ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি ‘নগদ’ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)-এর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে যার ফেসভ্যালু হবে সাড়ে সাতশ কোটি টাকা। দেশের যে কোনো মোবাইল বা ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো বন্ড ছাড়ার ঘটনা।
ঘোষণার পর থেকেই ‘নগদ’র বন্ডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কিউ গ্লোবাল লিমিটেড নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ডিজিটাল কোম্পানি এই বন্ডে ৩০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এদিকে, রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড ট্রাস্টি’র দায়িত্ব পালন করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে চলা ‘নগদ’ সোমবার (২৬ জুলাই) নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত এক রোড শোতে এই ঘোষণা দেয়। নগদ এই রোড শো’র অন্যতম অংশীদার।
অন্যদিকে, বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ‘নগদ’ তাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে। প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগকে দ্রুত গতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব অবকাঠামো নির্মাণ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইতোমধ্যেই, বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি’র কাছে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে ‘নগদ’।
এ বিষয়ে ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কো-ফাউন্ডার তানভীর এ মিশুক বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের বাজারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ডকে আরও একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাছাড়া ‘নগদ’ সবসময়ই উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে এবং সে কারণেই প্রথাগত অর্থায়নের চেয়ে বন্ডের বাজারকে বেশি পছন্দ করছি।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি হিসেবে মাত্র দুই বছরের মধ্যে ‘নগদ’ পাঁচ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে যা অত্যন্ত বড় অর্জন। এই গতি ধরে রাখতে, নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম এবং অবকাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এই বিনিয়োগ তাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আরও বেশি মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, বিশেষত ঋণ বাজারের উন্নয়নে কাজ করছে বিএসইসি, যা আমাদের শিল্প ও অবকাঠামোর দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনে অর্থায়নের জন্য অত্যাবশ্যক।
আশা প্রকাশ করে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নগদ’-এর বন্ড বাজারে আসা আমাদের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংস্থা এবং অন্যান্য কোম্পানিকে উৎসাহিত করবে। একইসঙ্গে এটি অনুকূল অর্থায়ন কৌশল তৈরি করবে যা কোম্পানিগুলোর অগ্রযাত্রা ও টেকসই উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে। ‘নগদ’-এর বন্ড ইস্যু করার উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং মূলধন বাজারের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নগদ’ এর উদ্বোধন করেন। কোভিডের এই জরুরি সময়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী বিতরণের ক্ষেত্রে চেঞ্জমেকারের ভূমিকা পালন করেছে ‘নগদ’।
‘নগদ’-এর বন্ড বিষয়ক ঘোষণা দেওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের (অর্থ বিভাগ) সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ‘নগদ’ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ)-এর নির্বাহী চেয়ারমান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, কিউ গ্লোবাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন ল্যান্ডম্যানসহ বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলতঃ বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসি বিনিয়োগ বিষয়ক এই রোডশো’র আয়োজন করেছে, যেখানে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহর –নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং সিলিকন ভ্যালি (স্যান্টা ক্লারা)-তে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত চারটি রোডশো অনুষ্ঠিত হবে।
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে যার ফেসভ্যালু হবে সাড়ে সাতশ কোটি টাকা। দেশের যে কোনো মোবাইল বা ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানির ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো বন্ড ছাড়ার ঘটনা।
ঘোষণার পর থেকেই ‘নগদ’র বন্ডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কিউ গ্লোবাল লিমিটেড নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ডিজিটাল কোম্পানি এই বন্ডে ৩০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এদিকে, রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড বন্ডটির অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে। একই সঙ্গে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড ট্রাস্টি’র দায়িত্ব পালন করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে চলা ‘নগদ’ সোমবার (২৬ জুলাই) নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত এক রোড শোতে এই ঘোষণা দেয়। নগদ এই রোড শো’র অন্যতম অংশীদার।
অন্যদিকে, বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ‘নগদ’ তাদের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ, নেটওয়ার্ক তৈরি, কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা, আইটি সরঞ্জাম সংগ্রহ, বিপণন ও প্রচারের কাজে খরচ করবে। প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার উদ্যোগকে দ্রুত গতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব অবকাঠামো নির্মাণ একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইতোমধ্যেই, বন্ডের বিষয়ে বিএসইসি’র কাছে প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে ‘নগদ’।
এ বিষয়ে ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কো-ফাউন্ডার তানভীর এ মিশুক বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বন্ডের বাজারও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ডকে আরও একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাছাড়া ‘নগদ’ সবসময়ই উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে এবং সে কারণেই প্রথাগত অর্থায়নের চেয়ে বন্ডের বাজারকে বেশি পছন্দ করছি।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি হিসেবে মাত্র দুই বছরের মধ্যে ‘নগদ’ পাঁচ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহক পেয়েছে যা অত্যন্ত বড় অর্জন। এই গতি ধরে রাখতে, নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম এবং অবকাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এই বিনিয়োগ তাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। আরও বেশি মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, বিশেষত ঋণ বাজারের উন্নয়নে কাজ করছে বিএসইসি, যা আমাদের শিল্প ও অবকাঠামোর দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনে অর্থায়নের জন্য অত্যাবশ্যক।
আশা প্রকাশ করে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘নগদ’-এর বন্ড বাজারে আসা আমাদের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি, রাষ্ট্র মালিকানাধীন সংস্থা এবং অন্যান্য কোম্পানিকে উৎসাহিত করবে। একইসঙ্গে এটি অনুকূল অর্থায়ন কৌশল তৈরি করবে যা কোম্পানিগুলোর অগ্রযাত্রা ও টেকসই উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে। ‘নগদ’-এর বন্ড ইস্যু করার উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং মূলধন বাজারের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নগদ’ এর উদ্বোধন করেন। কোভিডের এই জরুরি সময়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী বিতরণের ক্ষেত্রে চেঞ্জমেকারের ভূমিকা পালন করেছে ‘নগদ’।
‘নগদ’-এর বন্ড বিষয়ক ঘোষণা দেওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের (অর্থ বিভাগ) সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ‘নগদ’ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ)-এর নির্বাহী চেয়ারমান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, কিউ গ্লোবাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন ল্যান্ডম্যানসহ বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলতঃ বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসি বিনিয়োগ বিষয়ক এই রোডশো’র আয়োজন করেছে, যেখানে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি ছাড়াও প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহর –নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং সিলিকন ভ্যালি (স্যান্টা ক্লারা)-তে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত চারটি রোডশো অনুষ্ঠিত হবে।
