বেঞ্জামিন ডিওকনো বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী বছরের মাঝামাঝি বা তারও আগে অর্থনীতি যেখানে ছিল, সেখানে ফিরে আসবে।’
করোনাভাইরাস মহামারিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ফিলিপাইন। ডিওকনো বলেন, মহামারি থেকে উদ্ভূত সমস্যা মূল্যবৃদ্ধি অন্যান্য দেশের মতো ফিলিপাইনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে; এমনকি সামনের মাস থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও।
আগামী বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে ডিওকনো বলেন, ফিলিপাইনের অর্থনীতির জন্য সেই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব। বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব বড় সমস্যা হবে। খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিয়েছে। আবহাওয়াও অনুকূল ছিল না। এ ছাড়া আংশিকভাবে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক মূল্য পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।
বেঞ্জামিন ডিওকনো আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, করোনার প্রভাব আমাদের তরুণদের ওপর পড়েছে। কারণ, তারা পুরো এক বছরের পড়াশোনা হারিয়েছে। ফিলিপাইনের জনসংখ্যার বেশির ভাগই তরুণ। ২৫–এর আশপাশের বয়সী মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই পরবর্তী সরকারের উচিত, মানবসম্পদে বিনিয়োগের ওপর জোর দেওয়া।’
জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি অনুসারে, দেশটিতে ২৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন এবং ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত সাত কোটি ডোজ কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে, ফিলিপাইনের জনসংখ্যার যা এক-তৃতীয়াংশ।