জানা গেছে, এসময় তিনি দেশের পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন। পাশাপাশি বাজারের উন্নয়নে বিএসইসির নেওয়া নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইন চাইবেন।
সুত্র জানায়, পুঁজিবাজার ও আর্থিকবাজারসহ বিভিন্ন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যকর সমন্বয় ও আন্তরিক সহযোগিতার অভাবে পুঁজিবাজারের প্রকৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কোনো কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত মাঝে মধ্যেই বাজারকে অস্থির করে তুলছে। এ অবস্থায় আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে বিএসইসি চেয়ারম্যান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও আন্তরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ চাইতে পারেন। দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় আন্তরিক। তাঁর নির্দেশনায় বিএসইসির বর্তমান কমিশনের উদ্যোগে এই বাজারে নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু হচ্ছে বাজারে। সব মিলিয়ে এই বাজারকে শিল্প-বাণিজ্যের দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎসে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে বিএসইসির উদ্যোগে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড ও দুবাইয়ে রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব রোড শোতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক উন্নয়ন, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। এসব রোড শো’র অর্জনগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করবেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।
বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবের জটিলতা, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে ব্যাংকের অবিতরণকৃত লভ্যাংশ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনীহাসহ কিছু ইস্যুও প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হতে পারে। কারণ এসব ইস্যু বাজারের গতিশীলতাকে বারবার ব্যাহত করছে। বাজার উন্নয়নের বিভিন্ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে তাতে। তাই এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হতে পারে।