রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ-প্রকৃতি মঞ্চের ৬ দফা দাবি

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ-প্রকৃতি মঞ্চের ৬ দফা দাবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটিতে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চ।

শনিবার (১০ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির অন্য দাবিগুলো হলো— দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকাণ্ডে অবহেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে হবে; সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মূলত কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড, তাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিহ্নিত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করে তাদের সামর্থ্য বাড়ানো ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; দেশের সব কল-কারখানায় দ্রুত তদারকির মাধ্যমে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; আইএলও’র নির্দেশনা মোতাবেক কারখানায় কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে হবে ও শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে এবং নিহত ও আহত শ্রমিক পরিবারকে নামমাত্র ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সেজান জুস’ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫২ জন শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরা নিহত ও আহতদের জন্য গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এতে আরও বলা হয়, আমরা আগেও লক্ষ্য করেছি, যখনই কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, তখন নানারকম অবহেলার ঘটনা সামনে আসে। যেমন হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে- কারখানার ভবনটি কারখানা গড়ে তোলার জন্য যথাযথ ছিল না, কারখানা ভবনটি যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে করা হয়নি, যথাযথ আগুন নেভানোর উপকরণ ছিল না, জরুরি নির্গমন পথ ছিল না, নিরাপত্তা উপকরণ ও প্রাণ বাঁচানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না, কর্মরত শ্রমিকদের অধিকাংশই ছিল শিশু শ্রমিক, কারখানা পরিদর্শক কর্তৃক নিয়মিত পরিদর্শন করা হতো না ইত্যাদি। কিন্তু অবহেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয় না। এমনকি ওই সব প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য ও দক্ষতা বাড়ানো এবং তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। ফলে একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে এবং পুরনো ঘটনাগুলো আমদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়। তাজরিণ অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজা- এ রকম বড় ঘটনার বাইরেও অসংখ্য ছোট ছোট ঘটনা নিয়মিতই ঘটে চলেছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু