ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট আর দেবে না বিশ্বব্যাংক

ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট আর দেবে না বিশ্বব্যাংক
বহুল আলোচিত ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট বা ব্যবসা করার সূচকবিষয়ক প্রতিবেদন আর দেবে না বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। বেশ কিছু অনিয়মের অস্তিত্ব টের পাওয়া ওয়াশিংটনের সদর দপ্তর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের গবেষণায় আস্থা অত্যাবশ্যক। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের গবেষণা নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করে, দেশগুলোকে আরও ভালোভাবে অবগত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এবং স্টেকহোল্ডারদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিগুলো আরও সঠিকভাবে পরিমাপ করার সুযোগ দেয়। এ ধরনের অনুসন্ধান বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও অন্যদের জন্যও মূল্যবান হাতিয়ার। বৈশ্বিক সমস্যা সম্বন্ধে বিস্তৃত ধারণা পাওয়া যায়।

তবে ২০১৮ ও ২০২০ সালে যে ব্যবসা সহজীকরণ সূচক প্রকাশ করা হয়, সেখানে তথ্য-উপাত্ত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু অসংগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই প্রতিবেদন দুটি প্রকাশ করা হয় অক্টোবর ২০১৭ ও ২০১৯-এ। তাতে তথ্য-উপাত্তের যে পরিবর্তন পাওয়া যায়, তা ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন তৈরির পদ্ধতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এরপর বিশ্বব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিষদ পরবর্তী ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট তৈরির বিষয়টি স্থগিত করে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করতে শুরু করে। সব পর্যালোচনা, নিরীক্ষার ফলাফল এবং ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদের যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে ডুয়িং বিজনেসের জন্য পাওয়া সব তথ্য পর্যালোচনা করার পর বিশ্বব্যাংকের গ্রুপ ম্যানেজমেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার এ সূচক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

গত বছরের আগস্টে প্রথম অনিয়মের বিষয়টি টের পায় বিশ্বব্যাংক। এ কারণে ওই বছরের অক্টোবরের ‘ডুয়িং বিজনেস’ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে না বলে জানায় তারা। এ ছাড়া গত পাঁচটি প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্যও ফরেনসিক অডিটরকে দিয়ে পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয় সে সময়।

ব্যবসা করার পরিবেশ কোথায় সবচেয়ে অনুকূল, তার নিরিখে ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের ১৯০ দেশের একটি তুলনামূলক তালিকা ও রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে বিশ্বব্যাংক। এ রিপোর্টকে ভিত্তি করেই বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী কোন দেশে বিনিয়োগ করবেন বা কোন দেশ থেকে সরে আসবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেই প্রতিবেদনেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

২০১৮ সালে ওই রিপোর্টে গলদের কথা প্রথম উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংকের সে সময়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ পল রোমার। সে সময় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের একজন সাবেক পরিচালক এমনভাবে জালিয়াতি করে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক নির্ণয়ের পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন, যা চিলির ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়ে ব্যবহার করা হয়। ওই পরিচালকের কারণে চিলির র‌্যাঙ্কিং পিছিয়ে দেওয়া হয়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া