গত ১৯ এপ্রিল বিতরণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুকূলে এই অর্থ ছাড় মঞ্জুরি জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন বাজেটে কৃষি ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা থেকে কৃষি উৎপাদন ব্যয় হ্রাসকরণ এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে চলতি অর্থবছরে কৃষকের যন্ত্র ক্রয়মূল্যের ওপর উন্নয়ন-সহায়তা (ভর্তুকি) প্রদানে কৃষি যন্ত্রপাতিতে উন্নয়ন-সহায়তা বাবদ ১০০ কোটি টাকা দিতে অর্থ বিভাগ কর্তৃক সম্মতি প্রদান করা হয়।
অর্থ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে কৃষি যন্ত্রপাতিতে উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) দিতে ১০০ কোটি টাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুকূলে ছাড় মঞ্জুরি জারি করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পদ্ধতি ও আর্থিক বিধি-বিধানের আলোকে এ অর্থ ব্যয় করতে হবে। কৃষককে যন্ত্র ক্রয়মূল্যের ওপর ৫০ শতাংশ হারে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করতে হবে। তবে হাওর অঞ্চলে কৃষকদের কেবল চলতি অর্থবছরের জন্য যন্ত্রমূল্যের ৭০ শতাংশ হারে উন্নয়ন-সহায়তা ভর্তুকি প্রদান করা যাবে।
অর্থাৎ ভর্তুকি পাওয়া কৃষক এক লাখ টাকা মূল্যের কোনো যন্ত্র কিনলে এর ৫০ শতাংশ বা ৫০ হাজার টাকা দেবে সরকার, আর বাকি ৫০ শতাংশ বা ৫০ হাজার টাকা নিজে দেবে। আর এক্ষেত্রে হাওর অঞ্চলে সরকার দেবে ৭০ হাজার টাকা।
অবমুক্ত অর্থ থেকে বিগত বছরগুলোর কোনো দাবির অর্থ সমন্বয় করা যাবে না জানিয়ে অর্থছাড়ের আদেশে বলা হয়েছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকের যন্ত্র ক্রয়মূল্যের ওপর ভর্তুকি প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষে নিশ্চিত হয়ে অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প/স্কিম/অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে দ্বৈততা পরিহার করতে হবে। ছাড় করা অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কৃষিযন্ত্র ক্রয়মূল্যের ওপর ভর্তুকি দেয়া অর্থ যথাযথ নিয়মে পরিশোধিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত নিরীক্ষিত হিসাব অর্থ বিভাগের পেশ করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।