প্রকৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ ভালোবাসা ছিল: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অগাধ ভালোবাসা ছিল: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন খাঁটি পরিবেশ ও প্রকৃতি প্রেমিক। বাল্যকাল হতেই প্রকৃতির প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা। রাজনৈতিক কারণে বারবার কারাবরণ করতে গিয়ে তার এ প্রকৃতিপ্রেম আরও গভীর হয়। কারাজীবনে যেটুকু সময় ও সুযোগ পেয়েছেন, নিজের ওয়ার্ড বা সেলের সামনে ফুলের বাগান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর এ বৃক্ষপ্রেম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরও বৃহত্তর পরিসরে বিকশিত হতে থাকে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চা’ শিরোনামের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে “প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রেমিক বঙ্গবন্ধু ” শীর্ষক আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদের মতো দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি রেসকোর্স ময়দানে গাছ লাগিয়ে ঘোড়দৌড়ের ময়দানকে ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’-এ রূপান্তর করেন। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশজুড়ে শুরু করেন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর হাতে সূচিত হওয়া উপকূলীয় বনায়ন এখন সারা বিশ্বে মডেল হয়ে উঠেছে। দেশে প্রতিবছর যথারীতি পালিত হচ্ছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। দেশজুড়ে বৃক্ষপ্রেমী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আজকের বাংলাদেশে রাস্তার দুপাশে যে সারি সারি বৃক্ষরাজি আমাদের প্রকৃতিকে অপরূপ করেছে, দৃষ্টিনন্দন করেছে, এটি সূচিত হয়েছিল জাতির পিতার হাত ধরেই।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শুধু বৃক্ষরোপণই নয়, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ১৯৭৩ সালে ‘বাংলাদেশ ওয়াইল্ডলাইফ (প্রিজারভেশন) অর্ডার-১৯৭৩’ অধ্যাদেশ জারি করেন। দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘ওয়াটার পলিউশন কন্ট্রোল অর্ডিনেন্স ১৯৭৩’ জারি করেন। ১৯৭৩ সালেই পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের সূচনা করেন। জাতির পিতার বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগ এবং উদাত্ত আহ্বানে বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষা ও বৃক্ষরোপণ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই হাঁটছে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই পরিবেশ আরও সুন্দর এবং সজীব রাখার জন্য বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। এ মহতী উদ্যোগ সফল করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সব বেসরকারি সংস্থা, সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, সর্বোপরি দল-মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে বছরব্যাপী চলমান এ অনুষ্ঠানের আজকের পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়