সাকিবের মোনার্কসহ ২৩ ট্রেকের অনুমোদন দিল বিএসইসি

সাকিবের মোনার্কসহ ২৩ ট্রেকের অনুমোদন দিল বিএসইসি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ট্রেকের অনুমোদন পেল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডসহ ২৩ কোম্পানি। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিএসইর এসব ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সিএসইর ট্রেকের বিষয়ে জানতে চাইলে মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া অর্থসংবাদকে বলেন, আমরা শেয়ারবাজারে আরও বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছি। এছাড়া শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের সেবা বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌছে দিতে চাই। একই সাথে আমরা মানসম্মত এবং সময়পযোগী বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এই উদ্যেগ নিয়েছি। আমাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য এক যায়গায় বসে দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেনের ব্যবস্থা করার জন্যই ডিএসই ও সিএসইতে এই ট্রেক নিয়েছি।

সিএসইর ট্রেক অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনএলআই সিকিউরিটিজ, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ, শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কোং, হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজ, ডেয়টন সিকিউরিটিজ, মার্চেন্ট সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসএফআইএল সিকিউরিটিজ, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, কলম্বিয়া শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, বিনিময় সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, ডায়নেস্টি সিকিউরিটিজ, এএনসি সিকিউরিটিজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ম্যাট্রিক্স সিকিউরিটিজ ও ডিপি৭।

এর আগে ডিএসইর ৫৫টি ট্রেক অনুমোদন দেয় বিএসইসি। যার মধ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৫২টির ট্রেক সনদ বিতরন করা হয়।

বিএসইসির ট্রেক রুলস অনুযায়ি, প্রতিটি ট্রেকের জন্য নিবন্ধন ফি ১ কোটি টাকা। এছাড়া এই ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফিসহ এক্সচেঞ্জে আবেদন করতে হয়।

এছাড়া ট্রেক নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ কোটি টাকা জামানত দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে বিদেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা এবং শুধুমাত্র বিদেশীদের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর জামানতের ক্ষেত্রে বিদেশীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রেক নেওয়ার জন্য ৪ কোটি টাকা এবং শুধুমাত্র বিদেশীদের জন্য ৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আর ট্রেকের বার্ষিক ফি হিসেবে ১ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশনের অনুমোদিত কোন প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক কিনতে পারবেন। গ্রাহকদের পক্ষে শেয়ার বেচা-কেনা করে দেওয়ার ব্যবসা করতে এই ট্রেক পাওয়া যাবে। তবে এই ট্রেকের মালিক স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার হবেন না। শুধুমাত্র শেয়ার ও ইউনিট বেচা-কেনা করার সুযোগ পাবেন। কোন প্রতিষ্ঠান ট্রেক পেলে তা হস্তান্তর করা যাবে না। আবার নিবন্ধন পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা ২০০০ অনুযায়ী স্টক-ডিলার বা স্টক-ব্রোকার’র সনদ নিতে হবে। এই সনদ নেয়ার ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে না পারলে ট্রেক বাতিল হয়ে যাবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত