‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার’

‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার’
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নতি করেছি আমরা। এখন বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাতে পারে। গত বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনার পরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ডিভিশনের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুইজারল্যান্ডে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ইনভেস্টর সামিট: বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’ শিরোনামে ‘রোড শো’র বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিনের রোড শো’তে আরও উপস্থিত ছিলেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন ছাড়াও বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছেন কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও মো. মাহবুবুল আলম, পরিচালক মাহমুদুল হক ও উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রাশিদুল আলম।

আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের সুদহার কম হওয়ায় স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা অনেক সুযোগ পায়। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যও রয়েছে প্রচুর সুবিধা। এছাড়া দেশটির রপ্তানি ও আমদানির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের অগ্রগতিতে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করেছি। প্রথমত গণতন্ত্রের আগে, দ্বিতীয়ত অস্থিতিশীল গণতন্ত্র এবং সবশেষে পলিসির ধারাবাহিক। সেখানে আমরা দেখেছি পলিসি যখন ধারাবাহিক ছিল, তখন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০০৫ সালে দারিদ্রের হার ছিলো ৪০ শতাংশ। বর্তমানে এটি কমে দাড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অতিদরিদ্রের হার ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৬৭ শতাংশ থেকে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে। শিশু মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া শিক্ষার হার, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচকের উন্নতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ। এসব বিবেচনায় আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন।

তিনি আরও বলেন, করোনার পরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। এগুলো হলো: সরকারি ব্যয় বাড়ানো, ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো এবং বাজারের টাকার প্রবাহ বাড়ানোর।‌ ইতিমধ্যে সরকার ২৮ টি স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের ২২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। এর পরিমাণ জিডিপির ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। এই সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য একটাই। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। এদিকে সামনের দিনগুলোতে আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসময় প্রচুর বাণিজ্যে মনযোগী হতে হবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ