অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টালিখাতা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদাত খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইসিএম এর পরিচালক (স্টাডিজ) ওয়াজিদ হাসান শাহ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া।
মূলপ্রবন্ধে ড. শাহাদাত খান উল্লেখ করেন, ঋণ প্রদানের জন্য মাইক্রো- এন্টারপ্রাইজের যে ধরণের তথ্য দরকার তা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পায় না। ফলে তাঁদের ঋণ দিতে পারে না। মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজের ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে এখন সহজেই তাঁদের ঋণ দেওয়া সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট এখন সবার হাতের নাগালে। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন করছে। এতে তৈরি হয়েছে এক বিশাল এক তথ্যভাণ্ডার। এই তথ্য বিশ্লেষণ করে ফিনটেক এর মাধ্যমে সবাইকে ঋণের আওতায় আনা সম্ভব। ঋণের পরিমাণও নির্ধারণ করা যাবে। গ্রহীতার কাছে না গিয়েও ঋণের টাকা পাঠানো ও কিস্তির টাকা আদায় করা যাবে। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা খরচ ও ঝুঁকি কমবে।
বিআইসিএমের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, দেশের প্রান্তিক অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে কমিউনিটি ভিত্তিক অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাইক্রো ফাইন্যান্স ইন্সটিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলিলী বলেন “ছোট ব্যবসায়ীদের লোন দরকার হয় ব্যবসা শুরু করার জন্য নয় বরং ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য। তবে লোন নেয়ার ক্ষেত্রে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার সমস্যাটি প্রায় স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত রয়েই গিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য মাইক্রো এন্টারপ্রাইসরে ভূমিকাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ঝুঁকি নিরুপন মডেল তৈরি করে উচ্চ ঝুঁকি আলাদা করা ও লেনদেন খরচ কমানোর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক বলেন “ফিনটেক, ব্যাংক, এমএফআই, এন্টারপ্রাইজ সবাই মিলে ইকো-সিস্টেম তৈরি করতে হবে। কম খরচে সেবা প্রদানের জন্য ফিনটেক’ই হবে অন্যতম প্লাটফর্ম।”
অন্যদিকে এসএমই ফাউন্ডেশনের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নাজিম হাসান সাত্তার বলেন, “ ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরিতে ফিনটেক আবশ্যক এবং প্রান্তিক জনগন যারা ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারে না তাঁদের শেষ ভরসা এমএফআই।”
উক্ত আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক নাজীম হাসান সাত্তার; ইনিস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের রিসার্চ ফেলো ড. ফারহানা নার্গিস; ব্যাংক এশিয়ার এমএসএমই ও কৃষিঋণ বিভাগের প্রধান সামিনুর রহমান; এসিআই এর ট্রেজারি প্রধান আবু হাসান জামান; ব্রাক এর রিসার্চ ও ইনসাইট এর প্রধান জুমানা আসরার; পিওপিআই এর পরিচালক মশিউর রহমান; উদ্দীপন এর নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর সহকারী অধ্যাপক আব্দুল খালেক; মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাফিউদ্দিন আহমেদ; আমেরিকার লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম সিরাজ সহ আরও অনেকই।