নিহত শিশুর নাম আব্দুল হাফেজ (১০)। সে ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প-৩ এর ক্লাস্টার ৫৪ এর বাসিন্দা রোহিঙ্গা আমির হামজার ছেলে।
রোববার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। সন্ধ্যার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশটি ভাসানচর থানা হেফাজতে আছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে, ট্রলারডুবির ঘটনায় আবদুর রহমান (৩২) নামের জীবিত আরেক রোহিঙ্গার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীরহাটে এক ব্যক্তির আশ্রয়ে আছেন। এ পর্যন্ত ১৫ জন জীবিত এবং ১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আবদুর রহমানের (৩২) পাঁচ সন্তানসহ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছেন ২১ রোহিঙ্গা।
ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নৌকাডুবির পর আশপাশের মাছ ধরার নৌকায় থাকা জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে ভাসানচরে পৌঁছে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে নৌকায় ৩৭ থেকে ৩৮ জন ছিল। আজকে একটি শিশুর লাশ ও একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা-বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়।
ভাসানচরের নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার গভীর রাতে রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভাসানচর থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলার পর নৌকাটি সমুদ্রের বৈরি আবহাওয়ার মুখে পড়ে উল্টে যায়।