে মাঠছাড়া করেন, যা ছিল কিউই পেসারের ৪৬৮ বলে প্রথম টেস্ট উইকেট। কাইল জেমিসনও তার প্রথম উইকেট পান, যখন রাব্বি ২৬ রানে লেগ সাইডে ব্লান্ডেলের কট বিহাইন্ড হন। সাউদি তাসকিন আহমেদকে (৫) এলবিডব্লিউ করেন এবং শরিফুল ইসলামকে (৭) বোল্ড করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন বোল্ট, যা ছিল তার চতুর্থ উইকেট।

১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে লাঞ্চের আগে ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান করে নিউ জিল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে চালকের আসনে বসে। চা বিরতিতে তারা যায় ৬২ রানে পিছিয়ে থেকে। যদিও এই সেশনের শুরুটা হয়েছিল বাউন্ডারির ফুলঝুরিতে। কিন্তু তাসকিন নবম ওভারে টম ল্যাথামের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।

প্রথম ইনিংসে ১২২ রান করা ডেভন কনওয়ে এই ইনিংসে ভুগছিলেন। মাত্র ১৩ রান করেন তিনি। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন গালিতে। বল ইনসাইড এজে প্যাডে লেগে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়ে। আম্পায়ার আউট না দিলে বাংলাদেশ এলবিডব্লিউ ও ক্যাচের জন্য রিভিউ নেয়। ক্যাচে তাকে মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত আসে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়