এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত ১০ হাজার কোটি টাকা

এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত ১০ হাজার কোটি টাকা
চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবিসি ব্যাংক আর্থিক সূচকগুলোতে দ্রুত এগোচ্ছে। ব্যাংকটির আমানত পরিমান দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। করোনাকালে আমানত প্রবৃদ্ধির হারও ছিল রেকর্ড পরিমান।

ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুনে এনআরবিসি ব্যাংকের আমানতের পরিমান ছিল ৭ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। সেটি এক বছরের ব্যবধানে ৩২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালের জুনে আমানত বাড়ে ২৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। তার আগের বছর আমানত ছিল ৬ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালের জুনের তুলনায় ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। ২০১৮ সালের জুনে আমানত ছিল ৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকা।

এবিষয়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংকটকালেও আমরা জনগণের জন্য সেবার দরজা খোলা রেখেছি। তাদের হাতের নাগালে নতুন নতুন উপশাখাসহ বিভিন্ন সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন করছি। ঘোষিত লকডাউনেও গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে শতভাগ স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা, উপশাখা ও অন্যান্য বুথগুলো চালু রেখেছি। এসব উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে সংকটের বছরের ব্যাংকের আমানত সংগ্রহ রেকর্ড পরিমান বেড়েছে। ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার প্রতিফলন এটি।

তিনি বলেন, জনগণের টাকা নিয়ে আমরা জনগণের মাঝে বিতরণ করছি। আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক জনগণের ব্যাংকের পরিণত হওয়া। গ্রামের মানুষদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক।

আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। সংকটে পড়া মানুষদের তাৎক্ষণিক সুবিধা দিতে বিশেষায়িত ঋণ প্রকল্প চালু করে এনআরবিসি ব্যাংক। এজন্য সংকটের সময়ও ব্যাংকের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২০২১ সালের জুনে ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময় র্ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। ২০২০ সালের জুনে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ শতাংশ। তার আগের বছর ঋণের পরিমান ছিল ৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। আর ২০১৮ সালের জুনে ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম আউলিয়া বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের মূল লক্ষ্য জনগণের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এজন্য প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন সেবা চালু করেছি। মানুষের অর্থের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হচ্ছে। আবার সেই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করে সারাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানো হচ্ছে। এজন্য আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি আমরা ঋণদান কার্যক্রমও জোরদার করেছি।

উল্লেখ্য, শতভাগ প্রবাসী উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে ব্যাংকটি কার্যক্রমে আসে ২০১৩ সালের এপ্রিলে। প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সেবার আওতায় আনতে ব্যাংকটি উপশাখা ও পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করে সফল হয়েছে। ৮৩টি শাখার পাশাপাশি ৪৫০ উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির, যা সব ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া শরীয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো আল আমিন ব্যাংকিং চালুর মাধ্যমে সব শাখা ও উপশাখায় সেবা দেওয়া হচ্ছে।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এনআরবি ডে অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
পাবনার সুজানগরে স্বপ্ন’র নতুন আউটলেট
জেসিআই বাংলাদেশ ২০২৪ লোকাল অফিসার্স ট্রেনিং সম্পন্ন
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ও প্রবাসী সেবায় সম্মাননা পেলো ইসলামী ব্যাংক
ব্র্যাক ব্যাংক ও মেটলাইফের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
এসবিএসি ব্যাংকের ৮৯তম শাখা উদ্বোধন
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন