সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েক দিনের তুলনায় শুক্র ও শনিবার সারাদেশে বৃষ্টিও বেশি থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আর শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, লঘুচাপটি আগামীকালকের (শনিবার) মধ্যে ভারতের উড়িষ্যা বা পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে উঠে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এখন এমনিতেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। উপরের (মধ্য থেকে উত্তরাঞ্চল) দিকেও বৃষ্টি বাড়বে। বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামীকালকের পর থেকেই কমে যাবে। এই সময়ে চট্টগ্রামের দিকে অতি ভারি বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।’

শুক্রবার এক আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে ও গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে জানিয়ে সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে। সেখানে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়