বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক চার খুনিকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু শেষ হলেই বোধহয় সব শেষ হয়ে যাবে, আবার পাকিস্তান কায়েম করতে পারবে। তাদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলেন। আমাদের হৃদয়ে যে কান্নাটা ছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে বিচারের কাজটা আটকে রেখেছিল সেই খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচারও কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার দৃঢ়তা, দক্ষতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে করেছেন। কোনো রক্ত চক্ষু কিংবা কোনো ভয়, হুমকি-ধামকিতে তিনি মাথানত করেননি। তিনি তাদের বিচার করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের (খুনিদের) বিচারের রায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখনও চারজন খুনি বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন। একজন যুক্তরাষ্ট্রে (রাশেদ চৌধুরী), একজন কানাডায় (নূর চৌধুরী)। সেখানে সরকারের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা চলছে। আমরা মনে করি, খুব শিগগিরই তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারব।’

‘আর যে দু-জন আছেন, তাদেরকেও আমরা খুঁজছি। যে কোন সময় তাদেরও আইডেন্টিফাই করে আমরা দেশ নিয়ে এসে তাদের সেই শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) ব্যবস্থা আমরা করব’ বলেন আসাদুজ্জামান খান।

যদিও বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি পলাতক রয়েছেন- রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ ও মুসলেহউদ্দীন রিসালদার। রাশেদ ও নূর চৌধুরী ছাড়া বাকি ৩ জনের মধ্যে কার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেননি তা স্পষ্ট নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ১৯ মিনিটের যে ভাষণটি দিয়েছিলেন, সেখানে যাওয়ার আগে বঙ্গমাতা তাকে বলে দিয়েছিলেন, তুমি যা হৃদয়ে ধারণ করে চলছ এতদিন, ২৩ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে যা তুমি অর্জন করতে চেয়েছ, তোমার হৃদয় থেকে যেটি আজকে আসে সেটিই তুমি আজকে বক্তব্যে বলবে, দেশের জনগণকে জানাবে। তিনি তাই করলেন।’

‘আমরা কাছে থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। বঙ্গবন্ধু এলেন। দু-একজনের বক্তব্যের পরই বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা শুরু করলেন। তাকে অনেকে অনেক কাগজ দিলেন। অনেকেই কানে কানে অনেক কথা বললেন। কারো কথা কিন্তু বঙ্গবন্ধু শুনলেন না। তার হৃদয়ের কথাগুলো- যেগুলো তিনি বিশ্বাস করতেন, সেগুলোই তিনি একের পর এক বলে গেলেন।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এই ভাষণটি (বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ) শুধু আমাদের দেশে নয়, সারাবিশ্বে একটি অন্যতম ভাষণ হিসেবে আজকে স্বীকৃত। তিনি যদি কাগজের লেখাগুলো বলতেন, হয়তো আমরা এই ভাষণটি বা তার হৃদয়ের কথাগুলো জানতাম না।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে কীভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা হয়েছে। তারা যে এখনও আছে সেই জানান দিয়েছিলেন। এই সবগুলোকেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছি। সবগুলোকেই আজকে কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি।’

ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান সালমা হোসেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সানজিদা খানমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু