৩০ দিনের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধের নির্দেশ

৩০ দিনের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধের নির্দেশ
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বীমা গ্রাহকদের সহযোগিতায় ৩০ দিনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ বীমা পলিসির টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। একই সঙ্গে প্রিমিয়াম ছাড়াই গ্রাহকের মোটর বীমার মেয়াদ ৪৫ দিন বাড়ানোর জন্য কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে যেসব মোটর বীমা পলিসির মেয়াদ শেষ হবে, ওই গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন।

৩০ দিনের মধ্যে বীমা দাবির টাকা পরিশোধের বিষয়ে আইডিআরএ বলেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির বিপরীতে প্রাপ্য দাবি ৯০ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আবেদনের জন্য অপেক্ষা না করে করপোরেশন বা কোম্পানিগুলো ডাটাবেইজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির তালিকা নিয়ে বীমা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইনে গ্রাহকের ব্যাংকে বীমা দাবির টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। যার বিস্তার বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার এ ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের অফিস সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয়তার আলোকে তা বর্ধিত করছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক কোটির অধিক বীমা গ্রাহক রয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকের বীমা পলিসির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু বীমা দাবির টাকা পাওয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারছেন না। অনেকের বীমা পলিসির প্রিমিয়াম জমার সময় হয়েছে কিন্তু চলাফেরায় বিধিনিষেধ থাকায় এবং কোম্পানি বা করপোরেশনের অফিস বন্ধ থাকায় প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। তাছাড়া মোটর ইনস্যুরেন্সের ক্ষেত্রে অনেকের পলিসি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও পলিসি রিনিউ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো বীমা আইন-২০১০ ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় রিপোর্ট রিটার্ন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করতে পারছে না- বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সব তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে যে সকল জীবন বীমা পলিসির গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়েছে সে সকল পলিসির জন্য গ্রেস পিরিয়ড আরও ৪৫ দিন বাড়ানো হলো। এই সময়ে পলিসিগুলোর অধীনে বীমা ঝুঁকি অবরিত থাকবে এবং পলিসিগুলো চলমান হিসেবে বিবেচিত হবে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থ সংকটে বীমা গ্রাহকদেরকে সহযোগিতা করার স্বার্থে মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির বিপরীতে প্রাপ্য দাবি ৯০ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আবেদনের জন্য অপেক্ষা না করে করপোরেশন বা কোম্পানিগুলো ডাটাবেজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির তালিকা নিয়ে বীমা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইনে গ্রাহকের ব্যাংকে বীমা দাবির টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশব্যাপী যানবাহন চলাচল সীমিত থাকায় অধিকাংশ গাড়ি বন্ধ রয়েছে।

এক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব মোটর বীমার মেয়াদ আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হচ্ছে কিন্তু নতুনভাবে রিনিউ করতে পারছেন না, সেসব পলিসির মেয়াদ কোনো প্রিমিয়াম ছাড়াই আরও ৪৫ দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে বীমা আইন ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক রিপোর্ট ও রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা প্রদেয় তারিখ থেকে আরও ২ মাস বাড়ানো হলো। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করপোরেশন ও কোম্পানিগুলো বাধ্যতামূলক বা জরুরি বোর্ড সভাগুলো ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে করার জন্য উৎসাহিত করা হলো।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
৩৪ ব্যাংক ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ ব্যবসায় অযোগ্য
কমেছে জীবন বিমার বিনিয়োগ, বেড়েছে সাধারণ বিমার
বিআইএ’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ফের সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারপারসন শেখ কবির
মেটলাইফের বিমা সুবিধা পাবেন ক্যাল বাংলাদেশের কর্মীরা
বেস্ট সিইও'র স্বীকৃতি পেলেন ন্যাশনাল লাইফের কাজিম উদ্দিন
বিমা খাতের বড় সমস্যা কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব
দুর্বল বিমা কোম্পানিকে মূলধারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে
যাত্রা শুরু করলো শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স