বোনাস লভ্যাংশ পাঠিয়েছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস

বোনাস লভ্যাংশ পাঠিয়েছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস
গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনারস (বিও) অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ব্যতীত অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ছয় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫২ পয়সা। উল্লেখ্য, কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি শেয়ারের মধ্যে তিন কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে। এ হিসাবে নগদ লভ্যাংশ হিসেবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রদেয় টাকার পরিমাণ পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

এদিকে সম্প্রতি পশুখাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণনের অনুমোদন পেয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ অনুমোদন অনুযায়ী কোম্পানিটি প্রাথমিকভাবে ২০ ধরনের খাদ্যের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণন করতে পারবে।

তথ্যমতে, গত ৩১ অক্টোবর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসকে প্রাথমিক ২০ ধরনের পশুখাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণনের অনুমোদন দেয় এবং ওই অনুমোদনপত্র কোম্পানিটি গত ৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় হাতে পায়। কোম্পানির পশুখাদ্য-সংক্রান্ত লাইসেন্স নম্বর ১৫৯ (ক্যাটেগরি-১: ভেট, প্রিমিক্স)।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক শূন্য এক শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির আট লাখ ৯১ হাজার ২৪০ শেয়ার মোট ৪০১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৫০ লাখ ৬২ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৬ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এন’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৬ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৬৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত