খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট আমি বুঝতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট আমি বুঝতে পারি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, সুরক্ষিত করতে হবে, পরিবারকে সুরক্ষা করতে হবে। এ জন্যই বাইরের লোকের সঙ্গে না মেশা, জনসমাগম যেখানে–সেখানে না যাওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি অন্যকেও সুরক্ষিত করতে হবে। সেই দায়িত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদিও খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির এবং ছোট ব্যবসায়ীদের কষ্ট হচ্ছে, তাঁদের জন্য সময়টা খুব দুঃসময়, সেটা আমি বুঝতে পারি।’

শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে তাঁর ত্রাণ ও তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং ব্যক্তিবিশেষের অনুদান গ্রহণকালে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ভাষণ প্রদান দেন। তাঁর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জনগণ ও দেশের অর্থনীতিকে করোনা মহামারি সৃষ্ট সংকট থেকে বাঁচাতেই প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যেই প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনার আমরা ঘোষণা দিয়েছি। এটা শুধু আজকের জন্য নয়, আমাদের এখনকার যে সমস্যা সেটা সমাধান করা এবং আগামী তিন অর্থবছর পর্যন্ত যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়ন করা।’

‘যাতে এই করোনাভাইরাসের সময়টা পার করে আপনারা আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু আবার চালাতে পারেন। যেটা সব শ্রেণির মানুষ পাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এবং সেই সুযোগটা সৃষ্টির জন্যই আমরা তিন বছর মেয়াদি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছি। আশা করি এই অবস্থার আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ, আমাদের দিনমজুর শ্রেণি কামার-কুমার, রিকশাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানদারগণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী—প্রত্যেকের কথাই আমরা চিন্তা করেছি এবং প্রত্যেকের দিকে লক্ষ রেখেই আমরা এই প্রণোদণার ঘোষণা দিয়েছি। সব শিল্প–কলকারখানা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতে চালু থাকে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এই প্রণোদনার খাতে আমরা ব্যয় করব বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের যে অর্থনৈতিক মন্দা, সেটা বিশ্বব্যাপীই দেখা দেবে, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সে জন্য বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করার জন্যই আমরা খাদ্য উৎপাদনে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই আমরা আমাদের লক্ষ্য, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে আমর অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিলাম। যার সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছিল।’
এই করোনাভাইরাস আসার পরই অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা কিছুটা শ্লথ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বব্যাপীই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র বিশ্বই বলতে গেলে স্থবির হয়ে পড়েছে।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু