‘পুঁজিবাজারে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আসছি’

‘পুঁজিবাজারে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আসছি’
আমাদের বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসা বান্ধব। বিভিন্ন ধরনের হয়রানি, যোগাযোগের ঘাটতি ও বাজে সেবার জন্য একসময় পুঁজিবাজারে মানুষ আসতো না। আমরা পুঁজিবাজারে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আসছি। ফলে পুঁজিবাজারের মজা ফিরতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ডিএসইর নিকুঞ্জ ভবনে ৮০টিরও বেশি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে যখন সরকারের সকল পর্যায়ে কোন আলোচনা করি তখন সব সময়ই ব্যবসাকে সহয করার বিষয় নিতে কথা বলি। এখানে অনেক ভালো মানুষ আছে তাই আমাদেরকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। তবে এখানে কিছুটা সমস্যা হয়। ৯৫ শতাংশ ভালো মানুষের মধ্যে ৫ শতাংশ দুষ্টু লোক থাকে, সেই ৫ শতাংশ দুষ্ট লোকের কারণেই আমাদের সকল সমস্যা তৈরি হয়।

তিনি বলেন, সবাই আইপিও প্রসেসিংয়ের বিষয়ে দীর্ঘ সময় লাগার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আমাদের তো চেকলিস্ট আছে, তারপরও আপনারা সে চেকলিস্ট এর বাহিরে ভুল তথ্য জমা দেন। আমাদেরকে সেই ভুল তথ্য বের করে আপনাদেরকে আবার সেটা ঠিক করে জমা দিতে বলা হয়, কেন আপনারা চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য জমা দেন না। কারণ যদি আপনারা চেক লিস্ট অনুযায়ী তথ্য জমা দেন তাহলে সময় অনেক কম লাগবে। সেক্ষেত্রে এমন একটি কোম্পানি আছে যিনি অধ্যায়ের কাগজপত্র জমা দেয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে মধ্যে আইপিও অনুমোদন হয়ে গেছে। যারা কাগজপত্র জমা দেয় তাদের বিভিন্ন ভুল ক্রটি থাকার কারণে সময় বেশি লাগে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু স্বচ্ছ এবং স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। আমাদের অফিসটা স্বচ্ছ ও বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আমাদের প্রতিটা ডেস্ককেই সাহায্য পূর্ণ রাখার চেষ্টা করছি। আমার কাছে সব সময় বিভিন্ন মানুষ এসএমএস, ফোন ও মেইল করে তাদের সমস্যা নিয়ে। তাদের কাগজপত্র ঠিক থাকলে সাথে সাথে সেটা সমাধান করে দেই। সেই ৫ শতাংশ লোকের কারণে সকল নিয়ম-কানুন ও আইন তৈরি হয়। যে তাদেরকে কিভাবে আটকানো যায়, আর আমরা এখন বাকি ৯৫ শতাংশ লোকের জন্য নিয়ম করে কাজ করছি। যাতে করে ওই ৫ শতাংশ লোক কি করে সেটা আমরা ধরতে পারি।

এছাড়াও তিনি বলেন, বিএসইসি ও ডিএসই ভালো মানুষের জন্য কাজ করছে। আগে আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিতাম,এখন দেইনা। আমাদের প্রতিটি কমিশন মিটিংয়ে কারো না কারো বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেই। ইনফোর্সমেন্ট, লিগ্যাল একশন। সেই সাথে আমরা প্রথম ফৌজদারি আইনে মামলা করি। আমরা বিভিন্ন এয়ারপোর্টে টাকা পাচার ও পাচারকারীকে আটকাচ্ছি।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিনিয়োগকারী স্বার্থ দেখতে হয়। সেটা দেখাও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এখানে সে ৫ শতাংশ দুষ্ট লোকেরা সাধারণ মানুষ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে কিছু দিতে চায় না। টাকাটা মনে করে আমার হয়ে গেল। প্লেসমেন্ট শেয়ার ও হঠাৎ করে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ফেলার ইতিহাস দেখলে আপনারা অনেক খারাপ লাগবে। তাই সেসব ইতিহাসের কারণে আমরা এই বিষয়গুলো বন্ধ করেছি। সেইসাথে এই বিষয়গুলো আর কখনো করতে দেয়া হবে না।

ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ, ব্যবসায়ী ও উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, র‌্যাংগস গ্রুপের রুমানা রউফ চৌধুরী, ব্যবসায়ী সবর খান, এ এস এম মাইনুল, বিএসইসি পরিচালক সাইফুর রহমান, রেজাউল করিম, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত